সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক কায়িম হওয়ার অর্থই হলো দুনিয়ার যমীন ইনছাফ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া (৪)
, ২১ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৮ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১০ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি তখন সম্মানিত খিলাফত মুবারক উনার মসনদে সমাসীন। ঐ সময়ের একখানা ঘটনা মুবারক-
عَنْ حَضْرَتْ اَلنُّعْمَانِ بْنِ بَشِيْرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـى عَنْهُ اَنَّ حَضْرَتْ عُمَرَ بْنَ الْـخَطَّابِ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ فِـىْ مَـجْلِسٍ وَّحَوْلَهُ الْـمُهَاجِرُوْنَ وَالْاَنْصَارُ اَرَاَيْتُمْ لَوْ تَرَخَّصْتُ فِـىْ بَعْضِ الْاُمُوْرِ مَا كُنْتُمْ فَاعِلِيْنَ فَسَكَتُوْا فَقَالَ ذٰلِكَ مَرَّتَيْنِ اَوْ ثَلَاثًا فَقَالَ حَضْرَتْ بِشْرُ بْنُ سَعْدٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ لَوْ فَعَلْتَ ذٰلِكَ قَوَّمْنَاكَ تَقْوِيْـمَ الْقِدْحِ فَقَالَ حَضْرَتْ عُمَرُ عَلَيْهِ السَّلَامُ اَنْتُمْ اِذًا اَنْتُمْ اِذًا
অর্থ: “হযরত নু’মান ইবনে বশীর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। একবার আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি এক মজলিসে উপস্থিত হয়েছিলেন। উনার চারপাশে হযরত মুহাজির ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা এবং হযরত আনছার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা আবস্থান মুবারক করছিলেন। আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, যদি আপনারা আমাকে কোনো কাজে শৈথিল্য করতে দেখেন, তাহলে আপনারা কী করবেন? তখন সকলে চুপ থাকলেন। সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি এই কথা দুই বার অথবা তিন বার বললেন। অতঃপর হযরত বিশর ইবনে সা’দ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বললেন, ‘আপনি যদি এমন করেন, তাহলে আমরা আপনাকে তীরের মতো সোজা করে দিবো’। অতঃপর সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, তবেই তো আপনারা কাজের লোক, তবেই তো আপনারা কাজের লোক। ” সুবহানাল্লাহ! (জামি‘উল আহাদীছ ২৬/১৩৫, আল ওয়াফী বিল ওয়াফায়াত ৩/৩৮২, কানযুল উম্মাল ৫/৬৮৭, মুখতাছরু তারীখে দিমাশক্ব ২/১৯২ ইত্যাদি)
সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি কোনো কাজে কোনো প্রকার শৈথিল্য দেখানোর তো প্রশ্নোই উঠে না। বরং খুলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনারা তো অবশ্যই; এমনকি সম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্য থেকে এই পর্যন্ত যত জন সম্মানিত খলীফা আলাইহিমুস সালাম উনারা সম্মানিত তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত যত জন সম্মানিত খলীফা আলাইহিমুস সালাম উনারা সম্মানিত তাশরীফ মুবারক নিবেন, উনাদের দ্বারা কোনো প্রকার শৈথিল্য দেখানো কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। কেননা উনারা দায়িমীভাবে সম্মানিত ইলহাম-ইলক্বা মুবারক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত দিক নির্দেশনা মুবারক অনুযায়ী চলে থাকেন। তবে সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি এই সম্মানিত ওয়াকেয়া মুবারক উনার মাধ্যম দিয়ে সম্মানিত ইনছাফ মুবারক উনার বিষয়টি স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ সম্মানিত খলীফা উনাদের দ্বারা কস্মিনকালেও সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার খিলাফ বা সম্মানিত ইনছাফ মুবারক উনার খিলাফ কোনো কাজ সংঘটিত হওয়া আদৌ সম্ভব নয়, সেই বিষয়টিই তিনি এই ওয়াকেয়া মুবারক উনার দ্বারা স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। সুবহানাল্লাহ!
তাহলে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের জন্য কতো বড় রহমত, বরকত, সাকীনাহ্ ও নিয়ামত মুবারক উনার কারণ, তা এখান থেকে স্পষ্ট হয়ে যায়। এই কারণেই যতদিন দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠিত ছিলেন, ততদিন মানুষ দুনিয়ার যমীনে থেকেই জান্নাতী অমীয় সুখ-শান্তি উপভোগ করেছিলো। সুবহানাল্লাহ! আবার যখন দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠিত হবেন, তখন মানুষ দুনিয়ার যমীনে থেকেই জান্নাতী অমীয় সুখ-শান্তি উপভোগ করবে। সুবহানাল্লাহ!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানিকারীর একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে ‘মৃত্যুদন্ড’ (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ব্যবহৃত একখানা শব্দ মুবারক পবিত্র “নূরুল ফাতাহ” মুবারক উনার ব্যাপকতা ও বিশালতা
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে মানহানীকারীদের যুগে যুগে ভয়াবহ পরিণতি (৩১)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৭)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানিকারীর একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে ‘মৃত্যুদন্ড’ (৩)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মেহমানদারী করার মাধ্যমে উদযাপনে শাফায়াত মুবারক লাভ
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৬)
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানিকারীর একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে ‘মৃত্যুদন্ড’ (২)
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৫)
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানিকারীর একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে ‘মৃত্যুদন্ড’ (১)
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












