রক্ত নিয়ে বাণিজ্য- মেশানো হচ্ছে স্যালাইন, লবণ পবিত্র দ্বীন ইসলামী মূল্যবোধের প্রসার ব্যতীত রক্ষা নেই।
, ০২ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৯ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ১৮ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ০২ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সম্পাদকীয়
মুমূর্ষু রোগীর জন্য জীবন বাঁচানো রক্ত নিয়ে চলছে অন্যরকম এক বাণিজ্য। জরুরি সময়ে প্রয়োজনীয়, নিরাপদ রক্তের পরিবর্তে মিলছে পেশাদার রক্ত দাতার অনিরাপদ ও ঝুঁকিপূর্ণ রক্ত। শুধু তাই নয়, বেশি মুনাফার আশায় ব্লাড ব্যাংকগুলোর সংগৃহীত রক্তে মেশানো হচ্ছে স্যালাইন, লবণ ও পানি। সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ আদালত ধানমন্ডির শংকর প্লাজা এলাকার সিটি ব্লাড ব্যাংক, লেক সার্কাস কলাবাগানের ক্রস ম্যাচ ব্লাড ব্যাংক, মোহাম্মদপুর রেড ক্রিসেন্ট ব্লাড ব্যাংক, মহাখালীর রোগী কল্যাণ ব্লাড ব্যাংক ও ডে কেয়ার সেন্টারে অভিযান চালায়। সেখানে স্যালাইন মিশ্রিত রক্তের প্যাকেট জব্দ করে প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মচারীদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা করে প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দেয়।
প্রতি ব্যাগে ৪৫০ মিলিলিটার রক্ত থাকে। এর মধ্যে ৫৫ ভাগ প্লাজমা (পানীয় অংশ) ও ৪৫ ভাগ সেল (কোষ) থাকে। দেখা গেছে, অসৎ ব্লাড ব্যাংকগুলো অধিক লাভের আশায় রক্ত ও প্যাকেটের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য স্যালাইন বা লবণ মিশ্রিত পানি মেশায়। যদি একটি প্যাকেটে ২২ দশমিক ৫০ মিলিলিটার স্যালাইন বা লবণ পানি মেশানো হয় তাহলে ২২ দশমিক ৫০ মিলিলিটার সেল (কোষ) কমে যাবে। ফলে একদিকে বেশি দামে রক্ত কিনে ক্রেতা যেমন প্রতারিত হবে, তেমনি এই রক্ত যে কারও শরীরে ঢুকলে তার জীবন সঙ্কটাপন্ন হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছে, রক্তে কোন কিছু মেশানো হলেই তা মানবদেহের জন্য হয়ে পড়ে ঝুঁকিপূর্ণ। এ ধরনের কোন রক্ত কাউকে দেয়া হলে তা রোগীর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হয়ে পড়ে। এজন্যই কারও রক্ত নেয়ার আগে রক্তের ৫টি পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। রক্ত দাতার রক্ত গ্রহণ করার আগে এইচবিএজি ‘হেপাটাইটিস বি’ ভাইরাস, এইচসিভি বা ‘হেপাটাইটিস সি’ ভাইরাস, ‘এইচআইভি’ এইডস, সিফিলিস বা কোন যৌন রোগ ও ম্যালেরিয়াল প্যারাসাইটের জীবাণু আছে কিনা তা পরীক্ষা করতে হয়। রক্তের গ্রুপিং (এবিও) ও ক্রস ম্যাচিংও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া রক্ত দাতা শেষ কবে রক্ত দিয়েছে সেই বিষয়টিও লক্ষ্য রাখা হয়। ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সের যে কোন মানুষ যত সুস্থ সবল হোক না কেন, বছরে সর্বোচ্চ ৩ বার রক্ত দিতে পারে।
স্ক্রিনিং টেস্টবিহীন জীবাণুবাহী কোন রক্ত যদি গ্রহীতার শরীরে প্রবেশ করে তাহলে অন্যূন দেড় মাস ও অনূর্ধ্ব দেড় বছরের মধ্যে এই রোগের জীবাণু তার শরীরে স্থায়ী হয়ে যাবে এবং রোগী অনুমিতভাবেই সেই রোগ বহন করবে। রক্তের প্যাকেটে স্যালাইন মিশ্রিত থাকলে রক্তের নির্ধারিত প্লাজমা (জলীয় অংশ), সেল (কোষ) ও রক্তে হিমোগ্লোবিন-এর যে কোন একটির পরিমাণ কমে যাবে। এই রক্ত যার শরীরে প্রবেশ করবে তার জীবন সঙ্কটাপন্ন হবে।
রক্ত বিক্রির এসব প্রতারণার মাধ্যমে অনিরাপদ ও ঝুকিপূর্ণ রক্ত সংগ্রহ করে বিক্রি হচ্ছে রোগী ও তার স্বজনদের কাছে। ফলে অনিরাপদ, ঝুঁকিপূর্ণ, স্যালাইন ও লবণ পানি মিশ্রিত রক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই ঢুকে যাচ্ছে মুমূর্ষু রোগীর শরীরে। বাড়ছে রোগ-ব্যাধি। সেই সঙ্গে বাড়ছে জীবনের ঝুঁকি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী সারা দেশে অনুমোদিত ব্লাড ব্যাংক (বেসরকারি রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র)’ সংখ্যা ৬৯টি। রাজধানীতে এই সংখ্যা ৫০টি। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীতে অবৈধ ব্লাড ব্যাংকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে রক্ত কেনা-বেচায় তাদের প্রতারণা ও অপকৌশল।
ব্লাড ব্যাংকের রক্ত গ্রহণে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা। দেশে গত ৯ বছরে প্রায় সাড়ে ২৮ হাজার ব্যাগ দূষিত রক্ত শনাক্ত হওয়ার পর তারা এ সতর্কীকরণ বার্তা দিলো। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা জানায়, শনাক্তকৃত ওই ২৮ হাজার ব্যাগ দূষিত রক্তে এইচআইভি, ম্যালেরিয়া, সিফিলিস, হেপাটাইটিস বি ও সির মতো মারাত্মক জীবাণুর উপস্থিতি পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনুমোদন ছাড়াই চলছে শতকরা ৮১ ভাগ রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র। ব্যক্তিমালিকানাধীন রক্তদান কেন্দ্রগুলোর ৪৭ ভাগ কেন্দ্রে কোন পরীক্ষা ছাড়াই রক্ত পরিসঞ্চালনের কাজ চলে বলে অভিযোগ করে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা।
