যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, হিন্দুদের পূজায় গিয়েছে, তাদেরকে পূজা করতে সাহায্য-সহযোগীতা করেছে, সমর্থন করেছে, সম্মতি প্রকাশ করেছে, তাদের সাথে মুছাফাহা ও মুয়ানাক্বা করেছে, তাদেরকে সম্মান করেছে, তা’যীম করেছে, তাদের সম্পর্কে সম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার করেছে এবং সম্মানসূচক শব্দ দ্বারা সম্বোধন করেছে, বাহ বাহ দিয়েছে এবং বেশী বেশী মূর্তি তৈরী করতে বলেছে এবং বেশী বেশী পূজা করতে বলেছে তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হয়েছে (২৫)
, ২৯ মে, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
কুফরী আমলের পরিণতি হলো, হাশর-নশর কাফির-মুশরিকদের সাথে হবে
দলীল
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ مَنْ مَّرَّ بِـبِلَادِ الْاَعَاجِمِ فَصَنَعَ نَـيْـرُوْزَهُمْ وَمِهِرْجَانَـهُمْ وَتَشَبَّهَ بِـهِمْ حَتّٰـى يَـمُوْتَ وَهُوَ كَذٰلِكَ حُشِرَ مَعَهُمْ يَـوْمَ الْقِيَامَةِ
“হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে বা যারা অনারবদের (কাফির-মুশরিকদের) ভূখ- দিয়ে অতিক্রম করে তাদের নওরোয ও মেহেরজান পালন করবে, (পূজা করবে) এবং তাদের সাথে সামঞ্জস্য-সাদৃশ্যতা অবলম্বন করবে, এমনকি এই অবস্থায় সে মারা যাবে; সেও তাদের অনুরূপ কাফির-মুশরিক হিসেবে সাব্যস্ত হবে। ক্বিয়ামতের দিন তাদের সাথেই তার হাশর-নশর হবে। ” অর্থাৎ যারা কুফরী-শেরেকী কাজ করবে, তাদের হাশর-নশর, কাফির-মুশরিকদের সাথেই হবে। " না‘ঊযুবিল্লাহ! (আস সুনানুল কুবারা)
কাফির হওয়া ও সমস্ত আমল বরবাদ হওয়ার বিষয়ে ফতওয়া
১ম দলীল
এ বিষয় সম্পর্কে ‘ফতওয়ায়ে শামীসহ’ আরো অনেক কিতাবে ফতওয়া দেয়া হয়েছে,
قَالَ حَضْرَتْ اَبُـوْ حَفْصِ ۣ الْكَبِيْـرُ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ لَوْ اَنَّ رَجُلًا عَبَدَ اللهَ خَـمْسِيْـنَ سَنَةً ثُـمَّ اَهْدٰى لِمُشْرِكٍ يَـوْمَ النَّـيْـرُوْزِ بَـيْضَةً يُرِيْدُ تَـعْظِيْمَ الْـيَـوْمِ فَـقَدْ كَفَرَ وَحَبِطَ عَمَلُهٗ
“হযরত ইমাম আবূ হাফস কবীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তি যদি ৫০ বছর মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত-বন্দেগী করে, তারপর সে নওরোয বা পূজাকে তা’যীম করে সেদিন কোনো মুশরিক বা অন্য কাউকে একটি ডিমও দান করে, তাহলে অবশ্যই সে কুফরী করবে এবং তার জিন্দেগীর সমস্ত আমল বরবাদ হয়ে যাবে অর্থাৎ সে কাফির হবে। ” না‘ঊযুবিল্লাহ! (ফতওয়ায়ে শামী ২৯/৩৩৮, তাবঈনুল হাক্বাইক্ব ৬/২৮৮, আল বাহ্রুর রাইক্ব ২৫/৫ ইত্যাদি)
২য় দলীল
এ সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
اِجْتَمَعَتِ الْاُمَّةُ عَلٰى اَنَّ الرِّضَا بِالْكُفْرِ كُفْرٌ
“সমস্ত উম্মত এটার উপর ইজমা করেছেন যে, নিশ্চয়ই কুফরীতে সম্মতি দেয়াও কুফরী। ” না‘ঊযুবিল্লাহ! (তাফসীরুর রাজী ২৬/৪২৫, আল লুবাব ফী উলূমিল কিতাব ১৬/৪৭৮)
৩য় দলীল
আর আক্বাইদের কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
اِسْتِحْلَالُ الْمَعْصِيَةِ كُفْرٌ
“গুনাহের কাজ বা হারামকে হালাল মনে করা কুফরী। ” না‘ঊযুবিল্লাহ! (শরহে আক্বাইদে নাসাফী শরীফ)
কাজেই, উপরোক্ত দলীল-আদিল্লাহসমূহের মাধ্যমে দিবালোকের ন্যায় অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির পাহারা দিয়েছে, পূজা করতে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে এবং সমর্থন করেছে, তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হয়ে গিয়েছে এবং তাদের হাশর-নশরও তাদের সাথে হবে। না‘ঊযুবিল্লাহ! অর্থাৎ কাফির হওয়ার সাথে সাথে তাদের সমস্ত আমল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সম্মানিত শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও কাট্টা মুরতাদ হয়েছে এবং তাদেরকে যারা অনুসরণ করছে এবং করবে, তাদের প্রতিও একই হুকুম বর্তাবে এবং যারা তাদের কুফরী সম্পর্কে দ্বিমত পোষণ করবে, তাদের প্রতিও একই হুকুম বর্তাবে। এদের ইমামতিতে নামাজ পড়া জায়েয নেই। কারণ এরা মুরতাদ ও কাফির হয়ে গেছে। কেউ যদি তাদের পিছনে নামাজ পড়ে, তাহলে তার নামাজ কখনোই হবে না। তাকে নামাজ অবশ্যই দোহরায়ে পড়তে হবে। অন্যথায় সে শুধুমাত্র নামাজ তরকের গুনাহে গুনাহগারই হবে না; বরং সেও মুরতাদ ও কাফির হবে।
(চলবে)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হাযির-নাযির শান মুবারক (১)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আল্লাহওয়ালী মহিলা উনাদের তিনটি বৈশিষ্ট্য-
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পুরুষের জন্য কমপক্ষে একমুষ্ঠি পরিমাণ দাড়ি রাখা ফরয
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (২)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা (২)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পর্দা পালন করা নারী-পুরুষ সকলের জন্যই শান্তি ও পবিত্রতা হাছিলের কারণ
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সীমালঙ্ঘনকারী কাফির-মুশরিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ মুবারক
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












