মুসলিম বিশ্বের জন্য একটি আদর্শ সৌর ক্যালেন্ডার অত্যন্ত জরুরী। উম্মাহর এই ঘাটতি পুরণের উদ্দেশ্যেই আত-তাক্বউইমুশ শামসী তৈরি করা হয়েছে। মুসলিম বিশ্বের উচিত- বিধর্মীদের অনুসরন বাদ দিয়ে আত-তাক্বউইমুশ শামসী অনুসরন-অনুকরন করা।
, ০২রা শা’বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৫ তাসি’, ১৩৯২ শামসী সন , ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রি:, ১৯ মাঘ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা

বিশ্বে সাধারণত ৪ ধরণের ক্যালেন্ডার ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ১. সূর্যভিত্তিক সৌর সন ২. চাঁদভিত্তিক চন্দ্র সন ৩. সূর্য ও চাঁদ মিলিয়ে লুনিসোলার সন ৪. নক্ষত্র অনুযায়ী নাক্ষত্রিক সন (যা এখন আর তেমন ব্যবহার হয়না)।
প্রায় ৪০ প্রকার ক্যালেন্ডার ব্যবহার হয়ে থাকে বিশ্বজুড়ে। যেমন- গ্রেগরীয়ান ক্যালেন্ডার, বাহাই ক্যালেন্ডার, ফসলী ক্যালেন্ডার, বৌদ্ধ ক্যালেন্ডার, বার্মিজ ক্যালেন্ডার, চাইনিজ ক্যালেন্ডার, হিব্রু ক্যালেন্ডার, ভারতীয় জাতীয় ক্যালেন্ডার, ইরানিয়ান ক্যালেন্ডার, জাপানিজ ক্যালেন্ডার, কোরিয়ান ক্যালেন্ডার ইত্যাদি।
পৃথিবীতে আজ যতগুলো ক্যালেন্ডার ব্যবহার হচ্ছে সবই মূলত ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক কাজের জন্যই। আর ধর্মীয় বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রশাসনিক কাজেও ব্যবহার করছে। অনেকে মনে করে, গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার হয়তো বেশী নির্ভুল, তাই এটি আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবহার হয়ে আসছে এর ধর্মীয় কোন গুরুত্ব নেই। আসলে তা নয়। ইতিহাস ঘাটলেই দেখতে পাবেন জুলিয়ান ক্যালেন্ডার সংশোধনের মূলে রয়েছে ধর্মীয় কারণ।
আর পৃথিবীর অনেক দেশে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার চালু হয়েছে ইউরোপীয় উপনিবেশ থাকার কারণে।
যে সব দেশে ইউরোপীয় উপনিবেশ ছিলোনা সেসব দেশে আজো গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসরণ করা হচ্ছে না। যেমন- বর্তমানে ইরান, আফগানিস্তান, ইথিওপিয়া, নেপাল তাদের নিজস্ব ক্যালেন্ডার ব্যবহার করছে। উল্লেখ্য এদেশগুলো কখনো ইউরোপীয় উপনিবেশ মেনে নেয়নি।
আবার দেখা যাচ্ছে অনেক দেশ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যবসা করার কারণে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার মেনে নিলেও তাদের প্রশাসনিক, ধর্মীয় উৎসব ঠিক করার জন্য তাদের নিজস্ব ক্যালেন্ডার ব্যবহার করছে। তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, উত্তর কোরিয়া, জাপান নিজেদের মত করে একটা ক্যালেন্ডার ব্যবহার করছে। তাছাড়া ইসরাইল, চাইনিজরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যবসায়িক কারণে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার মেনে নিলেও নিজ নিজ দেশের প্রশাসনিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কাজকর্ম পালনের লক্ষ্যে তাদের নিজস্ব ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে থাকে।
তাহলে যিনি সকল সৃষ্টির মূল যিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মনে রেখে যদি কোন ক্যালেন্ডার রচিত হয় তা অবশ্যই মুসলিম বিশ্বের মুসলমানগণ মেনে নেবেন এবং মেনে নেয়াই আবশ্যক।
আত তাকউইমুশ শামসী সনের বিশেষত্ব:
এই শামসী সন শুরু হয়েছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে বছর এবং যে মাসে আল্লাহ পাক উনার সাথে দীদারে মিলিত হন সেই বছর ও সেই মাসের পহেলা তারিখ থেকে। অর্থাৎ ১১ হিজরি সনের সাইয়্যিদুশ শুহূর পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ মাসের পহেলা তারিখ থেকে। তাহলে এই শামসী সন অনুসরণের মধ্যে দিয়ে মুসলমানগণ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে স্মরণ করবেন।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা কাফির মুশরিকদের অনুসরণ করোনা।” আর প্রত্যেক জাতি তার নিজস্ব স্বকীয়তা ধারণ করার চেষ্টা করা উচিত সেই হিসেবে মুসলিম জাতির পক্ষ থেকে এই শামসী সন রচনা করেছেন যিনি মহান আল্লাহ পাক উনার লক্ষ্যস্থল ওলী আল্লাহ ঢাকা রাজারবাগ দরবার শরীফের সম্মানিত শায়েখ উনার সুযোগ্য লখতে জিগার আহলে বাইতে রসূল হযরত খলিফাতুল উমাম আল মানসুর আলাইহিস সালাম। তাই বিশ্বের সকল দেশের বিশেষ করে মুসলিম দেশসমূহের সরকারদের উচিত এই শামসী ক্যালেন্ডারটির যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করা এবং এর প্রচলন করার ব্যবস্থা নেয়া। (সংক্ষেপিত)
-এ বি এম রুহুল হাসান
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ভোট, নির্বাচন, পদপ্রার্থী হওয়া ইত্যাদি কোনটিই জায়িয নেই
২০ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুসলমানগণ কোন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ঐক্যবদ্ধ হবেন (২)
২০ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নেক আমলের চেয়েও নেক ছোহবত বেশি জরুরী (১)
২০ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইবরত-নছীহত: ‘কার মর্যাদা বেশী’
২০ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২০ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২০ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পুরুষের জন্য কমপক্ষে একমুষ্ঠি পরিমাণ দাড়ি রাখা ফরয
১৯ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত খাজা বাহাউদ্দীন নকশবন্দ বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৫)
১৯ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হামিলু লিওয়ায়িল হামদ, আকরামুল আউওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত নূরুল মাগফিরাত মুবারক তথা হাত মুবারক উনার স্পর্শ মুবারকে খাদ্যদ্রব্যে অভাবনীয় বরকত (৫ম পর্ব)
১৯ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
তা’লীমুল মাসায়িল (২)
১৯ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা সর্বপ্রকার বিপদ-আপদ থেকে হিফাজত হওয়ার মাধ্যম
১৯ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৯ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)