১০০ টি চমৎকার ঘটনা
সবচেয়ে মূল্যবান ও উপকারী দোয়া
ঘটনা-১১
, ১৮ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৫ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ০৪ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ১৯ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মহিলাদের পাতা
এরপর যুবকটি তার হজ্জের কাজ সম্পন্ন করে হযরত সুফিয়ান ছাওরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাকে বিষয়টি সম্পর্কে বললো, “হুযূর! আমি আমার জীবনে দরূদ শরীফের চেয়ে মূল্যবান ও উপকারী কোনো দোয়া পাইনি। কেন একথা বলছি শুনুন। আমি একবার আমার আব্বার সাথে কাফেলাবদ্ধ হয়ে হজ্জের উদ্দেশ্যে সফর করছিলাম। মরুভূমির ভিতর দিয়ে যাবার সময় আমার আব্বা খুব অসুস্থ হয়ে মারা যান। মারা যাবার পর উনার চেহারা বিকৃত হয়ে যায়। নাঊযুবিল্লাহ! এটা দেখে আমি খুবই চিন্তিত হয়ে পড়ি। কাফেলার লোকেরা আব্বার এই চেহারা দেখলে কি বলবে! আর মরুভূমিতে আব্বাকে দাফন কাফনের ব্যবস্থা কিভাবে হবে ইত্যাদি চিন্তা করতে করতে আমি ঘুমিয়ে পড়লাম। স্বপ্নে দেখলাম একজন অত্যন্ত নূরানী চেহারার ব্যক্তি আমাদের নিকট তাশরীফ এনেছেন। উনার নূর মুবারকে সমগ্র মরুভূমি উদ্ভাসিত হয়ে গিয়েছে। আমি উনার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বললেন, ‘আমি হলাম তোমাদের নবী ও রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তোমার আব্বা প্রতিদিন আমার প্রতি দরূদ শরীফ পাঠ করতো। আজকে তার দরূদ শরীফ না পেয়ে আমি দেখতে এসেছি, তার কি হলো। ’ এই বলে তিনি আব্বার মুখের উপর উনার পবিত্রতম হাত মুবারক বুলিয়ে দিলেন। সাথে সাথে আব্বার চেহারা সুন্দর হয়ে গেলো। এরপর আমার ঘুম ভেঙে গেলো। আমি দেখলাম সত্যি আব্বার চেহারা সুন্দর হয়ে গিয়েছে। আমি এবার কাফন-দাফনের জন্য লোক খুঁজতে বের হলাম। কিন্তু সামান্য একটু যেতেই দেখতে পেলাম দলে দলে লোক আমার দিকে আসছে। তাদেরকে এই বিরান মরুভূমিতে আসার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা বললো, তারা একটা গায়েবী নেদা শুনেছে যে, ‘কেউ যদি কোনো জান্নাতি মানুষের জানাজা পড়তে চায় তবে যেন সে অমুক স্থানে যায়। ’ সুবহানাল্লাহ! সেজন্য তারা অনেক দূর থেকে এসেছে। হুযূর! এই ঘটনার পর থেকে আমি আমার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে দরূদ শরীফকে সাথী করে নিয়েছি। ” সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র দরূদ শরীফ পাঠকারী প্রতিটি ব্যক্তিকে আমাদের নবী হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি চিনেন এবং জানেন। যিনি শাফায়াতের মালিক উনার নিসবত হাসিল করতে পারলে আর কোনো চিন্তা আছে কি?
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তিন ধরনের লোক বেহেশতে প্রবেশ করবে না
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
হযরত উম্মে সুরাইকা দাওসিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (৩)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (১০)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












