শীতে শিশুমৃত্যুর অন্যতম প্রধান উছীলা নিউমোনিয়া সচেতনতা তৈরী করলে সহজেই এ মৃত্যুর হার কমবে ইনশাআল্লাহ
, ১৪ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৯ সাবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ১৩ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সম্পাদকীয়
চলতি শীত মৌসুমের শুরুতে, গত বছরের ডিসেম্বরে ঢাকা শিশু হাসপাতালে নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ১৭১ জন।
‘উপজেলা পর্যায়ে শিশুরা নিউমোনিয়াতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা না নেওয়াতে জটিলতা বাড়ছে।’
নিউমোনিয়াসহ শ্বাসতন্ত্রের রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই কোনো না কোনো শিশু ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। ২৫০ শয্যার হাসপাতালে বর্তমানে শিশু ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি রয়েছে ১৪০ জন।
শয্যা আর জনবল সংকটের কারণে বাড়তি রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অনেক শিশুকে হাসপাতালের কক্ষগুলোর মেঝে ও বারান্দায় রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে। বেসরকারি হাসপাতালেও শিশুরোগীর চাপ বেড়েছে। জানা গেছে, মৌসুম বদলানোর কারণে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেক শিশু।
দেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মোট মৃত্যুর ২৪ শতাংশই হয় নিউমোনিয়ায়। এক হিসাব অনুযায়ী, দেশে নিউমোনিয়ায় বছরে মারা যাচ্ছে প্রায় ২৪ হাজার শিশু। শীত এলে নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কিউলাইটিস, অ্যাজমার মতো শ্বাসতন্ত্রের নানা রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। শীত মৌসুমে বাতাস অনেক বেশি শুষ্ক থাকে। শুষ্ক বাতাস কিছু ভাইরাসের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়। মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে সহজেই এসব ভাইরাস শ্বাসতন্ত্রে প্রবেশ করে। যা শিশুদের জন্য বড় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
শীতের রোগের প্রতিষেধক অপেক্ষা প্রতিরোধ বেশি দরকার। ঠান্ডা জনিত রোগগুলো যেন না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। শীতে স্বভাবত মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। সেজন্য পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা জরুরি।
শিশুদের নিউমোনিয়ার লক্ষণ খুবই সাধারণ ও পরিষ্কার, যা সাধারণ মানুষও ধরতে পারবে। এজন্য শিশুদের প্রতি একটু লক্ষ রাখাই যথেষ্ট। জ্বর, যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রায় হয়ে থাকে, কাশি, শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত নেওয়া, শ্বাস গ্রহণের সময় বাঁশির মতো শব্দ হওয়া, শ্বাস নিতে কষ্টবোধ বা কষ্টকর শ্বাস-প্রশ্বাস, বুকের খাঁচা দেবে যাওয়া, বুকে ব্যথা, খেতে না চাওয়া বা খেতে না পারা, শিশুর চঞ্চলতা কমে যাওয়া বা নিস্তেজ হয়ে যাওয়া, বমি করা প্রভৃতি নিউমোনিয়ার লক্ষণগুলো দেখা গেলেই শিশুকে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে।
নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাস খুব দ্রুত হয়। দুই মাসের কম বয়সি শিশুদের মিনিটে ৬০ বার বা তার চেয়ে বেশি শ্বাস নিতে দেখা যায়। দুই মাস থেকে ১২ মাস বয়সি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু মিনিটে ৫০ বার বা তার চেয়ে বেশি শ্বাস নেয় এবং এক বছরের বড় শিশু ৪০ বার বা তার চেয়ে বেশিবার শ্বাস নেয়। দ্রুত শ্বাসের সঙ্গে বুকের খাঁচা দেবে যায় এবং নাকের লতি ওঠানামা করে। নিউমোনিয়া বেশি হলে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গিয়ে শরীরের রং নীল হয়ে যেতে পারে, যা সায়ানোসিস নামে পরিচিত।
শীতকালে আবহাওয়া শুষ্ক থাকে বলে এ সময় নিউমোনিয়া বেশি হয়। এ সময় সর্দি-কাশির প্রবণতাও বেশি হয়। তবে সর্দি-কাশি মানেই নিউমোনিয়া নয়। সর্দি-কাশি যখন ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমণিত হয়, তখন নিউমোনিয়া হয়ে যায়। নিউমোনিয়া রোগ বায়ুবাহিত হওয়ার কারণে এটা বেশি ছড়ায়। আর শীতকালে অনেক মানুষ একসঙ্গে অনেকটা গাদাগাদি করে থাকলে, কিংবা একই লেপের নিচে অনেকে একত্রে ঘুমালে নিউমোনিয়ার জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি থাকে। গ্রামাঞ্চলে আগুন জ্বালানোর সময় যে ধোঁয়া হয়, সেটাও শিশুদের জন্য খুব ক্ষতিকর।
রক্ত পরীক্ষা করালে শ্বেতকণিকার আধিক্য দেখা যাবে, সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিন (সিআরপি) বেড়ে যাবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বুকের এক্স-রে, যেখানে ফুসফুসের কিছু অংশ বা অনেক অংশ সাদা হয়েছে বলে মনে হবে।
সঠিক রোগনির্ণয় ও দ্রুত চিকিৎসায় নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু সাত দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যায়। শিশু খেতে পারলে মুখে অ্যামক্সিসিলিন অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে বাড়িতে চিকিৎসা দেওয়া যায়। বেশি অসুস্থ মনে হলে, খেতে না পারলে, বেশি শ্বাসকষ্ট হলে বা রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯২ শতাংশের নিচে নামলে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে।
