মহাসম্মানিত খাছ সুন্নতী বালিশ মুবারকের বর্ণনা-১
, ২৭ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৪ সাদিস ১৩৯১ শামসী সন , ১২ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ২৭ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে পবিত্র বালিশ মুবারক ব্যবহার করতেন সেই বালিশ মুবারক চামড়ার তৈরী ছিলো এবং তার ভিতরে খেজুরের ছাল-ছোবড়া ভর্তি ছিল। এ প্রসঙ্গে বিভিন্ন কিতাবে অসংখ্য পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণিত রয়েছে।
নি¤েœ একখানা পবিত্র হাদীছ শরীফ উল্লেখ করা হলো-
عن حضرت انس بن مالك رضى الله تعالى عنه قال دخلت على النبي صلى الله عليه وسلم وتحت رأسه وسادة من أدم حشوها ليف
অর্থ: হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাক্ষাত মুবারক করলাম, তখন উনার পবিত্র নুরুল হুদা মুবারক অর্থাৎ মাথা মুবারক উনার নিচে খেজুর গাছের ছাল ভর্তি একটি চামড়ার বালিশ মুবারক ছিল। (আখলাকুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত হলো যে,নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি চামড়ার তৈরী বালিশ মুবারক ব্যবহার করতেন যার ভিতরে খেজুরের ছাল-ছোবড়া ভর্তি ছিল।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ تَمَسَّكَ بِسُنَّتِي عِنْدَ فَسَادِ أُمَّتِي فَلَهُ أَجْرُ مِائَةِ شَهِيدٍ
অর্থ: “যে ব্যক্তি ফিতনা ফাসাদের যুগে আমার একটি সম্মানিত সুন্নত মুবারক আকড়ে ধরে থাকবেন অর্থাৎ পালন করবেন, তিনি একশত শহীদ উনাদের সমপরিমাণ ছওয়াব লাভ করবেন।” (মিশকাত শরীফ)
আমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে,সর্বাবস্থায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুসরণ করা। কাজেই সকলের জন্য ফরয-ওয়াজিব, হচ্ছে বেধর্মীদের যাবতীয় তর্জ-তরীক্বাহ বাদ দিয়ে, মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার ইত্তেবা,অনুসরণ-অনুকরণ করা।
তবেই অতি সহজে সর্বপ্রকার আযাব-গযব থেকে হিফাযত থেকে, সর্বপ্রকার নিয়ামত,রহমত-বরকত হাছিল করা সহজ ও সম্ভব হবে।
যাতে করে বান্দা-বান্দী,উম্মত মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক পালনের মাধ্যমে সহজেই সেই রহমত-বরকত লাভ করতে পারে, সেজন্য খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, নূরে মুকাররাম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি প্রতিষ্ঠা মুবারক করেছেন আন্তর্জাতিক সুন্নত মুবারক প্রচারকেন্দ্র। যার মাধ্যমে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে যাবতীয় মহাসম্মানিত সুন্নতী বিষয় সমূহ।
কাজেই সকলের জন্য আবশ্যক হলো,সকল প্রকার সুন্নত মুবারক সম্পর্কে জেনে-শুনে,মনে রেখে আমলে বাস্তবায়ন করা।
-আহমদ হুসাইন
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ওযূর একটি মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক অনিচ্ছাকৃত তরক করায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সতর্কতা মুবারক
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ঘুমানোর মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নতী তারতীব মুবারক - ২
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ঘুমানোর মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নতী তারতীব মুবারক -১
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হাত ও পায়ের নখ কাটার মহাসম্মানিত সুন্নতী তারতীব মুবারক
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
যেসব দিনে গোসল করা ও গোসলে কি কি ব্যবহার করা মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
চিকিৎসা গ্রহণ করা খাছ সুন্নত মুবারক (২)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
চিকিৎসা গ্রহণ করা খাছ সুন্নত মুবারক (১)
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৫)
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৪)
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৩)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (২)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












