সাহরী হলো বরকতময় খাদ্য।
রোযাদারদের জন্য প্রতিদিন সাহরী খাওয়া খাছ সুন্নত মুবারক (২)
, ০৭ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنْهُ قَالَ تَسَحَّرْنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ
অর্থ:- হযরত যায়েদ বিন ছাবিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে সাহরী খেলাম। এরপর তিনি নামাযের জন্য দাঁড়ালেন। (বুখারী শরীফ)
উপরোক্ত দলীলসমূহ থেকে এ বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায় যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি রোযা রাখার জন্য সাহরী মুবারক খেয়েছেন, বা সাহরী খেয়েই রোযা রেখেছেন। অর্থাৎ পবিত্র সাহরী খেয়ে রোযা রাখা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ الْعِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنْهُ قَالَ: دَعَانِىْ رَسُوْلُ اللّٰهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى السَّحُوْرِ فِىْ رَمَضَانَ فَقَالَ هَلُمَّ إِلَى الْغَدَاءِ الْمُبَارَكِ
অর্থ:- হযরত ইরবায ইবনে সারিয়াহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি (একদিন) আমাকে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার সাহরী খেতে ডাকলেন এবং বললেন, বরকতপূর্ণ খাবার খেতে আসুন। (আবূ দাঊদ শরীফ ও নাসায়ী শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ قَتَادَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ حَضْرَتْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالى عَنْهُ قَالَ تَسَحَّرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَ حَضْرَتْ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنْهُ ثُمَّ قَامَا فَدَخَلَا فِي صَلَاةِ الصُّبْحِ.
অর্থ:- হযরত ক্বতাদাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং হযরত যায়েদ বিন ছাবিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা একত্রে সাহরী খেলেন। অতঃপর উনারা উভয়ে দাঁড়ালেন এবং পবিত্র ফজর উনার নামায শুরু করলেন। (সুনানে নাসায়ী শরীফ-২১৫৭)
উপরোক্ত দলীলসমূহ থেকে এ বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায় যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি রোযা রাখার জন্য সাহরী মুবারক খেয়েছেন, বা সাহরী মুবারক খেয়ে রোযা রেখেছেন। অর্থাৎ সাহরী খেয়ে রোযা রাখা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক এবং সাহরীকে “বরকতময়” খাবার বলে উল্লেখ করেছেন।
-আহমদ হুসাইন
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (২)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (১)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইস্তিঞ্জার আদব ও ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করা সম্পর্কে (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইস্তিঞ্জার আদব ও ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করা সম্পর্কে (১)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রয়োজনে ছুরি এবং চাকু দিয়ে খাবার কেটে খাওয়াও মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুতা-মোজা ঝেড়ে পরিস্কার করে পরিধান করা খাছ সুন্নত মুবারক
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
চামড়ার মোজা পরিধান করা খাছ সুন্নত মুবারক
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০৩)
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০২)
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০২)
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী খাবার ‘পনির’
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০১)
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












