সম্পাদকীয়-১
ব্যবসার ওপর আরও চাপ আসছে, সরকারের ন্যূনতম কর প্রায় দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা এতে ক্রেতা-বিক্রেতা তথা গোটা দেশের ব্যবসা হবে ধ্বংসপ্রাপ্ত আর জনগণ হবে ভয়াবহ দুর্দশাগ্রস্ত এবং চরম দরিদ্র। সার্বভৌমত্ব হবে বিপন্ন। সঙ্গতকারণেই এখনই এর অবসান হওয়া দরকার ইনশাআল্লাহ।
, ১৬ মে, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কঠিন প্রতিবাদ এরপরও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আসন্ন বাজেটে কোম্পানির টার্নওভারের ওপর বাধ্যতামূলক ন্যূনতম কর বর্তমান ০.৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১ শতাংশ করার পরিকল্পনা করছে। একইসঙ্গে, ব্যক্তি করদাতার ক্ষেত্রে এই কর চারগুণ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তাদের মতে, রাজস্ব আদায়কারী সংস্থার দক্ষতার ঘাটতি এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর চাপই মূলত এই সিদ্ধান্তের পেছনে প্রধান কারণ। এসব সমালোচনার পরও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই পথেই এগোচ্ছে।
জানা গেছে, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর জন্য আইএমএফের পক্ষ থেকে চাপ রয়েছে। এজন্য মিনিমাম ট্যাক্স বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ইনডিভিজুয়াল এসেসি’র টার্নওভার ট্যাক্সও ১ শতাংশ করা হবে, যা বর্তমানে ০.২৫ শতাংশ রয়েছে।
এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা। তাদের বক্তব্য, ন্যূনতম কর এমন এক ব্যবস্থা যা কম মুনাফার কিংবা লোকসানে থাকা প্রতিষ্ঠানকেও কর দিতে বাধ্য করে। ফলে প্রকৃতপক্ষে সৎ ও নিয়মিত করদাতারাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আপত্তি জানিয়ে আসছে বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই)। সংগঠনটি বলছে, এই ব্যবস্থায় করদানে আগ্রহী কমপ্লায়েন্ট কোম্পানিগুলোর প্রকৃত কর হার আরও বেড়ে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা আশা করেছিলো বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ফসল- উপদেষ্টা সরকারের এনবিআর ধীরে ধীরে এই কর তুলে দেবে। উল্টো তা বাড়ানো অপ্রত্যাশিত ও ভুল পদক্ষেপে ব্যবসায়ীরা চরমভাবে আহত, মর্মাহত। এতে তারা চরম ক্ষতিগ্রস্থ তথা সর্বশান্ত হবে। এই সিদ্ধান্ত কমপ্ল্যায়েন্ট ব্যবসাগুলোর অতিরিক্ত কর ভার চাপাবে- বিশেষত এসএমই ও নবীন ব্যবসাগুলো বন্ধ হয়ে যাবে।
অভিজ্ঞমহল জানায়, বাংলাদেশে একটি কোম্পানিকে ব্রেক ইভেনে পৌঁছাতে সাধারণত পাঁচ বছর সময় লাগে। এমন পরিস্থিতিতে শুরুর দিকেই ন্যূনতম কর আরোপ করা অবান্তর ও অবিচারসঙ্গত আত্মঘাতী ও সর্বনাশী সিদ্ধান্ত।
ধরা যাক একটি কোম্পানির বার্ষিক টার্নওভার ১০০ কোটি টাকা। বর্তমান ০.৬ শতাংশ ন্যূনতম কর অনুযায়ী, এই কোম্পানির ওপর টার্নওভার ট্যাক্স হবে ৬৬ লাখ টাকা। তবে, কোম্পানির আসল মুনাফা অনুযায়ী (২৭.৫ শতাংশ কর হিসাবে) তার কর হওয়া উচিত ছিল ৫০ লাখ টাকা। ফলে, প্রকৃত করের তুলনায় অতিরিক্ত ১৬ লাখ টাকা কর দিতে হচ্ছে। যদি এই হার ১ শতাংশে উন্নীত হয়, তাহলে ১ কোটি টাকা কর আদায় করা হবে, যদিও মুনাফার ভিত্তিতে কর হওয়া উচিত ছিল ৫০ লাখ টাকা। এর মানে হলো, কাগজে-কলমে ২৭.৫ শতাংশ কর হলেও প্রকৃত করের হার হয়ে যাবে ৫৫ শতাংশ। আর যদি কোনো কোম্পানি লোকসান করে, তাহলে পুরো করের অর্থই কোম্পানির মূলধন থেকে চলে যাবে।
এনবিআর বলেছে, কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য মুনাফা সঠিকভাবে না দেখানোর অভিযোগ রয়েছে। যদি ন্যূনতম কর আদায় না করা হয়, তবে সরকারের রাজস্ব আয় কমে যাবে। অভিজ্ঞমহল পাল্টা যুক্তি তুলে বলেন, সৎ কোম্পানির ওপর চাপ সৃষ্টি করে অসৎদের কর ফাঁকি পূরণ করার এই ব্যবস্থা যুক্তিসঙ্গত নয়। বলার অপেক্ষা রাখে না, মাথাব্যথার জন্য মাথা কেটে ফেলা কোনো সমাধান হতে পারে না।
ব্যবসা সংশ্লিষ্টরা মন্তব্য করেছেন, “গ্রস রিসিপ্ট বা মোট লেনদেনের ওপর ন্যূনতম কর বৃদ্ধির ফলে প্রকৃত টার্নওভার নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণীতে উল্লেখকারী সৎ করদাতারা আরও চাপে পড়বেন। এর সঙ্গে তাদের সরবরাহকারীরাও এটিকে খরচ হিসেবে ধরবেন, যার ফলে উৎপাদন খরচ আরও বেড়ে যাবে। ”
