বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদান:
মুসলিম স্বর্ণালী যুগের লাইব্রেরির ধরণ ও পরিচালনা
, ২৩ শে রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৭ ছামিন, ১৩৯২ শামসী সন , ২৪ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রি:, ১০ মাঘ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) বিজ্ঞান মুসলমান উনাদেরই অবদান
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
ইসলামিক স্বর্ণযুগের লাইব্রেরিগুলোর সবচেয়ে বড় ধ্বংসযজ্ঞ সাধিত হয়েছে ৭ম হিজরী শতকে মধ্য এশিয়া থেকে আসা মঙ্গলদের আক্রমণের ফলে। প্রথম বড় অভিযানে (হিজরী ৬১৪-৬১৬; ৫৮৫-৫৮৭ শামসী; খ্রিস্টাব্দ ১২১৮-১২২০) বোখারা, সমরকন্দ এবং মারভ শহরগুলি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। পরে হিজরী ৬৫৫ (৬২৫ শামসী, ১২৫৮ খ্রিস্টাব্দ) সালে মঙ্গলরা বৃহত্তর শক্তিতে ফিরে আসে এবং এই সময় বাগদাদকে ধ্বংস করে। এক সপ্তাহের মধ্যে, শত শত বছর ধরে সঞ্চিত থাকা কিতাবগুলো, লাইব্রেরিগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়। কিতাবগুলোর চামড়ার অংশ মঙ্গলরা তাদের জুতা তৈরিতে ব্যবহার করেছিল। জ্বালানী হিসেবে অনেক পা-ুলিপি ব্যবহার করেছিল এবং শত সহস্র ছাত্র, গবেষকসহ শহরের অধিবাসীদের শহীদ করেছিল।
বাগদাদে প্রায় ৩০টি পাবলিক লাইব্রেরি এবং শতাধিক ব্যক্তিগত লাইব্রেরি ধ্বংস করার পর, মঙ্গলরা সিরিয়ায় প্রবেশ করে এবং কার্যত প্রাচীন শহর দামেশককে নিশ্চিহ্ন করে দেয়। অবশেষে, মিশরের মুসলমানরা ৬৫৮ হিজরীতে মঙ্গলদের অগ্রগতি বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। যার ফলে তারা ধীরে ধীরে মধ্য এশিয়ায় ফিরে আসে, কিন্তু বাগদাদকে আবার ধ্বংস করার আগে নয়। যদিও লাইব্রেরির ইতিহাস নিয়ে কাজ করা বেশিরভাগ আধুনিক বর্ণনায় আরবী-ইসলামিক লাইব্রেরির ইতিহাসকে উপেক্ষা করা হয়, তবে আরবী-ইসলামী সভ্যতা বর্তমানে পরিচিত লাইব্রেরির পরিবেশের বেশিরভাগ অংশই জারী করেছিল।
বিভিন্ন অনুঘটকে অনুপ্রাণিত হওয়ার কারণে ২য় থেকে ৮ম হিজরী শতক এর মধ্যে ইসলামী বিশ্বে মসজিদ, ব্যক্তিগত, সরকারী এবং একাডেমিক লাইব্রেরিগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ইসলাম উনার সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থাগারগুলি ছিল বাগদাদে আব্বাসীয় খলীফাদের গ্রন্থাগার বাইতুল হিকমাহ (দ্য হাউস অফ উইজডম) এবং কায়রোতে ফাতেমীয় খলীফার লাইব্রেরি দারুল হিকমাহ (দ্য হাউস অফ সায়েন্স)।
সাধারণভাবে বলতে গেলে, আরবী-ইসলামিক গ্রন্থাগারগুলো তাদের সংগ্রহ, কর্মী ও বাজেটে সমৃদ্ধ ছিল; সুসংগঠিত এবং তাদের ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন পরিষেবা অফার করতে সক্ষম। দুর্ভাগ্যবশত, বেশিরভাগ আরবী-ইসলামিক গ্রন্থাগার ধ্বংসের জন্য অনেক রাজনৈতিক উত্থান-পত্তনসহ ধর্মবিদ্বেষ দায়ী ছিল।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মুসলিম স্বর্ণালী যুগের লাইব্রেরির ধরণ ও পরিচালনা
১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আর্দ্রতার সাথে গরম ঠান্ডা অনুভূতি
১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মুসলিম স্বর্ণালী যুগের লাইব্রেরির ধরণ ও পরিচালনা
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দ্বিতীয় আল হাকামের গ্রন্থাগার
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আমীরুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার কর্তৃক জ্ঞান-বিজ্ঞানসহ প্রভূত ক্ষেত্রে সৌন্দর্য্য বর্ধন ও শৃঙ্খলাবদ্ধ করণ (২)
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আমীরুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার কর্তৃক জ্ঞান-বিজ্ঞানসহ প্রভূত ক্ষেত্রে সৌন্দর্য্য বর্ধন ও শৃঙ্খলাবদ্ধ করণ (১)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি জ্ঞান-বিজ্ঞানসহ পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সম্মানিত মুকুটস্বরূপ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
কায়রোর ‘দারুল হিকমাহ’
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি জ্ঞান-বিজ্ঞানসহ পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সম্মানিত মুকুটস্বরূপ
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
একাডেমিক লাইব্রেরি
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
একাডেমিক লাইব্রেরি
০১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ব্যক্তিগত পাঠাগার বা প্রাইভেট লাইব্রেরি
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)