আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানামুখী মেরুকরণের চেষ্টা:
বিদেশী গোয়েন্দাদের এবারের টার্গেট মাদরাসা
, ০২রা রবিউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ২৭ রবি’, ১৩৯৩ শামসী সন , ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ১১ আশ্বিন, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) বিদেশের খবর
আল ইহসান ডেস্ক:
আপাতদৃষ্টিতে দেখলে মনে হবে দেশের বিভিন্ন মাদরাসায় ঘাপটি মেরে বসে থাকা আওয়ামী শাসনামলের নিয়োগকৃত ব্যক্তিরা নানা ধরনের অচলাবস্থা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। কিন্তু পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, মাদরাসাগুলোতে এ ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরির আড়ালে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করেছে একটি প্রতিবেশী দেশের গোয়েন্দা সংস্থা। বিশেষ করে ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনের ফলাফল তাদের কাছে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে আগামী জাতীয় নির্বাচনে মাদরাসা ছাত্র-শিক্ষক ও এ ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্টরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগে সুচিন্তিত মতামত বিবেচনা করবেন। এদের অর্থের বিনিময়ে বা কোনো মতাদর্শের টানে বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে কাজে যে লাগানো যাবে না, তা স্পষ্ট অনুধাবন করেছে বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থাটি।
হাসিনা সরকারের পতনে রাজপথের আন্দোলনে মাদরাসা ছাত্রদের অকুতোভয় ও অদম্য প্রতিরোধের বিষয়টি লক্ষ রেখে এখন বাংলাদেশের মাদরাসাগুলোকে টার্গেট করা হয়েছে। কারণ আগামী নির্বাচনে ফলাফল নির্ধারণে মাদরাসাগুলোকেই নিউক্লিয়াস শক্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় ষড়যন্ত্রের টিপ অব দ্য আইসবার্গ:
প্রশাসনিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্তত এক হাজার ৭০০ মাদরাসার ব্যবস্থাপনা দেখভাল করে। তাই প্রথম টার্গেট হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে। মাদরাসাকেন্দ্রিক ব্যাপক নিয়োগ বাণিজ্যে আওয়ামী শাসনামলে নিয়োগকৃত ব্যক্তি, গোষ্ঠীস্বার্থে জড়িত সংগঠনের নেতা থেকে শুরু করে প্রশাসনের অভ্যন্তরে বাম রাজনীতির ধারার কর্মকর্তা ছাড়াও একটি প্রধান রাজনৈতিক দলের দু’জন শীর্ষ নেতা এবং একটি জাতীয় দৈনিকের সম্পাদকের মাধ্যমে গড়ে ওঠা চক্র ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ষড়যন্ত্রে মেতেছে। এ চক্রটি বিভিন্ন মাদরাসা সফর করে অনেকটা বিভেদ সৃষ্টিতে তৎপর হয়ে উঠেছে।
আলিয়া বনাম কওমি:
বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থাটির নীল নকশা অনুযায়ী দেশের আলিয়া ও কওমি মাদরাসার মধ্যে বিভেদ তীব্র করা হচ্ছে কৌশলে। আলিয়া ও কওমি মাদরাসার মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে যাতে এসব মাদরাসার শিক্ষক ও ছাত্ররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। কারণ মাদরাসার শিক্ষকরা তাদের ছাত্রদের কাছে পরম শ্রদ্ধাভাজন এবং ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থী বিবেচনার বিষয়ে ছাত্রদের ওপর শিক্ষকদের ব্যাপক প্রভাব থাকে। এ ছাড়া বিভিন্ন মাদরাসায় নগদ অনুদান, জমি বা অন্যান্য ব্যক্তিগত সুবিধার মাধ্যমে বিভেদ সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে। এ কাজে সক্রিয় হয়ে উঠেছে অতীতে শেখ হাসিনাকে যারা কওমি জননীর উপাধি দিয়েছিলো, সেই ঘরানার কেউ কেউ।
মিডিয়া যেন কাবাব মে হাড্ডি:
