মুহররমুল হারাম মাস উনাকে এবং উনার মধ্যস্থিত পবিত্র আশূরা শরীফ উনাকে সম্মান করা ফরয
, ০৭ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৬ ছানী, ১৩৯২ শামসী সন , ১৪ জুলাই, ২০২৪ খ্রি:, ৩০ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
পবিত্র সূরা তাওবাহ শরীফ উনার ৩৬ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় বিশ্বখ্যাত তাফসীর গ্রন্থসমূহে বিশেষ করে ‘আহকামুল কুরআন লিল জাছছাছ হানাফী মাতুরীদী’ নামক তাফসীরে লিখিত আছে, “পবিত্র হারাম মাসগুলোর এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে যে, এতে ইবাদত-বন্দিগী করা হলে বাকি মাসগুলোতেও ইবাদত-বন্দিগী করার তাওফিক ও সাহস লাভ হয়। অনুরূপ কেউ এ মাসগুলোতে পাপ কার্য থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারলে বছরের বাকি মাসগুলোতেও পাপাচার থেকে দূরে থাকা সহজসাধ্য হয়। সুতরাং এ সুযোগের সদ্ব্যবহার থেকে বিরত থাকা অপূরণীয় ক্ষতির কারণ। ”
পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ মাস একটি হারাম বা পবিত্র মাস। এতে বেশি বেশি তাওবাহ-ইস্তিগফার, যিকির-ফিকির, দোয়া-দুরূদ, তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করার মাধ্যমে পরিপূর্ণ বরকত অর্জন করা সকল মু’মিন-মুসলমানগণ উনাদের দায়িত্ব-কর্তব্য।
এ মাসের ফাযায়িল বর্ণনা করতে গিয়ে আরিফবিল্লাহ হযরত আল্লামা ইকবালুুদ্দীন আহমদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ‘মু’মিন কে মাহ ওয়া সাল’ কিতাবের ১৯ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন, “আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বর্ণনা করেন যে, পবিত্র মুহররমুল হারাম মাস হচ্ছে সমস্ত মাস উনার সাইয়্যিদ। ” (দাইলামী শরীফ, মাসাবাতা বিস্ সুন্নাহ)
‘মিরকাত শরহে মিশকাত’ কিতাবে আছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা পবিত্র মুহররম মাস উনাকে সম্মান করো। যে ব্যক্তি পবিত্র মুহররমুল হারাম মাসকে সম্মান করবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে সম্মানিত জান্নাত দ্বারা সম্মানিত করবেন এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করবেন। ” সুবহানাল্লাহ!
বুঝা যাচ্ছে, পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ মাস উনাকে সম্মান করা এবং পবিত্র আশূরা মিনাল মুহররম শরীফ উনাকে সম্মান করা ফরয। তাই পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ উনাকে অসম্মানকারীরা জাহান্নামী তথা জান্নাত থেকে বঞ্চিত। পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ মাসে ও অন্য যে কোনো মুহূর্তে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের অসম্মান করা, তা’জিয়া করা, মাতম করা, হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে গালমন্দ করা হারাম ও কুফরী। এগুলো পবিত্র আশূরা শরীফ উনাকে অসম্মান করার পরিচায়ক; যা লা’নতগ্রস্ত ও জাহান্নামী হওয়ার কারণ। আয় আল্লাহ পাক! বিশ্ববাসীকে পবিত্র মুহররমুল হারাম ও পবিত্র আশুরা শরীফ উনার যথাযথ তা’যীম করে বরকত, রহমত অর্জন করার তাওফিক দান করুন। (আমীন)
-মুহম্মদ তৈমুর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হাযির-নাযির শান মুবারক (১)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আল্লাহওয়ালী মহিলা উনাদের তিনটি বৈশিষ্ট্য-
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পুরুষের জন্য কমপক্ষে একমুষ্ঠি পরিমাণ দাড়ি রাখা ফরয
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (২)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা (২)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পর্দা পালন করা নারী-পুরুষ সকলের জন্যই শান্তি ও পবিত্রতা হাছিলের কারণ
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সীমালঙ্ঘনকারী কাফির-মুশরিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ মুবারক
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