অর্থাৎ ক্রেতা-বিক্রেতা তথা ব্যবসা হবে ধ্বংসপ্রাপ্ত আর জনগণ হবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত ও মহাদরিদ্র। সার্বভৌমত্ব হবে বিপন্ন। সঙ্গতকারণেই এখনই এর অবসান হওয়া দরকার।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জল ভূমিকা যেমন জ্বলজ্বল, উন্নয়নে ঝলমল তেমনি সংকটকালেও থাকুক সমুজ্জল
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৮ লাখ মেট্রিক টন লবণ মওজুদ থাকার পরও অবুঝ অন্তর্বর্তী সরকারকে লবণ আমদানী আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। লবণ শিল্পের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা সংরক্ষণ অবকাঠামোর অভাব অতিশীঘ্র দূর করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহিমান্বিত ১৪ই জুমাদাল উখরা শরীফ। আজ পঞ্চম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, হুজ্জাতুল ইসলাম, হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এ সুমহান দিবস মুবারক উনার তাৎপর্য অনুধাবন করা গোটা মুসলিম উম্মাহ্র জন্য বিশেষ প্রয়োজনীয় এবং ফজিলতের কারণ।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। বিপরীতে স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ০.৪৪% ব্যয় হচ্ছে মানসিক চিকিৎসায়। রয়েছে মানসিক বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ জনবল সঙ্কট। সরকারের উচিত, দেশের মানসিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় উন্নত করা এবং পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অবৈধ পথে বিদেশে গিয়ে ভয়াবহ নির্যাতিত হওয়ার পাশাপাশি নিঃস্ব হচ্ছে বহু পরিবার। মানব পাচার রোধে শক্ত ও সমন্বিত ব্যবস্থা নেয়া জরুরী দরকার।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ মহাসম্মানিত ১২ই জুমাদাল উখরা শরীফ। যা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত। সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্যই ফরজ।
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
৩ লাখ কোটি টাকা মূল্যের ৯ হাজার একর বেদখল হওয়া রেলের জমি উদ্ধারে অতীতের মত বর্তমান সরকারও ব্যার্থ হচ্ছে কথিত গলদ আইন ও লোক দেখানো উদ্ধার প্রক্রিয়া এবং লোভী জনগণের বিপরীতে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনাতেই সফলতা ও প্রাপ্তি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
স্বামী-স্ত্রীর সহজাত খুনসুটিকে বৈবাহিক ধর্ষণ সংজ্ঞায়িত করার সরকারী উসকানি এখন বাবা-মায়ের শাসনকেও মামলায় গড়িয়েছে। পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, এল.জি.বি.টি.কিউ আন্দোলনের কুচক্রী, কুশীলবদের কুতৎপরতা রোধে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানকে এক্ষণি সোচ্চার হতে হবে ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতি বছর সাপের কামড়ের শিকার ৯৬ হাজার মানুষ, মৃত্যু ১০ হাজারের বেশী। প্রতিদিন মারা যায় প্রায় ২৫ জন। অ্যান্টিভেনম সহজলভ্য করতে হবে। দেশেই উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জনঘনত্বের কারণে- বেশী তাপমাত্রা, রোগব্যাধি, বায়ূ দূষণ, শব্দ দূষণ, যানজট পানিবদ্ধতা সহ বিভিন্ন দুর্বিষহ ও দমবদ্ধ অবস্থায় বিপর্যস্থ ঢাকা এখন সম্পূর্ণভাবে বসবাসের অযোগ্য। নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুবারক হো মহিমান্বিত ৯ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ! আজ ক্বায়িম-মাক্বামে সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ¦মিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ বছরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার শস্য নষ্ট হয় খাদ্য অপচয় রোধ করতে ‘নিশ্চয়ই অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই’- পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এই নির্দেশ সমাজের সর্বাত্মক প্রতিফলন ব্যতীত কোনো বিকল্প নেই।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












