সমুদ্র অর্থনীতির বিষয়ে সরকারের সদিচ্ছার কথা শুনে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারছি না। সরকারের সক্রিয় পদক্ষেপে বর্তমান সংকটের সমাধানের পাশাপাশি সমৃদ্ধির সোপানে এগিয়ে যাওয়াই উন্নয়নের দাবীদার সরকারের কাছে একান্তভাবে প্রত্যাশা করছি।
, ১৫ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০২ সাদিস ১৩৯১ শামসী সন , ৩১ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ১৫ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সম্পাদকীয়
সুনীল অর্থনীতি বলতে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, উন্নত জীবিকা এবং পরিবেশগত স্থায়িত্বের জন্য সমুদ্র সম্পদের টেকসই ব্যবহার বোঝায়। এটি মৎস্য, পানিও, সামুদ্রিক পরিবহন, নবায়নযোগ্য শক্তি এবং পর্যটনসহ বিস্তৃত ক্রিয়াকলাপকে অন্তর্ভুক্ত করে। বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগর বরাবর একটি বিস্তীর্ণ উপকূলরেখার দেশ, সুনীল অর্থনীতির উন্নয়নের অনুঘটক হিসেবে অপরিসীম ভুমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে।
ব্লু ইকোনমির আধুনিক সংজ্ঞানুসারে, সাগর মহাসাগরের উপরিভাগের এবং অভ্যন্তরীণভাগের এবং সমুদ্রতলদেশের সকল সম্পদের টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে যে অর্থনীতির খাত গড়ে ওঠে, তাই ব্লু ইকোনমি বা সুনীল অর্থনীতি। সমুদ্র পরিবহন, সামুদ্রিক বায়োডাইভার্সিটি সংরক্ষণ এবং সমুদ্রের যত রকমের টেকসই ব্যবহার সবই এর অন্তর্ভুক্ত।
সংশ্লিষ্ট গবেষকরা বলছেন, ব্লু ইকোনমির চারটি ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করলে বছরে বাংলাদেশের পক্ষে ২.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করা সম্ভব। এই চারটি সেক্টর হলো তেল ও গ্যাস উত্তোলন, মৎস্য আহরণ, বন্দর সম্প্রসারণ এবং পর্যটন। এই খাতে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য রয়েছে অপার সম্ভাবনা।
বাংলাদেশ বর্তমানে উপকুল থেকে মাত্র ৩৫-৪০ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে মৎস্য আহরণ করে থাকে। কিন্তু ২০০ নটিক্যাল মাইলব্যাপী আমাদের অর্থনৈতিক জোন। জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ড এবং চীনের মধ্যে বাংলাদেশ মৎস্য আহরণে বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করেছে। গত ১০ বছরে দেশে মাছের উত্পাদন ৫৩% বেড়েছে এবং মাছ রপ্তানি বাবদ আয় বেড়েছে এই সময়ে ২০%। মৎস্য সংগ্রহে আমাদের সমুদ্র এলাকা দেশের মৎস্যশিল্পকে নিশ্চিতভাবে ব্যাপক বিকশিত করতে পারে।
আমাদের সমুদ্রতলদেশে প্রাকৃতিক সম্পদের সম্ভাবনা অন্য দেশের উপসাগর বা সাগরের চেয়ে অনেক বেশি বলে আন্তর্জাতিক সমুদ্র ও জ্বালানি গবেষকগণ মনে করেন। জিরকন, রিউটাইল, সিলিমানাইট, লাইকক্সিন, ইলমেনাইট, গার্নেট, কায়ানাইট, মোনাজাইট ইত্যাদির আকর আছে বলে বিশেষজ্ঞগণ ধারণা করেন। মোনাজাইট হলো রেডিও অ্যাক্টিভ একটি পদার্থ যা নিউক্লিয়ার রিয়াক্টরে ব্যবহৃত হয়।
বঙ্গোপসাগরের তলদেশে ১৩টি স্থানে ইউরেনিয়াম ও থোরিয়াম সমৃদ্ধ বালুর সন্ধান পাওয়া গেছে যার মূল্য স্বর্ণের চেয়ে দামি। সমুদ্রজয়ের ফলে বাংলাদেশে ভারত থেকে ৮টি গ্যাস ব্লক এবং মিয়ানমার থেকে ১৩টি গ্যাস ব্লকের মালিকানা লাভ করেছে, যা থেকে ভবিষ্যতে ৪০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে।
আমাদের রয়েছে সমুদ্র পর্যটন বা মেরিন ট্যুরিজমের বড় সুযোগ। সামুদ্রিক ঘাস, শেওলা ইত্যাদি চাষ করে অর্থ উপার্জন করা যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞ মতামত অনুসারে তলদেশের বিশেষ গঠনের কারণে তেল-গ্যাসসহ নানা খনিজ সম্পদ সঞ্চিত রয়েছে বঙ্গোপসাগরের তলদেশে। সমুদ্র সীমানা নির্ধারিত হওয়ার পর ২৬টি নতুন ব্লকে বিন্যাস করে এর মধ্যে ১১টি অগভীর ও ১৫টি গভীর সমুদ্রের ব্লক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর ১৩টি জায়গায় আছে মূল্যবান বালু, ইউরেনিয়াম ও থোরিয়াম যেগুলোতে মিশে আছে ম্যাগনেটাইট, সিলিমেনাইট, ইলমেনাইট, জিরকন, রুটাইল ও গার্নেটের মতো মূল্যবান ধাতব উপাদান। তাছাড়া সমুদ্র তলদেশে রয়েছে বিপুল পরিমাণ সিমেন্ট বানানোর উপাদান ক্লে। এছাড়াও কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ, বন্দর সহযোগিতা বৃদ্ধি, সমুদ্র পরিবহন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সমুদ্রবিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞান প্রভৃতি ক্ষেত্রে কাজ করার রয়েছে অফুরন্ত সম্ভাবনা।
