মহিলাদের জন্য খাছ শরয়ী ও সুন্নতী বোরকা
, ০৯ শা’বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০২ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ০২ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ১৬ই ফাল্গুন, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মহিলাদের পাতা
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যুগে এবং পরবর্তী যুগে মুসলমান মহিলারা পুরো শরীর আবৃত করার জন্য বোরকা পরিধান করতেন। গইরে মাহরাম সকল পুরুষের সামনে মহিলাদের পুরো শরীর আবৃত করা ফরয। বড় চাদর, জিলবাব, ওড়না ও নিকাব এসব দিয়েও পুরো শরীর আবৃত করার ফরয আদায় করা সম্ভব; তবে তা খুবই কষ্টকর এবং কাজকর্ম ও চলাচলের জন্য অনুপযোগী। এজন্য গৃহের বাইরে মহিলাদের ফরয সতর পুরো শরীর আবৃত করার জন্য সবচেয়ে সহজ ও মাসনূন পোশাক হলো বোরকা।
বোরকার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম লক্ষণীয় হলো, তা পুরো শরীর আবৃত করবে। ঢিলেঢালা হবে এবং দৃষ্টি আকর্ষণকারী বা প্রসিদ্ধির পোশাক হবে না। মহিলাদের জন্য যদিও সকল রঙ বৈধ। তবে ক্ষেত্রেবিশেষে কোনো কোনো রঙ পরিহার করাটাই শালীনতার ও সৌজন্যতার কারণ। স্বাভাবিক পরিবেশে কোনো মহিলা লাল, নীল ইত্যাদি রঙের বোরকা পরিধান করলে তা দৃষ্টি আকর্ষণকারী পোশাক বলে গণ্য হয়, যার কারণে বোরকার রঙ সাধারণত কালো হয়ে থাকে।
অনুরূপভাবে বোরকার কাটিং বা ডিজাইন যদি সতর (পুরো শরীর) আবৃত করতে কোনো সমস্যা সৃষ্টি না করে, তবে তা বৈধ। কিন্তু কোনো বিশেষ ডিজাইন যদি বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণকারী হয়, তাহলে তা পরিহার করতে হবে। অর্থাৎ আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে যে, বোরকা যেনো স্বয়ং সৌন্দর্যে বা অলঙ্কারে পরিণত না হয়। কারণ মহিলাদের বোরকার আসল উদ্দেশ্য হলো মূল দেহের পোশাক, দেহে ব্যবহৃত অলঙ্কারাদি ও দেহের সৌন্দর্য ঢেকে রাখা বা আবৃত করা। এক্ষেত্রে বোরকাই যদি বিশেষরূপে দৃষ্টি আকর্ষণকারী হয় তাহলে বোরকা ব্যবহারের উদ্দেশ্য থাকলো কোথায়।
কাজেই পোশাকের মধ্যে যে আকর্ষণীয়তা রয়েছে তা পরিহার বা বর্জন করে স্বাভাবিক ও সহজ ডিজাইনের বোরকা পরিধান করতে হবে। এ রকম বোরকাই হচ্ছে শরীয়ত নির্দেশিত বোরকা।
বোরকা’ কালো রংয়ের হওয়াই উত্তম। কেননা কালো রং ব্যতীত অন্যান্য রংয়ের মধ্যে আলাদাভাবে একটা সৌন্দর্য্য ফুটে উঠে। আর বোরকা পরিধান করার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- খাছভাবে ছতর ঢেকে পর্দা করা ও সৌন্দর্য্যকে চুপিয়ে রাখা, যা কালো রংয়ের বোরকার মাধ্যমে সহজেই সম্ভব।
কালো রংয়ের পোশাকের মধ্যে কোন অমঙ্গল নেই। মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যদিও কালো রংয়ের কোর্তা (জামা) মুবারক ও চাদর মুবারক কম পরিধান করেছেন, কিন্তু কালো রংয়ের জুব্বা মুবারক ও পাগড়ী মুবারক প্রায়ই পরিধান করতেন। আর কালো রংয়ের কম্বল ব্যবহার করতেন।
উল্লেখ্য, আব্বাসীয় খিলাফত আমলে কালো রংয়ের পোশাককে সরকারী পোশাক হিসেবে গ্রহণ করা হয়। কিন্তু পুরুষের জন্য যেমন সর্বদা কালো জামা, কালো লুঙ্গি ও কালো সেলওয়ার ব্যবহার করা সুন্নত নয়, তদ্রুপ মেয়েদেরও একই হুকুম। তবে মাঝে মধ্যে ব্যবহার করা সুন্নত উনার খিলাফ নয়।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তিন ধরনের লোক বেহেশতে প্রবেশ করবে না
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
হযরত উম্মে সুরাইকা দাওসিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (৩)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (১০)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