ইসলামী সংস্থাগুলোর কোনো শক্তিশালী মিডিয়া নেই। এর মধ্যে সংবাদমাধ্যম এ ধরনের রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে দশকের পর দশক এতটাই বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে যে কথিত ইসলামী দলের নেতাদের মধ্যেও মিডিয়া নিয়ে একধরনের অস্বচ্ছ ধারণা ও বৈরী মনোভাব কাজ করে। বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা এ সুযোগটি এবারো নির্বাচনের আগে কাজে লাগাচ্ছে। ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির কেনো এত ভোট পেলো সেই রহস্য খুঁজে পেতে মিডিয়াগুলো কৌশলে স্বাধীনতা যুদ্ধে ভূমিকা, শরিয়াহ আইন, ক্ষমতায় এলে কিভাবে দেশ পরিচালনা করা হবে ইত্যকার প্রশ্ন ছুড়ে কৌশলে দলগুলোর মধ্যে বিভেদ ছড়াচ্ছে। এ দিক থেকে বিভিন্ন টেলিভিশনের টকশো উর্বর ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করছে। এত দিন হিজাব ও নিকাব নিয়ে মিডিয়া তার প্রচলিত ধারণা পাল্টে উল্টো যাত্রা শুরু করেছে। প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, কেন পর্দা করেননি বা ইসলামের অনুশাসন মানেন না এমন প্রার্থীকে মাঝখানে বসিয়ে দুই পাশে শিবিরের নেতারা বসছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মাদরাসায় রূপান্তরিত!
সম্প্রতি এ ধরনের উদ্ভট অথচ মুখরোচক অভিযোগ তুলেছেন কয়েক দশকের আওয়ামী নেতা ও দল পরিবর্তনকারী ফজলুর রহমান। তার দাবি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আলিয়া মাদরাসার ছাত্রদের শিক্ষার সুযোগ করে দিয়ে শেখ হাসিনা সর্বনাশ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভরে যাচ্ছে মাদরাসা ছাত্রদের দিয়ে। অথচ যোগ্যতা ও মেধা দিয়ে মাদরাসা ছাত্ররা যে শিক্ষার সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেশের সৎ নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠছেন, নৈতিকতার দিক থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সে দিক থেকে দৃষ্টি সরাতেই এ ধরনের অপপ্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের অপপ্রচারও সামগ্রিক মাদরাসা শিক্ষা সম্পর্কে মানুষের মনকে বিষিয়ে তুলে তাদের বিপরীত মতাদর্শের ভোটারদের নির্বাচনে সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টির অপকৌশল হিসেবেই করা হচ্ছে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
৫০ দিনে ৬০০ বার চুক্তি লঙ্ঘন করেছে ইসরাইল
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘ভারত সমর্থিত’ সাত সন্ত্রাসীকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ভারতে মুসলিম সহযাত্রীদের ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে আতঙ্ক ছড়ালো এক হিন্দুত্ববাদী
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয়তার সর্বনিম্ন পর্যায়ে ট্রাম্প
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দক্ষিণ খোরাসান: সুপ্ত সম্পদের ভা-ার ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
থাইল্যান্ডে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭৭
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সন্ত্রাসী সেনাবাহিনীর ‘জনবল সংকট’ থেকে সৃষ্টি হচ্ছে নানামুখী সংকট
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পাকিস্তানের দুটি শহরে ১৪৪ ধারা জারি
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পাকিস্তানের দুটি শহরে ১৪৪ ধারা জারি
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অবৈধ অভিবাসীদের পোশাক ও মুখ তল্লাশি করতে পারবে যুক্তরাজ্যের পুলিশ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইমরান খানের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা জানালো তার ছেলে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইরানের স্বর্ণের বিশাল মজুদ আবিষ্কার
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