কিন্তু এক্ষেত্রে মুমূর্ষ মানুষকে রক্ত দিয়ে সহযোগিতা করার যে কী ফযীলত তার পবিত্র দ্বীন ইসলামী চেতনা প্রসারিত থাকলে পেশাদারদের রক্তের বিভিষীকা থেকে মুক্ত থাকতে পারতো মানুষ। মুক্ত থাকতে পারতো সমাজ।
উল্লেখ্য, ছহীহ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার গ্রন্থে বর্ণিত রয়েছে যে, “মৃত্যুপথযাত্রী একটি পিপাসার্ত কুকুরকে পানি পান করানোর উছীলায় এক দেহব্যবসায়ী মহিলা জান্নাতে গিয়েছে।”
যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে আশরাফুল মাখলুকাত- মানুষকে রক্ত দিয়ে বাঁচাতে সাহায্য করা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে কত মহান কাজ তথা নিশ্চিত জান্নাতে যাওয়ার কত বড় উছীলা তা যদি ব্যাপকভাবে প্রচার-প্রসার করা যেতো; তাহলে ৯৮ ভাগ মুসলমানের এদেশে সহজেই স্বেচ্ছায় রক্তদানের প্রবণতা প্রবলভাবে তৈরি হতো।
বলাবাহুল্য, এসব অনুভূতি জাগরুক ও জোরদারের জন্য প্রয়োজন নেক ছোহবত, নেক সংস্পর্শ তথা রূহানী ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ মুবারক।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহিমান্বিত ১৪ই জুমাদাল উখরা শরীফ। আজ পঞ্চম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, হুজ্জাতুল ইসলাম, হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এ সুমহান দিবস মুবারক উনার তাৎপর্য অনুধাবন করা গোটা মুসলিম উম্মাহ্র জন্য বিশেষ প্রয়োজনীয় এবং ফজিলতের কারণ।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। বিপরীতে স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ০.৪৪% ব্যয় হচ্ছে মানসিক চিকিৎসায়। রয়েছে মানসিক বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ জনবল সঙ্কট। সরকারের উচিত, দেশের মানসিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় উন্নত করা এবং পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অবৈধ পথে বিদেশে গিয়ে ভয়াবহ নির্যাতিত হওয়ার পাশাপাশি নিঃস্ব হচ্ছে বহু পরিবার। মানব পাচার রোধে শক্ত ও সমন্বিত ব্যবস্থা নেয়া জরুরী দরকার।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ মহাসম্মানিত ১২ই জুমাদাল উখরা শরীফ। যা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত। সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্যই ফরজ।
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
৩ লাখ কোটি টাকা মূল্যের ৯ হাজার একর বেদখল হওয়া রেলের জমি উদ্ধারে অতীতের মত বর্তমান সরকারও ব্যার্থ হচ্ছে কথিত গলদ আইন ও লোক দেখানো উদ্ধার প্রক্রিয়া এবং লোভী জনগণের বিপরীতে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনাতেই সফলতা ও প্রাপ্তি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
স্বামী-স্ত্রীর সহজাত খুনসুটিকে বৈবাহিক ধর্ষণ সংজ্ঞায়িত করার সরকারী উসকানি এখন বাবা-মায়ের শাসনকেও মামলায় গড়িয়েছে। পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, এল.জি.বি.টি.কিউ আন্দোলনের কুচক্রী, কুশীলবদের কুতৎপরতা রোধে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানকে এক্ষণি সোচ্চার হতে হবে ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতি বছর সাপের কামড়ের শিকার ৯৬ হাজার মানুষ, মৃত্যু ১০ হাজারের বেশী। প্রতিদিন মারা যায় প্রায় ২৫ জন। অ্যান্টিভেনম সহজলভ্য করতে হবে। দেশেই উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জনঘনত্বের কারণে- বেশী তাপমাত্রা, রোগব্যাধি, বায়ূ দূষণ, শব্দ দূষণ, যানজট পানিবদ্ধতা সহ বিভিন্ন দুর্বিষহ ও দমবদ্ধ অবস্থায় বিপর্যস্থ ঢাকা এখন সম্পূর্ণভাবে বসবাসের অযোগ্য। নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুবারক হো মহিমান্বিত ৯ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ! আজ ক্বায়িম-মাক্বামে সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ¦মিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ বছরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার শস্য নষ্ট হয় খাদ্য অপচয় রোধ করতে ‘নিশ্চয়ই অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই’- পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এই নির্দেশ সমাজের সর্বাত্মক প্রতিফলন ব্যতীত কোনো বিকল্প নেই।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। বিপরীতে স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ০.৪৪% ব্যয় হচ্ছে মানসিক চিকিৎসায়। রয়েছে মানসিক বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ জনবল সঙ্কট।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ৭ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত পবিত্র ৭ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ আজ।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












