সম্মানিত মীলাদ শরীফ পাঠে অনন্য তাজদীদ মুবারক
, ০৫ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১২ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৫ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) শিক্ষামূলক জিজ্ঞাসা
সুওয়াল: রাজারবাগ শরীফ সিলসিলা ভুক্তদেরকে সম্মানিত মীলাদ শরীফ পাঠকালে ছলাত শরীফ বলার সময় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক না বলে লক্বব মুবারক যথা রসূলিল্লাহ ও হাবীবিল্লাহ বলে থাকেন। আর অন্য যারা মীলাদ শরীফ পড়েন উনারা সরাসরি নাম মুবারক বলেন।
আবার সালাম পেশ করার সময় আপনারা আসসালামু আলাইকুম ইয়া রসূলাল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম ইয়া নাবিয়্যাল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম ইয়া হাবীবাল্লাহ বলেন। আর অন্যরা ইয়া নাবী সালামু আলাইকা, ইয়া রসূল সালামু আলাইকা, ইয়া হাবীব সালামু আলাইকা বলে থাকেন।
সম্মানিত মীলাদ শরীফ পাঠের উক্ত দুই নিয়মের মধ্যে কোন নিয়মটি উত্তম? দলীলসহ জানিয়ে বাধিত করবেন।
জাওয়াব:
(৪র্থ অংশ)
এক্ষেত্রে একটা উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট কায়িনাতের সবকিছুই দৃশ্যমান অর্থাৎ তিনি দেখে থাকেন। যেমন এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اِنَّا اَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا
অর্থ: নিশ্চয়ই আমি আপনাকে (আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাক্ষ্যদানকারী বা প্রত্যক্ষকারী হিসেবে প্রেরণ করেছি। (পবিত্র সূরা ফাতহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৮)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عن حضرت ابن عمر رضي الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اِنَّ اللهَ عز وجل قَدْ رَفَعَ لِـىَ الدُّنْيَا فَأَنَا اَنْظُرُ إِلَيْهَا وَإِلٰـى مَا هُوَ كَائِنٌ فِيْهَا اِلٰـى يَوْمِ القِيَامَةِ كَاَنَّـمَا اَنْظُرُ اِلٰـى كَفِّىْ هٰذِهٖ
অর্থ: “ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক জাল্লা শানুহূ তিনি পৃথিবীকে আমার সামনে এরূপভাবে রেখেছেন যে, আমি এ সমগ্র পৃথিবীকে এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত তার মধ্যে যা কিছু সৃজিত বা সংঘটিত হবে তদসমূহকে ওইরূপভাবে দেখি যেরূপ আমার হাত মুবারকের তালু মুবারক দেখে থাকি। ” সুবহানাল্লাহ! (তবারানী শরীফ)
অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কোনকিছু দেখার জন্য, জানার জন্য বা শোনার জন্য কোথাও যাওয়ার মোটেই প্রয়োজন নেই। পবিত্র রওজা শরীফ উনার মধ্যে অবস্থান মুবারক করেই সারা কায়িনাতের সমস্ত সংবাদ নিতে পারেন ও নিয়েও থাকেন। এটা উনার সম্মানিত ইলিম ও সম্মানিত মু’জিযা শরীফ উনার অন্তর্ভুক্ত। যেরূপ খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত ইলিম ও সম্মানিত কুদরত মুবারকের মাধ্যমে সারা কায়িনাতের সমস্ত সংবাদ জেনে থাকেন ও নিয়ে থাকেন।
তাহলে আমরা যা করছি, যা পড়ছি তা যদি উপস্থিত ব্যক্তির মতো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দেখেন তাহলে উনার নাম মুবারক কি করে উচ্চারণ করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে উনার লক্বব মুবারক উচ্চারণ করা ব্যতীত কোন উপায় আছে কি? পিতার উপস্থিতিতে কোন সন্তান পিতার নাম উচ্চারণ করে না। যদি তাই হয় তাহলে যিনি সমস্ত পিতারও সম্মানিত পিতা, সমস্ত কায়িনাতের যিনি সম্মানিত পিতা উনার উপস্থিতিতে কিভাবে উনার নাম মুবারক উচ্চারণ করা যাবে? উনার সম্মানিত নাম মুবারক উচ্চারণ করলে আদব হবে কি, না চরম বেয়াদবী হবে? আর উনার সুমহান শানে বেয়াদবী হলে ঈমান থাকবে কি? কখনই ঈমান থাকবে না।
মোটকথা, যেসব স্থানে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানিত নাম মুবারক উচ্চারণ করেছেন কেবল সেসব স্থানেই উনার সম্মানিত নাম মুবারক উচ্চারণ করা যাবে বা করতে হবে আর অন্যসব স্থানে উনার সম্মানিত লক্বব মুবারক উচ্চারণ করতে হবে। এমনকি সম্মানিত নাম মুবারক উনার অর্থ ও ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে সম্মানিত নাম মুবারক লেখা বা বলার কোনই প্রয়োজন নেই। সেক্ষেত্রে লক্বব মুবারক লেখা বা বলাই যথেষ্ট এবং সম্মান ও আদবের অন্তর্ভুক্ত।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
প্রসঙ্গ: হজ্জের ফরজ আদায়ে হারাম ছবি তোলাকে সাময়িক বৈধতা প্রদান....
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সুন্নতী কদমবুছি বিষয়ে কওমী মুখপত্রের শরীয়তের খেলাফ বক্তব্যের খন্ডনমূলক জাওয়াব
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
কথিত ট্রান্সজেন্ডার বিষয়ে শরঈ ফতওয়া (১৪)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গ: হজ্জের ফরজ আদায়ে হারাম ছবি তোলাকে সাময়িক বৈধতা প্রদান....
২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত আদম আলাইহিস সালাম ও হযরত হাওয়া আলাইহাস সালাম উনাদেরকে ‘নাফরমান’ বলা চরম বেয়াদবী ও কুফরী (৬)
২৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হযরত আদম আলাইহিস সালাম ও হযরত হাওওয়া আলাইহাস সালাম উনাদেরকে ‘নাফরমান’ বলা চরম বেয়াদবী ও কুফরী (৫)
১৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রসঙ্গ: পুরুষ-মহিলা নামায আদায়ের ছহীহ পদ্ধতি
১১ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত আদম আলাইহিস সালাম ও হযরত হাওওয়া আলাইহাস সালাম উনাদেরকে ‘নাফরমান’ বলা চরম বেয়াদবী ও কুফরী (৪)
১০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রসঙ্গ: পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন সম্পর্কে বাতিলদের মনগড়া বক্তব্য খন্ড
০৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত আদম আলাইহিস সালাম ও হযরত হাওওয়া আলাইহাস সালাম উনাদেরকে ‘নাফরমান’ বলা চরম বেয়াদবী ও কুফরী (৩)
০৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
কথিত ট্রান্সজেন্ডার বিষয়ে শরঈ ফতওয়া (১০)
০২ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গ: পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন সম্পর্কে বাতিলদের মনগড়া বক্তব্য খন্ডন
২৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












