মহিলা স্বাস্থ্য:
মাসিক মাজুরতা চলাকালে কী খাব, কী খাব না
এডমিন, ০২ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২০ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৩ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মহিলাদের পাতা

দেখা দেয় আয়রনের ঘাটতি। ফলে অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের বেশি হয়। সুস্থ জাতি গঠনে মেয়েদের এ ঘাটতি পূরণে মনোযোগী হওয়া জরুরি।
এ সময় অভিভাবকরা সচেতন না হলে পরে এই মেয়েই যখন মা হবে, নিজের সাথে গর্ভের সন্তানও রক্তশূন্যতায় ভুগবে। এজন্য মেয়েদের প্রতি বাড়তি যতœ নেওয়া দরকার। মাসিক মাজুর হলে হরমোনাল পরিবর্তনের সাথে শরীর থেকে অনেক বেশি আয়রন বের হয়ে যায়। এজন্য এ সময়ে প্রচুর পরিমাণে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
গাঢ় রঙের খাবারে সাধারণত আয়রন বেশি থাকে। গাঢ় সবুজ শাক-সবজিতেও প্রচুর পরিমাণ আয়রন থাকে। আয়রনের পাশাপাশি ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ খাবারও দিতে হবে। এতে শরীরে আয়রনের শোষণ প্রক্রিয়া ভালো হবে। আয়রন জাতীয় খাবার বা মাছ-গোশত খাওয়ার সময়, সাথে লেবু দিতে হবে। তাহলে শরীরে আয়রনের শোষণ খুব কার্যকর হবে।
সামুদ্রিক মাছে আয়রনের পরিমাণ অনেক ভালো থাকে। ব্রাউন রাইসেও যথেষ্ট আয়রন রয়েছে। আমাদের প্রচলিত খাবারেও আয়রন রয়েছে। যেমন আখের গুড়ের শরবত হতে পারে আয়রনের অন্যতম একটি উৎস।
তবে আয়রন জাতীয় খাবার খাওয়ার সময় বেশি বেশি চা-কফি পানের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কিশোর বয়সে মাসিক মাজুরতা শুরু হলে পড়াশোনার চাপে রাত জাগতে হয়। এ সময় অনেকে কিছু সময় পরপর চা কিংবা কফি পান করেন। এগুলো শরীরে আয়রন শোষণে ব্যাঘাত ঘটায়। আরেকটি বিষয়ে নজর দিতে হবে। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের সময় পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। কারণ পানি কম পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।