রাজধানীর সব ভবনে ছাদ বাগানের হাজারো কোটি টাকার উপরে আয় এবং অতিরিক্ত অক্সিজেন প্রাপ্তিসহ বহুবিধ সুফলের পাশাপাশি প্রয়োজনীয়তাও অনেক।
রাজধানীবাসীর উচিত স্বতঃস্ফূর্তভাবে ছাদ বাগান কার্যক্রমে এগিয়ে আসা।
, ২৬ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১০ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২৪ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সম্পাদকীয়
রাজধানীতে ছাদে বাগান করতে নগরবাসীর পক্ষ থেকে তেমন সাড়া মিলছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছে, এক্ষেত্রে নগরবাসীকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রচারের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি ছাদে বাগান করা বাধ্যতামূলক করতে হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছে, রাজধানীর আবাসিক-বাণিজ্যিক ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের লাখ লাখ ভবনের ছাদ খালি পড়ে আছে। নগরীর পরিবেশ ভালো রাখতে ভূমিকা রাখতে পারে ছাদবাগান। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষও (রাজউক) ছাদে বাগান করা বাধ্যতামূলক করার চিন্তা করছে। ইমারত নির্মাণ বিধিমালায় বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে মহানগরী ঢাকার পরিবেশ দিন দিন বিষিয়ে উঠছে। এক্ষেত্রে গ্রীষ্মকালের অস্বাভাবিক তাপমাত্রা এবং বাতাসে দূষণ মাত্রা বৃদ্ধি রোধে ছাদে বাগান হতে পারে উত্তম সমাধান।
ছাদে বাগান বিস্তারের মাধ্যমে ভূমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত হবে। স্বাস্থ্য ও মন সুরক্ষায় রাখবে অসামান্য ভূমিকা। তাপমাত্রা বৃদ্ধি রোধ ও শব্দদূষণ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমিয়ে আনা যাবে। জার্মানীতে শতকরা ১২ ভাগ ছাদ ‘সবুজ’ এবং টোকিও আইনে সব নতুন ছাদের অন্তত শতকরা ২০ ভাগ সবুজ হতে হয়। টোকিও সরকারের হিসাব মতে, যদি তাদের অর্ধেক ছাদ সবুজ হয়, তাহলে প্রতিদিন এয়ার কন্ডিশনে ব্যবহৃত জ্বালানি বাবদ এক মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হয়। সিঙ্গাপুরে এক গবেষণায় দেখা যায়, যে ৫ তলা বাণিজ্যিক ভবনের ছাদে প্রতিষ্ঠিত বাগান দ্বারা বছরে জ্বালানি খরচের ০.৬-১৪.৫% সাশ্রয় হয়। অনেক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ দেশে ভবন গরম ও শীতলকরণে শতকরা ৩০ ভাগ বেশি কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন হয়ে থাকে। ছাদ বাগানের মাধ্যমে কম খরচে স্থায়ীভাবে জ্বালানি ব্যবহার কমানো, ভবনের বাহ্যিকরূপের উন্নতি ও তাপমাত্রা হ্রাস করা সম্ভব।
‘গার্ডেন সিটি প্রোগ্রাম’ শিরোনামে ষাটের দশকে গৃহীত একটি পরিকল্পনার আওতায় ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র সিঙ্গাপুর ‘সবুজ ও পরিচ্ছন্ন সিঙ্গাপুর’ গড়ে তোলার লক্ষ্যকে সামনে রেখে টানা তিন দশক ধরে তারা বহুমুখী প্রচেষ্টা চালিয়েছে। রাস্তার পাশে পরিকল্পিতভাবে গাছ লাগানো হয়েছে। গড়ে তোলা হয়েছে পার্ক ও মুক্তাঞ্চলের সুবিস্তৃত নেটওয়ার্ক। পাশাপাশি এসব বৃক্ষ ও পার্ক সুরক্ষার জন্য প্রণীত ও গৃহীত হয়েছে যথাযথ আইনি বর্মও।
ঢাকা শহরের বাড়ির ছাদে সবজি চাষ করে বছরে হাজার কোটি টাকা আয় করা সম্ভব। এতে শুধু রাজধানীর পরিবেশই রক্ষা পাবে না, মানুষের পুষ্টির উন্নয়ন ঘটবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এক হিসাবে আড়াই কাঠার একটি বাড়ির ছাদে বাগান করে নিজস্ব চাহিদা পূরণ করে বছরে ৫০ হাজার টাকা বাড়তি আয় করা সম্ভব। বলাবাহুল্য, এটা করা সম্ভব হলে ইট-পাথরের মহানগরী ‘সিটি গার্ডেনে’ পরিণত হবে।
ছাদে বাগান করলে পানি ব্যবহারের কারণে বাড়ির দেয়াল ও মেঝে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নিরসনে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হতে পারে ওয়াটারপ্রুফ সলিউশন। বাগান করার আগে ওয়াটারপ্রুফ সলিউশন দিয়ে দেয়াল ও মেঝে ট্রিটমেন্ট করিয়ে নিলে দেয়াল ও মেঝে নষ্ট হয়ে যাওয়ার কোনো আশঙ্কাই থাকবে না। ইতোমধ্যে ছাদকৃষি কিছুটা হলেও শুরু হয়েছে এবং সবচেয়ে বড় কথা, এটা ক্রমশই সম্প্রসারিত হচ্ছে। আর এটা রুফ গার্ডেনার কনসেপ্ট হিসেবে ইতোমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছে।
ইতোমধ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ঘোষণা দিয়েছে যে, ছাদে বাগান করলে ১০ শতাংশ হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করা হবে। পাশাপাশি ছাদে বাগান করতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা- মাটি, টব ও সার দিয়েও সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হচ্ছে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে। ২০১৬ সালেও ঢাকা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ঢাকা শহরকে সবুজায়নের জন্য বাসাবাড়ির ছাদ ও বেলকনিতে রুফ গার্ডেন গড়ে তোলার জন্য প্রচারণা চালানো শুরু হয়েছিলো। যা বর্তমানেও অব্যাহত রয়েছে। গ্রিন ঢাকা কর্মসূচির মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমিয়ে আনা সম্ভব। আর রুফ গার্ডেন করলে ওই ভবনের তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি কমবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রায় দেড় লাখ হোল্ডিং আছে। এর মধ্যে অসংখ্য অ্যাপার্টমেন্ট আছে। এসব ছাদে বাগান করে ঢাকার চেহারাই পাল্টে দেয়া সম্ভব। ইনশাআল্লাহ!
