মৃত ব্যক্তির কবরে তালক্বীন দেয়া খাছ সুন্নত মুবারক (৪)
, ০৪ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৫ ছানী ‘আশার, ১৩৯০ শামসী সন , ২৫ মে, ২০২৩ খ্রি:, ১২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মহিলাদের পাতা
وكذلك تلقين الميت بعد الدفن مستحب؛ وهو داخل في عموم قول النبي صلى الله عليه وسلم: ্রلقِّنوا موتاكم لا إله إلا اللهগ্ধ (رواه مسلم)، وقد وردت فيه الآثار المرفوعة والموقوفة، وتلقَّاه المسلمون بالقَبول عبر العصور-
অর্থ: আর অনুরুপভাবে মৃত ব্যক্তিকে কবরে দাফনের পরে তালক্বীন করা মুস্তাহাব। সেটা মূলত: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ওই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনারই অর্ন্তভুক্ত “তোমরা “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্” কালাম মুবারক বলে মৃত ব্যক্তিকে তালক্বীন দাও” (মুসলিম শরীফ)
আর এ ব্যাপারে অনেক মারফূ ও মাওকূফ হাদীছ শরীফ বর্ণিত হয়েছে। আবার যুগ যুগ ধরে মুসলমানগণও এ বিষয়টি আমল করে আসছেন।
তালক্বীন সম্পর্কে কিতাবে আরো উল্লেখ করা হয়েছে-
وَأَمَّا تَلْقِينُ الْمَيِّتِ فِي الْقَبْرِ فَمَشْرُوعٌ عِنْدَ أَهْلِ السُّنَّةِ لِأَنَّ اللَّهَ تَعَالَى يُحْيِيه فِي الْقَبْرِ وَصُورَتُهُ أَنْ يُقَالَ يَا فُلَانُ بْن فُلَانٍ أَوْ يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ اُذْكُرْ دِينَك الَّذِي كُنْت عَلَيْهِ وَقَدْ رَضِيت بِاَللَّهِ رَبًّا وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم نَبِيًّا
অর্থ: আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের মতে মৃত ব্যক্তির কবরে তালক্বীন করা শরীয়তসম্মত। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে কবরে জীবিত করেন। আর তালক্বীন করার নিয়ম হলো- একজন, মৃত ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে বলবে- হে অমুকের সন্তান অমুক” অথবা এটা বলবে- হে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ! দুনিয়ায় থাকাকালীন অবস্থায় তুমি যার উপর কায়িম ছিলে সে বিষয়ে স্বরণ করো। আর তুমি মহান আল্লাহ্ পাক উনাকে রব হিসেবে, পবিত্র ইসলাম উনাকে দ্বীন হিসেবে এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত নবী ও রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট রয়েছো। (আল জাওহারাতুন নাইয়্যারাহ ১/৩৯৮, দুরারুল হুক্কাম শরহে গুরারুল আহকাম ২/২৪৪, রদ্দুল মুহতার আলাদ দুররিল মুখতার শরহে তানবীরুল আবছার ২/১১৯) (চলবে)
-হাফিযুল হাদীছ মুহম্মদ ফজলুল হক্ব
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তিন ধরনের লোক বেহেশতে প্রবেশ করবে না
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
হযরত উম্মে সুরাইকা দাওসিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (৩)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (১০)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












