মুখোশধারী মুনাফিক্ব (২)
, ০৫ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ২ ছানী, ১৩৯৩ শামসী সন , ১ জুলাই, ২০২৫ খ্রি:, ১৭ আষাঢ়, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
সীরাতগ্রন্থসমূহে উল্লেখ রয়েছে যে,
وَتُعْرَفُ بِالْفَاضِحَةِ لِافْتِضَاحِ الْمُنَافِقِينَ فِيهَا
অর্থ: “তাবূক্বের সম্মানিত জিহাদ মুবারক-এ মুনাফিক্বদের নিফাক্বীর মুখোশ উন্মোচিত হয়েছিলো বিধায়, এই সম্মানিত জিহাদ মুবারক الفاضحة (আল ফাদ্বিহাহ্) নামে প্রসিদ্ধ। ” (আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যাহ্ ১/৪১৮, শারহুয যারক্বানী ২/৪০৪, ইমতা‘উল আসমা ৮/৩৯১, তারীখুল খমীস ২/১২২ ইত্যাদি)
যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওহী মুবারক প্রাপ্ত হয়ে সম্মানিত তাবূক জিহাদ মুবারক-এ যাওয়ার প্রস্তুতি মুবারক নিচ্ছিলেন, তখন মুনাফিক্বদের লুকানো শত্রুতা, কপটতা ও প্রতারণা একে একে প্রকাশ পেতে শুরু করে। তাদের অন্তরে লালিত হচ্ছিল এক কুটিল, নিকৃষ্ট ও ধ্বংসাত্মক ষড়যন্ত্র। যার লক্ষ্য ছিলো- যাতে সম্মানিত মুসলিম বাহিনী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ ত্যাগ না করেন এবং রোম বাহিনীর আক্রমণের পথ সুগম হয়। না‘ঊযুবিল্লাহ! এই মুনাফিক্ব চক্রের ষড়যন্ত্র এতটাই জঘন্য ও গুরুতর ছিল যে, এ বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত ও পবিত্র সূরা তাওবা শরীফ উনার (৩৮-১১০ উনাদের মধ্যে) অনেকগুলো সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করেন। এর মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক তিনি মু’মিনগণ উনাদের সম্মানিত ঈমান আরো শক্তিশালী ও সুদৃঢ় করেন এবং মুনাফিক্বদের ধোঁকাবাজি, ষড়যন্ত্র ও নিফাক্বীর মুখোশ পরিপূর্ণভাবে উন্মোচন করে দেন। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই, এই দৃষ্টিকোণ থেকে মুনাফিক্বদের ধোঁকাবাজি, ষড়যন্ত্র ও নিফাক্বীর মুখোশ উন্মোচন করাও একখানা বিশেষ সুন্নত মুবারক এবং মু’মিনগণ উনাদের সম্মানিত ঈমান হিফাযত, শক্তিশালী ও সুদৃঢ় হওয়ার মাধ্যম। তাই, বর্তমান যুগের মুখোশধারী মুনাফিক্বদের মুখোশ উন্মোচন করার লক্ষ্যে সেই বিষয়ে কিছু আলোচনা করা হলো-
নেক কাজে বাধা দেয়া ও ফিতনা ছড়ানো মুনাফিক্বদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য:
মুনাফিক্ব সর্দার উবাই ইবনে সুলূলের নেতৃত্বে মুনাফিক্বদের একটি বিরাট দল নানাবিধ মিথ্যা অজুহাত ও ছলচাতুরীর মাধ্যমে তাবূক জিহাদ মুবারক-এ শরীক হওয়া থেকে পিছিয়ে থাকে। তারা শুধু নিজেরাই পিছিয়ে ছিলো না; বরং গোপনে মু’মিনগণ উনাদের অন্তরে সন্দেহ, দুর্বলতা ও হতাশা সৃষ্টি করে উনাদেরকে এই মুবারক জিহাদ থেকে বিরত রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে।
তারা বলতে শুরু করে- “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং উনার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুমগণ উনারা কেউ আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে ফিরতে পারবেন না। রোম শাসক উনাদেরকে বন্দী করে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে দিবে। ” না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ!
