দ্বীনি তা’লীম:
বেশিরভাগ ফিৎনা ফাসাদের মূল হচ্ছে ছবি, টিভি, বেপর্দা
, ১৯ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৭ আউওয়াল, ১৩৯৩ শামসী সন , ১৬ জুন, ২০২৫ খ্রি:, ০২ আষাঢ়, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মহিলাদের পাতা
আজকাল পত্রিকায় প্রায়ই দেখা যায় যে, ‘অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর আত্মহত্যা’, ‘অবৈধ সম্পর্কে গর্ভবতী’।
এরকম ঘৃণ্য ঘটনাগুলো দিন দিন বেড়েই চলছে। কিন্তু কি কারণে ঘটছে, এর সমাধান কি। এ সম্পর্কে দৈনিক আল ইহসান শরীফ ছাড়া আর কোন পত্রিকা সঠিক সমাধান দিতে পারছে না। সারাদেশে বহু নামধারী আলেম, পীর রয়েছে। কিন্তু এ সম্পর্কে তারাও কোন সঠিক সমাধান দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। তার কারণ তারা নিজেরাই অনৈতিক সম্পর্কে জড়িত। নাউযূবিল্লাহ!
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে এ বিষয়ে স্পষ্ট বর্ণনা রয়েছেন। কিন্তু এরপরেও নামধারী মালানা, আলিম তারা জানাতে পারছে না। আবার এরা সবসময় হারাম, নাজায়িয কাজে মশগুল। নাউযূবিল্লাহ!
পবিত্র ইলম হচ্ছেন নূর। আর এই পবিত্র নূর উনারাই ধারণ করতে পারেন যাঁরা হক্কানী-রব্বানী আলিম। আর উনারাই চব্বিশ ঘন্টা সম্মানিত শরীয়ত এবং সম্মানিত সুন্নত মুতাবেক আমল করেন, সবসময় মানুষদের পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ মুতাবেক নসীহত মুবারক করেন, কখনো কোন গুনাহ করেন না। উনাদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো এবং সত্যবাদী হক্কানী আলিম উনাদের সঙ্গী হও। ”
আরো ইরশাদ মুবারক করেছেন, “নিশ্চয়ই আমার পবিত্র রহমত মুবারক যাঁরা মুহসিনীন বা হক্কানী রব্বানী আলিম উনাদের নিকটবর্তী। ” সুবহানাল্লাহ!
এই পবিত্র আয়াত শরীফদ্বয় উনাদের মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক তিনি ঈমানদারগণ উনাদেরকে ভয় করে হক্কানী-রব্বানী-আলিম উনাদের ছোহবত মুবারক লাভ করতে বলেছেন। আরো বলেছেন, পবিত্র রহমত মুবারক উনাদের কাছে আছেন অর্থাৎ উনাদের পবিত্র ছোহবত মুবারকে গেলেই রহমত পাওয়া যাবে। বান্দা পবিত্র রহমত মুবারক পেলে ইলম শিক্ষা ও নেক কাজ করা সহজ হবে এবং হাক্বীক্বী পর্দা করা, সমস্ত গুণাহ থেকে বাঁচাও সহজ হবে। সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ভিত্তি বা প্রধানতম ফরয হচ্ছে পাঁচটি। (১) পবিত্র ঈমান বা আক্বীদা (২) পবিত্র নামায, (৩) পবিত্র যাকাত (৪) পবিত্র হজ্জ এবং (৫) পবিত্র রমযান শরীফ উনার রোযা। অতঃপর পুরুষদের জন্য হালাল কামাই করা ফরয। আর মহিলাদের জন্য হিজাব বা পর্দা করা ফরয। অর্থাৎ ফরযে আইন।
পবিত্র শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে মহিলাদের খাছ পর্দা হলো-
(১) মহিলারা সর্বদাই ঘরে অবস্থান করবে
(২) ঘরে অবস্থানকালে হোক অথবা বাইরে হোক কোন অবস্থাতেই গায়রে মাহরামদের সাথে দেখা দিতে পারবে না।
(৩) প্রয়োজনে ঘরের বাইরে যেতে হলে বোরকা, হাত-মুজা, পা মোজা পরিধান করে চেহারা ও সমস্ত দেহ ঢেকে বের হতে হবে।
(৪) বোরকা কালো রংয়ের হওয়াই আফযল ও অধিক পর্দার কারণ।
(৫) সর্বদা দৃষ্টিকে নি¤œগামী রাখতে হবে।
(৬) বিনা প্রয়োজনে গায়রে মাহরাম পুরুষদের সাথে কথা বলা যাবে না।
(৭) প্রয়োজনে গায়রে মাহরাম পুরুষদের সাথে কথা বলতে হলে পর্দার আড়াল থেকে শক্ত স্বরে কথা বলতে হবে, নরম সূরে কথা বলা যাবে না।
এটাই হচ্ছে খাছ শরয়ী হিজাব বা পর্দা। আর এটাই পবিত্র শরীয়ত উনার নির্দেশ মুবারক।
আর এখন মানুষের ঘরে ঘরে টিভি। এই টিভিতে বেপর্দা, বেহায়াপনা, অশ্লীল অশালীন বিষয়গুলো সবসময় দেখানো হয়। এছাড়া মোবাইলতো এখন এখন এক ভয়াবহ ফেতনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে ছবি-ভিডিওতে আসক্ত হয়ে শিশু, যুবক থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও তাদের ঈমান-আমল সব বিনষ্ট করছে। নাউযুবিল্লাহ!
একদিকে সরকার যেমন এ সমস্ত হারাম কাজের পৃষ্ঠপোষকতা করছে অন্যদিকে নামধারী আলেমরাও এসব বিষয়ে মানুষকে সঠিক সমাধান দিতে ব্যর্থ। তাদের গাফলতীর কারণে আজকে সাধারণ মুসলমানদের ঈমান-আমলের কঠিন পরিণতি। নাউযুবিল্লাহ!
-আমাতায়ে ছিদ্দিক্বা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরযে আইন হচ্ছে- যথাযথভাবে ৫ ওয়াক্ত নামায তারতীব অনুযায়ী যথাসময়ে আদায় করে নেয়া
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (১)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












