মুসলমান শাসকদের শাসনামলেই প্রথম এক ধরনের ছবিবিহীন পাসপোর্টের প্রচলন ঘটে
, ০৯ ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৭ ছালিছ, ১৩৯১ শামসী সন , ২৬ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি:, ১১ ভাদ্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মহিলাদের পাতা
হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ উনার ৪৫০ বৎসর পূর্বের একটি কল্পিত ঘটনা হিব্রু বাইবেলে উল্লেখ আছে, যা কাফিররা পাসপোর্টের ইতিহাসের দলীল হিসেবে উল্লেখ করে থাকে। কিন্তু বাস্তব ও সত্য হচ্ছে- মুসলমান শাসকদের আমলেই মূলত পাসপোর্টের ব্যবহার শুরু হয়। মুসলমান নাগরিকরা যারা বায়তুল মালে যাকাত প্রদান করতেন এবং কাফিররা যারা জিযিয়া কর দিতো তাদের ‘বারাআ’ নামক একটি কাগজ প্রদান করা হতো এবং সেই কাগজটি তারা ভ্রমণের দলীল বা পাসপোর্ট হিসেবে ব্যবহার করতো।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগ পর্যন্ত ইউরোপে পাসপোর্টের ব্যবহার ছিলো না। প্রথম যখন পাসপোর্টে ছবির ব্যবহার শুরু হয়, তখন ব্রিটিশরাই এটাকে নেস্টি-ডিহিউমেনাইজেশন অর্থাৎ নোংরা ও মানবতার অবমাননা বলে উল্লেখ করতো।
সম্প্রতি পশ্চিমা বিশ্ব ছবি বাদ দিয়ে ‘ফিঙ্গারপ্রিন্টিং পাসপোর্ট’ তৈরির পরিকল্পনা করছে এবং তাতে যথেষ্ট অগ্রগতিও হয়েছে। এককভাবে ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতিতে গত একশ বছরে যতটুকু অগ্রগতি হয়েছে তার চেয়ে গত পনেরো বছরে অগ্রগতি হয়েছে বেশি। এতে এটাই স্পষ্ট হচ্ছে যে- শুধু পাসপোর্টে নয়, বরং বিভিন্ন জায়গাতেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতি ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে এবং এটি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য একটি শনাক্তকরণ পদ্ধতি।
পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার মাঝে যেহেতু ছবিকে হারাম করা হয়েছে, তাই এটা নিশ্চিত যে, এর মধ্যে কোনো কল্যাণ নেই। কল্যাণ তো নেইই; সাথে সাথে রহমত থেকে বঞ্চিত হয়ে লা’নতের উপযুক্ত হয়ে যায়। নাউযুবিল্লাহ! কাজেই মুসলমানদের উচিত- জীবনের সব স্তর থেকে ছবির ব্যবহার পরিহার করা।
সুতরাং প্রত্যেক মুসলিম দেশের শাসকদের উচিত- পাসপোর্টসহ যে সমস্ত স্থানে ছবির ব্যবহার রয়েছে সেখানে ছবির ব্যবহার উঠিয়ে দেয়া এবং শনাক্তকরণ পদ্ধতির ক্ষেত্রে ছবির পরিবর্তে ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতির প্রচলন ঘটানো।
-মুহম্মদ রুহুল হাসান, ঢাকা
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরযে আইন হচ্ছে- যথাযথভাবে ৫ ওয়াক্ত নামায তারতীব অনুযায়ী যথাসময়ে আদায় করে নেয়া
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