মুনাফিক্ব সর্দার উবাই ইবনে সুলূল বলে,
يَغْزُو )سَيِّدُنَا مَوْلَانَا( مُحَمَّدٌ )صَلَّى ٱللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ( بَنِي ٱلْأَصْفَرِ مَعَ جَهْدِ ٱلْحَالِ وَٱلْحَرِّ وَٱلْبَلَدِ ٱلْبَعِيدِ، إِلَىٰ مَا لَا طَاقَةَ لَهُ بِهِ، يَحْسَبُ )سَيِّدُنَا مَوْلَانَا( مُحَمَّدٌ )صَلَّى ٱللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ( أَنَّ قِتَالَ بَنِي ٱلْأَصْفَرِ مَعَهُ ٱللَّعِبُ وَٱللّٰهِ لَكَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَىٰ أَصْحَابِهِ مُقَرَّنِينَ فِي ٱلْحِبَالِ
“নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কি এই দুঃসময়ে, তীব্র গরমে এবং এত দূরবর্তী দেশে ‘বনু আছফার’ অর্থাৎ রোমদের সাথে সম্মানিত জিহাদ মুবারক করতে যাচ্ছেন? এটা তো এমন এক কাজ, যার সামর্থ্য উনার নেই। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মনে করছেন, রোমের সাথে সম্মানিত জিহাদ মুবারক করা কোনো খেলা-ধুলা। মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! আমি যেন এখনই দেখতে পাচ্ছি যে, উনার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুমগণ উনারা রশিতে বাঁধা অবস্থায় বন্দী হয়ে আছেন। ” না‘ঊযুবিল্লাহ! (আস সীরাতুল হালাবিয়্যাহ্, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ, শারহুয যারক্বানী ইত্যাদি)
কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছে,
وَحَدَّثُوا أَنْفُسَهُمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَرْجِعُ إِلَيْهِمْ أَبَدًا
“এই মুনাফিক্বগুলো নিজেদের মধ্যে এইরূপ কুফরি ধারণা পোষণ করেছিলো (এবং বলাবলি করছিলো) যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আর কখনো তাদের নিকট (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে) ফিরে আসবেন না। ” না‘ঊযুবিল্লাহ! (সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ)
অর্থাৎ তাদের বক্তব্য এরূপ ছিলো যে, ‘রোমের বিরুদ্ধে এই সম্মানিত জিহাদ মুবারক-এ সম্মানিত মুসলিম বাহিনী পরাজিত হবেন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করবেন। ’ না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ!
তারা নিরন্তর গুজব, কুৎসা ও অপপ্রচার ছড়িয়ে মু’মিনগণ উনাদের এই সম্মানিত জিহাদ মুবারক-এ অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করার ঘৃণ্য অপচেষ্টা চালাতে থাকে। না‘ঊযুবিল্লাহ!
মুনাফিক্বরা নিজেরা তো মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায়, এই সম্মানিত জিহাদ মুবারক-এ কিছুই দান করেনি; বরং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের মধ্যে যাঁরা সাধ্য-সামর্থ্য অনুযায়ী দান করতেন- উনাদেরকে নিয়ে তারা কটাক্ষ করতো, ঠাট্টা-বিদ্রƒপ করতো। না‘ঊযুবিল্লাহ! তারা বিদ্রƒপ করে বলতো যে, ‘উনারা কি এই দু’চারটি খেজুর দান করে তথাকথিত বিশ্বশক্তি রোম সাম্রাজ্যকে পরাজিত করবেন! এমন অল্প কিছু দিয়েই কি উনারা বিশাল সাম্রাজ্য জয়ের দিবাস্বপ্ন দেখছেন! না‘ঊযুবিল্লাহ!’