শিশুকে বুকের দুধ ও সুষম খাবার দিলে; শিশুর সামনে ধূমপান বা রান্না না করলে এবং প্রয়োজনীয় প্রতিষেধক টিকা যেমন নিউমোনিয়া ও ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা দিলে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা কমে যায়।
আমাদের দেশে এখন সান এক্সপোজার নাই, সূর্যের আলো থেকে ৮০ শতাংশ ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। আমাদের মায়েরা, বাচ্চারা যেহেতু সূর্যের আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই, নিউমোনিয়া প্রতিরোধে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন ডি’র গুরুত্ব বিষয়ে আমাদের জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।
আমরা চাই নিউমোনিয়া বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি পাক। আমরা চাই অবিভাবকেরা জানুক তাদের বাচ্চাদের নিউমোনিয়া হবার সম্ভাবনা আছে। নিউমোনিয়া হলে তারা যেন ফার্মেসি থেকে বিনা প্রেস্ক্রিপশান ওষুধ না কিনে, তারা যেন গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে না যায়, কমপক্ষে যেন অভিভাবকেরা কোনো রেজিস্টার ডাক্তারের কাছে যায়, না হলে যেন নিকটস্থ কোনো সরকারি হাসপাতালে যায়।
বাংলাদেশে প্রতিবছর ২৩ থেকে ২৬ হাজার শিশু নিউমোনিয়ায় মারা যায়। এর মধ্যে চার সাড়ে চার হাজার শিশু মারা যায় কোনো সেবা না নিয়ে। বিনা চিকিৎসায় যেন একটা শিশুও না মারা যায়, এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা হতে পারে।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আজ মহিমান্বিত ২১শে শাওওয়াল শরীফ! যা বিশ্ব বাল্যবিবাহ দিবস। সুবহানাল্লাহ! কেননা, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র আক্বদ্ মুবারক ও নিসবাতুল আযীম মুবারক সম্পন্ন হওয়ার বরকতময় সুমহান দিবস।
০১ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাপবিত্র ২০শে শাওওয়াল শরীফ। সুবহানাল্লাহ! উম্মুল মাসাকীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খ্বমিসাহ আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! গোটা উম্মাহ ও মুসলিম বিশ্বের প্রত্যেক সরকারের উচিত- যথাযথ ভাবমর্যাদা ও ভাবধারার সাথে এ দিবস মুবারক পালন করা।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুবারক হো ১৯শে শাওয়াল শরীফ ১৪৪৫ হিজরীতে অনুষ্ঠিত হলো সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম ও সাইয়্যিদাতুনা হযরত মুযীরাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাদের মহিমান্বিত আযীমুশ শ্বান নিসবতে আযীম শরীফ অর্থাৎ মহাপবিত্র নিকাহিল আযীম শরীফ।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ সুমহান ও বরকতময় পবিত্র ১৮ই শাওওয়াল শরীফ! সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম সিবতু রসূল আছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ অবস্থায় পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! গোটা উম্মাহ ও মুসলিম বিশ্বের প্রত্যেক সরকারের উচিত- যথাযথ ভাবমর্যাদা ও ভাবধারার সাথে এ দিবস মুবারক পালন করা।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিশ্বব্যাপী হালাল পণ্যের বাজার ৪০ ট্রিলিয়ন ডলার। সুবিশাল এই বাজারে প্রবেশে অনেকটাই ব্যর্থ বাংলাদেশ। মান নিয়ন্ত্রণ এবং উন্নত পণ্য ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশও এই সুবিশাল বাজার ধরতে পারে সরকারের উচিত- হালাল পণ্য উৎপাদন রফতানিতে প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা এবং মুসলিম বিশ্বের বাজার ধরতে কুটনৈতিক তৎপরতা চালানো।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
শুধু যুবকরাই নয় এখন এনার্জি ড্রিংকসে বুদ হচ্ছে শিশুরাও কর ফাঁকি দিতে অনেক এনার্জি ড্রিংকস হয়ে গেছে কোমল পানীয় জনস্বাস্থ্য রক্ষা করতে অবিলম্বে এনার্জি ড্রিংকস বন্ধ করতে হবে
২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ তথা ইসলামী মূল্যবোধের গুরুত্ব এবং পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, পর্নোগ্রাফির রাজত্ব।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আজ মহিমান্বিত ১৪ই শাওওয়াল শরীফ! আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিব্ত্বতু রসূল আর রবি’য়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্রতম বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। এবং মাহবুবে সুবহানী, কুতুবে রব্বানী, ক্বাইয়ূমে আউওয়াল হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ: রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম, মুসলমানের দ্বীনি অধিকার, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে পালনের আবহ এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত আজ মহাসম্মানিত ১২ই শাওওয়াল শরীফ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্য ফরজ।
২২ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মেগা প্রকল্পে শুধু মেগা দুর্নীতিই নয় নির্ধারিত সময়ের পরে অতিরিক্ত মেগা সময়ও ব্যায় হয় এই স্বেচ্ছাচারিতার জবাবদিহীতা নাই কেন?
২১ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
“অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স নতুন আশঙ্কা এবং বেশিরভাগ অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা কমেছে”- এ তথ্যকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। নচেৎ সাধারণ অসুখেই প্রাণনাশ হতে পারে
২০ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)