স্বাস্থ্যকথা:
বায়ুদূষণ থেকে হাঁপানি রোগ
, ২৪ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৮ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২২ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মহিলাদের পাতা
বিশ্বে বায়ুদূষণে রাজধানী শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম হল ঢাকা। যখন বাতাসে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়ে অন্যান্য গ্যাসের ঘনত্ব বেড়ে যায় কিংবা বালুকণার হার বেড়ে যায়, তবে সেটি দূষিত হয়ে যায়। মারাত্মক বায়ুদূষণের কারণে শহরের মানুষ প্রতিনিয়ত অ্যাজমা (হাঁপানি), ক্রনিক অবসট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) ও ফুসফুসের ক্যানসারের মতো মারাত্মক রোগেও আক্রান্ত হচ্ছেন।
কীভাবে হয়:
হাঁপানি ফুসফুসের একটি প্রদাহজনিত অবস্থা। এতে কিছু উদ্দীপক প্রদাহ সাময়িকভাবে শ্বাসনালি সরু করে দেয়। এ কারণে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। ধুলাবালু মানুষের শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে শ্বাসযন্ত্রে ঢুকে শ্বাসকষ্টের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। দূষিত বায়ু ফুসফুসে ঢোকার পর সেখানে ফ্রি রেডিক্যালের সৃষ্টি হতে পারে। দেখা গেছে শ্বাসতন্ত্রের অসুখ সৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে এসব ফ্রি রেডিক্যাল। হাঁপানি বংশগতভাবেও হয়ে থাকে।
শহরাঞ্চলে হাঁপানি বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বায়ুদূষণ। শহরে একসঙ্গে অনেক মানুষ বসবাস করেন, তাই স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করা খুবই জরুরী। গ্রামের পরিবেশ খোলামেলা হওয়ায় এই সমস্যা তুলনামূলক কম হয়।
তাছাড়াও ঘরের আসবাবে জমে থাকা ধুলা এবং ধুলায় ‘ডাস্ট মাইট’ নামের এক প্রকার কীট বেশি তৈরি হয়, যা হাঁপানি অনেক মাত্রায় বৃদ্ধি করে।
উৎস :
সিএনজি চালিত যানবাহন থেকে বের হয় ক্ষতিকারক বেনজিন। এ ছাড়া সালফার ও সিসাযুক্ত পেট্রল, জ্বালানি তেলে ভেজাল ও ত্রুটিপূর্ণ ইঞ্জিনের কারণে গাড়ির ধোঁয়ার সঙ্গে কার্বন ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, সালফার ডাই-অক্সাইড, অ্যালডিহাইডসহ সিসার নিঃসরণ বাতাসকে দূষিত করে। উন্মুক্ত স্থানে নির্মাণকাজে ব্যবহৃত বালু-সিমেন্ট দীর্ঘদিন ফেলে রাখা, রাস্তা-ঘাটে খোঁড়াখুঁড়ি দীর্ঘদিন ধরে চললে চারদিকে প্রকট ধুলাদূষণ সৃষ্টি হতে পারে।
হাঁপানির লক্ষণ:
হাঁপানি হলে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, নিশ্বাসের সঙ্গে শাঁই শাঁই শব্দ শোনা যায়। শুকনো কাশি, কখনো এই কাশি একটানা দীর্ঘক্ষণ চলা, বুকে চাপ অনুভব করা এবং অল্প পরিশ্রমে হাঁপিয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণ থাকে। শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক যে কারও হতে পারে হাঁপানি।
প্রতিরোধ
হাঁপানির প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে বায়ুদূষণের মাত্রা কমাতে হবে। সবাই মিলে সচেতন হলে এটি সম্ভব। বায়ুদূষণ রোধে পদক্ষেপ নিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সুস্থ হয়ে বেড়ে উঠবে।
-নাবিল আহমদ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত উম্মে সুরাইকা দাওসিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (৩)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (১০)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তিন ধরনের লোক বেহেশতে প্রবেশ করবে না
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সর্বাবস্থায় আজল বা তাড়াহুড়া না করে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