‘বুখারী শরীফ’-এ রয়েছে- হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের এই ফানা-বাক্বা দেখে মুনাফিক্বরা বলে যে,
إِنَّ اللَّهَ لَغَنِيٌّ عَنْ صَدَقَةِ هَذَا وَمَا فَعَلَ هَذَا الآخَرُ إِلَّا رِئَاءً
‘নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এসব ছাদাক্বাহ্ থেকে অমুখাপেক্ষী। উনারা এগুলি করছেন রিয়া বা লোক দেখানোর জন্য। ’ না‘ঊযুবিল্লাহ! তখন তাদের এই ঘৃণিত বিদ্রƒপ ও কটাক্ষের সমুচিত জবাব দিয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি নাযিল করেন-
الَّذِينَ يَلْمِزُونَ الْمُطَّوِّعِينَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ فِي الصَّدَقَاتِ وَالَّذِينَ لاَ يَجِدُونَ إِلاَّ جُهْدَهُمْ فَيَسْخَرُونَ مِنْهُمْ سَخِرَ اللهُ مِنْهُمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ
অর্থ: “মু’মিন উনাদের মধ্যে যাঁরা স্বেচ্ছায় দান করেন এবং যাঁরা কষ্টার্জিত সম্পদ থেকে দান করেন, উনাদেরকে যারা দোষারোপ বা নিন্দা করে এবং উনাদেরকে নিয়ে বিদ্রƒপ করে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে বিদ্রƒপের পাত্র করবেন এবং তাদের জন্য রয়েছে কষ্টদায়ক শাস্তি। ” (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা তাওবা শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৭৯)
এই দীর্ঘ আলোচনা থেকে দিবালোকের ন্যায় অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, মহাসম্মানিত হাদী উনার বিরোধিতা করা, নেক কাজে বাধা দেওয়া এবং ফিতনা ছড়ানো- মুনাফিক্বদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। বর্তমান সময়ে সেই বৈশিষ্ট্যই মুখোশধারী মুনাফিক্বদের মাঝে অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। তারা মহাসম্মানিত হাদী উনার বিরোধিতা করে যাচ্ছে; মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক উনার ব্যাপক প্রচার-পসার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফরয কুরবানী মুবারকসহ আরও বহু নেক কাজে বাধা প্রদান করছে এবং মানুষের মাঝে ফিতনা ছড়াচ্ছে।
সুতরাং, এরা হচ্ছে সেই অভিশপ্ত উবাই ইবনে সুলূলের আদর্শিক বংশধর- যারা মুখোশধারী বিশ্বাসঘাতক, অন্তরে কুফরী ও নিফাক্বী লালনকারী, হক্ববিদ্বেষে উন্মত্ত শয়তানের দোসর। এরা নেক আমলের প্রতিবন্ধক, ফিতনার বীজবপনকারী, মুসলমানদের মাঝে ভাঙন ধরানোর অভিশপ্ত দালাল। তাদের ব্যাপারে মহান আল্লাহ পাক উনার স্পষ্ট ফায়ছালা মুবারক-
إِنَّهُمْ رِجْسٌ
অর্থাৎ ‘নিশ্চয়ই তারা অপবিত্র, নাপাক। ’ (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা তাওবা শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৯৫)
এবং আরও ইরশাদ হয়েছেন,
إِنَّ الْمُنَافِقِينَ فِي الدَّرْكِ الْأَسْفَلِ مِنَ النَّارِ
অর্থাৎ ‘নিশ্চয়ই মুনাফিক্বদের আবাসস্থল হচ্ছে জাহান্নামের সর্বনি¤œ স্তরে। ’ (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা নিসা শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১৪৫)
সুতরাং, বর্তমানে যারা হক্বের বিরোধিতা করে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক উনার ব্যাপক প্রচার-পসার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফরয কুরবানী মুবারক উনাদের মতো নেক আমলে বাধা দেয়, এ বিষয়ে ফিতনা ছড়ায়- এরা ঐ উবাই ইবনে সুলূলের খাছ শাগরিদ, এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই।