উল্লেখ্য, পৃথিবীর অনেক শহরের চেয়ে ঢাকার ভৌগোলিক অবস্থা ভালো। শহরের চারপাশে নদী রয়েছে। এখন এটাকে কাজে লাগাতে হবে রুফ গার্ডেন ধারণা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঢাকা শহরকে পরিবেশবান্ধব ও বাসযোগ্য করে গড়ে তোলার মাধ্যমে।
বিশেষ করে সরকারি ও বাণিজ্যিক ভবন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের ছাদে বাগান বাধ্যতামূলক করা যায়। এক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের মার্কেটসমূহকে মডেল গার্ডেন হিসেবে গড়ে তোলা যায়। তবে সত্যিকার ফলপ্রসূ করতে চাইলে সরকারকে অনতিবিলম্বে আইনের মাধ্যমে রাজউকের বিল্ডিং কোডে ছাদে বাগান বাধ্যতামূলকভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং রিহ্যাব ও সিটি করপোরেশনকে তা বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। ব্যাপক প্রশিক্ষণ ও ফলোআপের ব্যবস্থা করতে হবে।
এজন্য প্রয়োজন শুধু সরকারের সঠিক সিদ্ধান্ত ও কার্যকর ব্যবস্থা। আর তা হলো রাজউকের প্লান পাসের সময় বাড়ির ছাদে বাগান করার বাধ্যতামূলক শর্ত জুড়ে দিতে হবে। তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ঢাকা শহর ‘গ্রিন রুফ গার্ডেন সিটি’তে পরিণত হবে।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সত্যিকার উপলব্ধি জাগ্রত হোক সবার অন্তরে। সংস্কারের দাবীদার সরকারকে উপলব্ধিতে সক্ষমতা আনতেই হবে- যে, সত্যিকার ইসলামী অনুপ্রেরণাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং সংস্কারের পরিক্রমা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ মহিমান্বিত ২৩শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আফদ্বালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহিমান্বিত ২২শে জুমাদাল উখরা শরীফ! খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস এবং আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র খিলাফত মুবারক গ্রহণ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ মহিমান্বিত ২১শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ! যা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, খইরু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র ও বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুবারক হো- মহাপবিত্র মহাসম্মানিত মহামহিমান্বিত ২০শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবিয়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতুর রসূল আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সরকারী ওষুধ লুটের ব্যবসা বহু রকম। জনস্বাস্থ্যের হুমকি বহুবিধ। সংবেদনশীল এ বিষয়টির প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উদাসীনতা বরদাশতের বাইরে
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জননিরাপত্তাকে প্রধান কর্তব্য বললেও অন্তর্বর্তী সরকার করুণভাবে ব্যর্থ হচ্ছে কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পথে পরিচালিত হলেই সফল হওয়া সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা দুরূহ হলেও অসম্ভব নয় খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খুব সহজেই পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জালিম ও তাবেদার সরকারের করে যাওয়া আত্মঘাতী পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা আমলাদের বাধা অবদমন করে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর পূরো কর্তৃত্বের অধিকার সেনাবাহিনীকেই প্রতিফলিত করে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ভারত সীমান্তে ১৫ বছরে নিহত স্বীকৃত হিসেবে ছয় শতাধিক বাংলাদেশি। প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশী। জ্বলন্ত প্রশ্ন হলো- বাংলাদেশিদের জীবনের কি কোনো মূল্য নেই? বিজিবির আত্মরক্ষার কি কোনো অধিকার নেই? বিজিবি কি দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সীমান্ত পাহারা দিবে?
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জল ভূমিকা যেমন জ্বলজ্বল, উন্নয়নে ঝলমল তেমনি সংকটকালেও থাকুক সমুজ্জল
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৮ লাখ মেট্রিক টন লবণ মওজুদ থাকার পরও অবুঝ অন্তর্বর্তী সরকারকে লবণ আমদানী আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। লবণ শিল্পের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা সংরক্ষণ অবকাঠামোর অভাব অতিশীঘ্র দূর করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












