শিশুস্বাস্থ্য: শিশুর রক্তশূন্যতার পেছনে কারণ কী কী?
, ১৭ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৪ সাদিস ১৩৯১ শামসী সন , ০২ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ১৭ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মহিলাদের পাতা
রক্তশূন্যতার অনেক কারণ। শিশুদের তিনটি কারণে রক্তশূন্যতা হয়। একটা হলো ডেফিসিয়েন্সি এনিমিয়া, আয়রন ডেফিসিয়েন্সি এনিমিয়া সবচেয়ে সাধারণ কারণ। দুই নম্বর হচ্ছে, রক্তে হিমোগ্লোবিনের মধ্যে হিম ও গ্লোবিন, প্রোটিন আছে। হিম হলো আয়রন। আয়রনের অভাবে হলে আয়রন ডেফিসিয়েন্সি এনিমিয়া। গ্লোবিন মানে প্রোটিন। এই প্রোটিনটা সিনথেসিস হয় জেনেটিক ডিটারমিনেশনের কারণে। যদি গ্লোবিনে অসুবিধা হয়, এটাকে আমরা বলি ইনহেরিটেড হিমোলাইটিক এনিমিয়া। যেমন থ্যালাসেমিয়া, থ্যালাসেমিয়া সিনড্রোম। তাহলে দুই নম্বর কারণ হলো, ইনহেরিটেড হিমোলাইটিক এনিমিয়া, যেটা জন্মগতভাবে ডিফেক্টিভ হিমোগ্লোবিন হয়।
তিন নম্বর কমন কারণ হলো, যেটাকে বলা হয় এনিমিয়া অব ক্রনিক ডিজিজ। মানে অনেক দিন ইনফেকশন থাকলে, অনেক দিন ইনফ্লামেশন থাকলে। ক্রনিক ডিজিজে অনেক দিন টিউমারও থাকে যদি, তাহলে এটা দ্বিতীয় কারণ, এটা হলো এনিমিয়া অব ক্রনিক ডিজিজ। তারপর আনকমন কিছু কারণ আছে, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। আনকমনের মধ্যে যদি রক্ত তৈরি কম হয়, এটা হলো এপ্লাস্টিক এনিমিয়া। কম হয়, কিন্তু এটা সবচেয়ে সিভিয়ার। রক্তের উপকরণের মধ্যে আয়রন ছাড়া অন্যগুলোও আছে। যেমন ভিটামিন বি১২ ফলিক এসিড, এর অভাবেও হতে পারে, এটাকে আমরা বলি মেগালোব্লাস্টিক এনিমিয়া। তারপর রক্তশূন্যতা হতে পারে, আরবিসির বিরুদ্ধে যদি অ্যান্টিবডি হয়। এটাকে বলা হয় ইমিউন হেমোলাইটিক এনিমিয়া। এটা সদ্য প্রসূত সন্তানের হতে পারে। যেমন মায়ের যদি আরএইচ পজিটিভ থাকে, বাচ্চার নেগেটিভ হয়। তাহলে অ্যান্টিবডি প্লাসেন্টা ক্রস করে বাচ্চার হেমোলাইসিস করে। এটাকে বলা হয় বলি হেমোলাইটিক এনিমিয়া।
বড়দেরও ইমিউন হেমোলাইটিক এনিমিয়া হয় অ্যান্টিবডির জন্য। অ্যান্টিবডিটা এমনিই কোনও কারণ ছাড়াই হয়। এটাকে বলা হয় ইডিউপ্যাথিক বা প্রাথমিক। আবার এটা সেকেন্ডারিও হতে পারে। সেকেন্ডারি কিছু মেলেগন্যান্সির জন্য হতে পারে, ড্রাগের জন্য হতে পারে, ইনফেকশনের জন্য হতে পারে, অটোইমিউন ডিজিজের জন্য হতে পারে। তাহলে এনিমিয়া কিন্তু নিজে কোনও রোগ না, এটা অন্য রোগের লক্ষণ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত উম্মে সুরাইকা দাওসিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (৩)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (১০)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তিন ধরনের লোক বেহেশতে প্রবেশ করবে না
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সর্বাবস্থায় আজল বা তাড়াহুড়া না করে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












