রহস্যময় গাভী-২
ঘটনা-১৮
, ২৫ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১২ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ১১ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ২৬ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মহিলাদের পাতা
সেই গাভীটা গভীর জঙ্গলে থাকতো। যখন বের হয়ে আসতো মানুষ সেটাকে দেখতো। তখন যদি কেউ তাকে ধরতে চাইতো, সেটা এত দ্রুত গতিতে পালিয়ে যেত যে কারো পক্ষে ধরা সম্ভব হতো না।
সেই ছেলের মা তাকে বললেন যে, “তুমি এক কাজ করো, তুমি জঙ্গলে যাও, জঙ্গলে গিয়ে একটা খুব সুন্দর গাভী দেখবে সেটা ধরে নিয়ে আসবে।” ছেলে বললো, আমি সেটা কি করে ধরবো? তখন তার মা বললেন, “এমনিতে তুমি গাভীটিকে ধরতে পারবে না। তুমি এক কাজ করবে, সেই গাভীটা যখন তুমি দেখবে তখন তাকে বলবে, ‘হে গাভী! তোমার প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! তুমি আমার কাছে চলে আসো।’ তুমি কসম দিয়ে ডাকলে গাভীটা তোমার কাছে চলে আসবে।” সত্যিই সে জঙ্গলে গেলো তার মায়ের নির্দেশ মুতাবিক। যখন জঙ্গলে গেলো তখন সেখানে সেই গাভীটিকে দেখতে পেলো, কিন্তু গাভীটি তাকে দেখে খুব দ্রুতগতিতে পালাতে লাগলো। সে তখন সেই গাভীটাকে সম্বোধন করে বললো, “হে গাভী! তোমার প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! তুমি আমার কাছে চলে আসো।” বলার সাথে সাথে গাভীটা সত্যিই থেমে গেলো। আস্তে আস্তে হেঁটে হেঁটে সেই ছেলেটার কাছে আসলো। ছেলেটা গাভীটির শিং ধরে বললো, আমার সাথে বাড়িতে চলো। যখন সে গাভীটিকে নিয়ে বাড়ির দিকে রওয়ানা হলো। তখন মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত, গাভীটির জবান খুলে গেলো। গাভীটি বললো, ‘হে নেক সন্তান! তুমি এক কাজ করো, তুমি আমার পিঠে চড়ে বসো। রাস্তা অনেক লম্বা। তোমার কষ্ট হবে।’ কিন্তু ছেলেটি বললো, ‘হে গাভী! দেখ, আমার মা আমাকে বলেছেন তোমাকে শিং ধরে নিয়ে যেতে, তোমার পিঠে চড়তে আমাকে বলেননি। কাজেই আমার মায়ের নির্দেশ অমান্য করে তোমার পিঠে চড়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’ একথা শুনে গাভী বললো, “তুমি তো তোমার মায়ের উপযুক্ত সন্তান। যে সন্তান মায়ের বাধ্যগত হয়, মহান আল্লাহ পাক তার দোয়া অবশ্যই কবুল করেন।” সে গরুটিকে শিং ধরে বাড়িতে নিয়ে গেলো। বাড়িতে গিয়ে যখন পৌঁছলো, তার মা গাভীটিকে দেখে বললো, “বাবা এক কাজ করো, এটা নিয়ে তুমি বাজারে যাও। বাজারে গেলে কেউ দাম জানতে চাইলে বলবে, এটার মূল্য হচ্ছে তিন দীনার। তবে শর্ত হচ্ছে, বিক্রির পূর্বে পুনরায় আমার মায়ের অনুমতি নিতে হবে। অন্যথায় বিক্রি হবে না।” সে মায়ের কথামতো গাভীটা বাজারে নিয়ে গেলো। যখন গাভীটা বাজারে তুললো - এদিকে মহান আল্লাহ পাক ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে জানিয়ে দিলেন যে দেখ, আমার এই বান্দা সে তার মায়ের কত অনুগত! মায়ের কথা ছাড়া এক ক্বদমও ফেলে না।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












