সুন্নতী মুবারক তা’লীম
মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের- সন্তুষ্টি-রেযামন্দি লাভের জন্য সন্তান প্রতিপালন করা সুন্নত
(মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ থেকে সংকলিত)
, ১৫ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৩ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ২১ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ০৬ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
সন্তানকে তিনটি বিষয় ভালভাবে শিক্ষা দিতে হবে (৪)
৩। শত্রুদেরকে চিনিয়ে দিতে হবে। কারা কারা শত্রু এবং তাদের শত্রুতার রকম-ধরণ কিরূপ তা ভালোভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে। কেননা শত্রুদের পরিচয় জানা না থাকার কারণে তারা পরবর্তী জীবনে শত্রুদের চক্রান্তে পড়ে পর্যদুস্ত হয়। যার কারণে ইচ্ছায় অনিচ্ছায় তাদের তল্পীবাহী হয়ে যায়। কাজেই, সম্মানিত দ্বীন-ইসলাম উনার হুকুম-আহকাম শিক্ষা দেয়ার সাথে সাথে শত্রুদের পরিচয় জানিয়ে দিতে হবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার পবিত্র কালাম পাক উনার মধ্যে মু’মিন-মুমিনাদেরকে সেভাবে শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি উনার হুকুম-আহকাম বর্ণনা করার সাথে সাথে শত্রুদের পরিচয়, তাদের শত্রুতার ধরণ, তাদের স্বরূপ ও অন্যান্য চক্রান্তের বর্ণনা দিয়েছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- (আমার সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি অবশ্যই ঈমানদারদের জন্য মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবেন ইহুদী ও মুশরিকদেরকে। (সূরা মায়িদা শরীফ : আয়াত শরীফ ৮২) অর্থাৎ মুমিন মুসলমানগণের সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে ইহুদী, নাছারা, মুশরিক, হিন্দু, বৌদ্ধ, মুজুসী তথা সমস্ত বিধর্মীরা।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন- হে ঈমানদারগণ! তোমরা আমার শত্রু এবং তোমাদের শত্রুদেরকে কখনো বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না। (সূরা মুমতাহিনা : আয়াত শরীফ ০১)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন- মু’মিনগণ যেন মু’মিনগণ ব্যতীত অন্য কোন কাফিরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যারা এ কাজ করবে তাদের সাথে মহান আল্লাহ পাক উনার কোন সম্পর্ক থাকবে না। (সূরা আলে ইমরান : আয়াত শরীফ ২৮)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন- হে ঈমানদারগণ! তোমরা মু’মিনগণ ব্যতীত অন্য কোন কাফিরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। (সূরা নিসা : আয়াত শরীফ ১৪৪)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন- হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইহুদী ও নাছারাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করিওনা। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যারা তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে তারা তাদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (সূরা মায়িদা : আয়াত শরীফ ৫১)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হাত ও পায়ের নখ কাটার মহাসম্মানিত সুন্নতী তারতীব মুবারক
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
যেসব দিনে গোসল করা ও গোসলে কি কি ব্যবহার করা মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
চিকিৎসা গ্রহণ করা খাছ সুন্নত মুবারক (২)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
চিকিৎসা গ্রহণ করা খাছ সুন্নত মুবারক (১)
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৫)
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৪)
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৩)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (২)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (১)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইস্তিঞ্জার আদব ও ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করা সম্পর্কে (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইস্তিঞ্জার আদব ও ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করা সম্পর্কে (১)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