সমুদ্রসম্পদ যথাযথভাবে আহরণ ও কাজে লাগাতে পারলে বছরে ১২ হাজার কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা । অর্থনীতিবিদদের অভিমত অনুযায়ী সর্বোচ্চ শতকরা ১০ ভাগ জিডিপি অর্জন করা সম্ভব ব্লু ইকোনমির সঠিক অগ্রগতির মাধ্যমে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) ১৪ নম্বর ধারায় সামুদ্রিক সম্পদের অনুসন্ধান ও সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। তাই ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি পূরণের লক্ষ্যে সামুদ্রিক সম্পদ আহরণের বিকল্প নেই। সমুদ্র সম্পদের এই ভা-ার আমাদের দেশের বিপুল পরিমাণ জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে ও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা এনে দিতে সক্ষম কিন্তু সিংহভাগ সমুদ্র সম্পদ এখনও প্রায় অনাবিষ্কৃত ও অব্যবহৃত। সমুদ্র সম্পদ ব্যবহার করে দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তাসহ বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ যথাযথভাবে কাজে লাগানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
লেখাবাহুল্য এ চ্যালেঞ্জ গ্রহণে সরকারের সদিচ্ছার কথা আমরা শুনলেও সক্রিয়তা আমরা লক্ষ্য করছি না। গ্যাস ফুরিয়ে গেছে, খনিজ সম্পদ কমে গেছে এসব আপ্তবাক্য আর না শুনে এখন আমরা সহজভাবে সমুদ্র সম্পদ আহরণে সংকটের সমাধানের পাশাপাশি সমৃদ্ধির সোপানে এগিয়ে যাওয়ার দীপ্ত পদক্ষেপই উন্নয়নের দাবীদার সরকারের কাছে প্রত্যাশা করি।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বাংলাদেশকে ঘিরে ফেলছে ভারতের- এন-সার্কেল অন্তর্বর্তী সরকারের অন্ত:সারশূণ্যতা শুধু হতাশারই নয় বরং ঘোর অমানিশার।
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দিন দিন বাড়ছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুনসহ মারাত্মক সব অপরাধ এসব অপরাধের মূলে থাকছে কারখানা বন্ধ আর বেকারত্ব বৃদ্ধি এবং সরকারের গৃহীত ভূল অর্থনীতি সরকারের টনক নড়বে কবে?
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
এসএফবি তথ্যানুযায়ী ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশে বাস্তচ্যূতদের সংখ্যা ৯৪ লাখ অপরদিকে গত পরশু প্রকাশিত আইওএম পরিবেশিত তথ্যানুযায়ী দেশে বাস্তচ্যূতদের সংখ্যা ৪৩ লাখ দুঃখজনক হলেও সত্য রাষ্ট্র বা সরকারের নিজস্ব তথ্য পরিসংখ্যান নেই। পাশাপাশি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় যথাযথ পদক্ষেপ ও প্রক্রিয়াও নেই। এর সমাধান জরুরী।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সত্যিকার উপলব্ধি জাগ্রত হোক সবার অন্তরে। সংস্কারের দাবীদার সরকারকে উপলব্ধিতে সক্ষমতা আনতেই হবে- যে, সত্যিকার ইসলামী অনুপ্রেরণাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং সংস্কারের পরিক্রমা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ মহিমান্বিত ২৩শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আফদ্বালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহিমান্বিত ২২শে জুমাদাল উখরা শরীফ! খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস এবং আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র খিলাফত মুবারক গ্রহণ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ মহিমান্বিত ২১শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ! যা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, খইরু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র ও বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুবারক হো- মহাপবিত্র মহাসম্মানিত মহামহিমান্বিত ২০শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবিয়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতুর রসূল আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সরকারী ওষুধ লুটের ব্যবসা বহু রকম। জনস্বাস্থ্যের হুমকি বহুবিধ। সংবেদনশীল এ বিষয়টির প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উদাসীনতা বরদাশতের বাইরে
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জননিরাপত্তাকে প্রধান কর্তব্য বললেও অন্তর্বর্তী সরকার করুণভাবে ব্যর্থ হচ্ছে কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পথে পরিচালিত হলেই সফল হওয়া সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা দুরূহ হলেও অসম্ভব নয় খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খুব সহজেই পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জালিম ও তাবেদার সরকারের করে যাওয়া আত্মঘাতী পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা আমলাদের বাধা অবদমন করে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর পূরো কর্তৃত্বের অধিকার সেনাবাহিনীকেই প্রতিফলিত করে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