তার পাশাপাশি আলোচ্য ধারাবাহিক লেখা থেকে এই বিষয়টি অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যুগেই মুনাফিক্বরা প্রকাশ্যে ও গোপনে উনার বিরোধিতা করেছে। উনার দেওয়া হুকুম মুবারক ও ফায়ছালা মুবারকসমূহ নিয়ে নানা চূ-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করেছে, নানা বিতর্ক ও প্রশ্ন তুলেছে, মানুষের মাঝে সন্দেহ ও বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে, হক্ব বিষয় ও দ্বীনী আনজাম থেকে ফিরিয়ে রাখার অপচেষ্টা চালিয়েছে, নানা ধরণের ফিতনা-ফাসাদ ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থেকেছে, উনার সুস্পষ্ট নির্দেশ মুবারক অমান্য করেছে; এমনকি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে শহীদ করার মতো নিকৃষ্টতম প্রচেষ্টাও করেছে। না‘ঊযুবিল্লাহ! অথচ বাহ্যিকভাবে তারা ছিলো মুসলমান নামধারী, নামায-রোযা পালনকারী।
সুতরাং, এটা একখানা বিশেষ সুন্নত মুবারক ও চিরন্তন বাস্তবতা যে, যিনি মহাসম্মানিত হাদী হবেন, বিশেষ করে যিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ হাক্বীক্বী ক্বায়িম মাক্বামে হবেন, উনার বিরুদ্ধেও ঠিক এমন কিছু মুখোশধারী মুনাফিক্ব থাকবে- যারা বাহ্যিকভাবে মুরীদ কিংবা মুসলমানের পরিচয় বহন করলেও অন্তরে লুকিয়ে রাখবে কুফরী, নেফাক্বী, বিদ্বেষ, অহংকার ও বিদ্রোহ। উনার হুকুম মুবারক ও ফয়সালা মুবারক উনার বিরুদ্ধে তারা আপত্তি করবে, প্রশ্ন তুলবে, সন্দেহ পোষণ করবে, বিভ্রান্তি ছড়াবে, মানুষকে ওয়াসওয়াসা দিবে, সরাসরি উনার সুস্পষ্ট নির্দেশ মুবারক অমান্য করবে এবং উনার সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করবে। না‘ঊযুবিল্লাহ!
এরাই হচ্ছে আসল ‘মুখোশধারী মুনাফিক্ব’।
এরা হলো দুনিয়ার সবচেয়ে বড় ধোঁকাবাজ ও প্রতারক এবং মহাসম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সবচেয়ে নিকৃষ্ট দুশমন। মহান আল্লাহ পাক উনার হিকমত ও কুদরত মুবারকে এদের মুখোশ একদিন উন্মোচিত হয়ে যাবে, খসে পড়বে। সেদিন এরা ধরা পড়বে নিঃস্ব, লাঞ্ছিত ও ধ্বংসপ্রাপ্ত অবস্থায়। এটাই তরতীব, এটাই প্রকৃত বাস্তবতা। এরা যতই মুখে মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র কালিমা শরীফ পাঠ করুক না কেন, কার্যত তারা মুনাফিক্ব, জাহান্নামী- যদি না তারা খালিছভাবে তওবা করে।
অতএব, এই মুখোশধারী বা পরিচয় গোপনকারী মুনাফিক্বদের থেকে এবং তাদের সর্বপ্রকার ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত থেকে সাবধান!
(পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকুন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩১)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৬)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ব্যবহৃত একখানা শব্দ মুবারক পবিত্র “নূরুন নাজাত” মুবারক উনার ব্যাপকতা ও বিশালতা
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে মানহানীকারীদের যুগে যুগে ভয়াবহ পরিণতি (৩০)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৫)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি তিনজন উনাদের মুহব্বত ফরয করে দিয়েছেন-
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মেহমানদারী করার মাধ্যমে উদযাপনে শাফায়াত মুবারক লাভ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩০)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইজতিহাদ সংক্রান্ত মওযূ হাদীছ ও তার খন্ডনমূলক জবাব (৪)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইত্তিবা বা অনুসরণ করার ক্ষেত্রে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের কোন মেছাল নেই
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (২৯)
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












