সম্মানিত মুসলমান উনাদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা (৩)
, ০৯ জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৫ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ১২ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৭ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা

(পূর্বপ্রকাশিতের পর)
ইহুদীরা সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার বিরুদ্ধে নানা এলোমেলো কথা বলেছে। না‘ঊযুবিল্লাহ! যেমন- মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَقَالَتِ الْيَهُودُ يَدُ اللَّهِ مَغْلُولَةٌ غُلَّتْ أَيْدِيهِمْ وَلُعِنُوا بِمَا قَالُوا بَلْ يَدَاهُ مَبْسُوطَتَانِ
অর্থ: “ইহুদীরা বলে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাত মুবারক বন্ধ অর্থাৎ তিনি কৃপণ। না‘ঊযুবিল্লাহ! তাদের হাতই বন্ধ অর্থাৎ তারাই কৃপণ এবং এসব কথা বলার কারণে তারা লা’নত প্রাপ্ত হয়েছে। বরং মহান আল্লাহ পাক উনার উভয় কুদরতী হাত মুবারকই উন্মুক্ত অর্থাৎ তিনি অত্যন্ত দানশীল। ” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা মায়িদাহ্ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৬৪)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
لَقَدْ سَمِعَ اللَّهُ قَوْلَ الَّذِينَ قَالُوا إِنَّ اللَّهَ فَقِيرٌ وَنَحْنُ أَغْنِيَاءُ سَنَكْتُبُ مَا قَالُوا وَقَتْلَهُمُ الْأَنْبِيَاءَ بِغَيْرِ حَقٍّ وَنَقُولُ ذُوقُوا عَذَابَ الْحَرِيقِ
অর্থ: “অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদের কথা শুনেছেন যারা বলে, ‘নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি ফকীর আর আমরা ধনী। ’ না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! শীঘ্রই আমরা লিপিবদ্ধ করব অর্থাৎ লিপিবদ্ধ করেছি তারা যা বলেছে এবং অন্যায়ভাবে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে তারা শহীদ করেছে। আর (পরকালে তাদেরকে) আমি বলবো- তোমরা প্রজ্জলিত অগ্নির শাস্তির স্বাদ গ্রহণ করো। ” (পবিত্র সূরা আল ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৮১)
এই ইহুদীরাই বণী ইসরাইলের ৭০ হাজার হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে বিনা কারণে অন্যায়ভাবে শহীদ করেছে। যা তাদের চরম অবাধ্যতা, নাফরমানী ও সীমালঙ্গনের বহিঃপ্রকাশ। এ সম্পর্কে স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَضُرِبَتْ عَلَيْهِمُ الذِّلَّةُ وَالْمَسْكَنَةُ وَبَاءُوا بِغَضَبٍ مِنَ اللَّهِ ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ كَانُوا يَكْفُرُونَ بِآيَاتِ اللَّهِ وَيَقْتُلُونَ النَّبِيِّينَ بِغَيْرِ الْحَقِّ ذَلِكَ بِمَا عَصَوْا وَكَانُوا يَعْتَدُونَ
অর্থ: “তাদের উপর আপতিত হলো লাঞ্ছনা ও দারিদ্রতা এবং তারা অর্জন করলো মহান আল্লাহ পাক উনার গযব বা অসন্তুষ্টি। এটা একারণে যে, তারা মহান আল্লাহ পাক উনার নিদর্শন মুবারকসমূহ অবিশ্বাস করেছিলো এবং বিনা কারণে অন্যায়ভাবে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে শহীদ করেছিল। এটা এজন্য যে, তারা নাফরমানী করেছিলো এবং সীমালঙ্ঘন করেছিলো। ” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৬১)
এরূপ আরো অনেক সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ রয়েছেন।
এই ইহুদীরাই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চরম বিরোধীতা করেছিলো। তারা সম্মানিত আযান মুবারক শুনে বলেছিলো-
ابتدعت شيئاً لم يكن للأنبياء فمن أين لك الصياح كصياح العير فما أقبحه من صوت
‘এটা আপনি কি নতুন বিষয় শুরু করেছেন, যেটা পূর্বে কোনো হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের সময় ছিলো না। আপনি উটের চিৎকারের মতো চিৎকার কোথায় পেলেন? কি কুৎসিত শব্দ!’ না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ!
তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি নাযিল করেন-
وَإِذَا نَادَيْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ اتَّخَذُوهَا هُزُوًا وَلَعِبًا ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ قَوْمٌ لَا يَعْقِلُونَ
অর্থ: “যখন আপনারা সম্মানিত ছলাত উনার দিকে আহ্বান করেন, তখন তারা সম্মানিত ছলাত উনাকে খেল-তামাশা হিসেবে গ্রহণ করে। একারণে যে, নিশ্চয়ই তারা এমন ক্বওম যাদের আক্বল নেই। ” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৬১)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত ক্বদমবুছী মুবারক খাছ সুন্নাত মুবারক
১১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ মহিলা সবার জন্য ফরজ
১১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, হিন্দুদের পূজায় গিয়েছে, তাদেরকে পূজা করতে সাহায্য-সহযোগীতা করেছে, সমর্থন করেছে, সম্মতি প্রকাশ করেছে, তাদের সাথে মুছাফাহা ও মুয়ানাক্বা করেছে, তাদেরকে সম্মান করেছে, তা’যীম করেছে, তাদের সম্পর্কে সম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার করেছে এবং সম্মানসূচক শব্দ দ্বারা সম্বোধন করেছে, বাহ বাহ দিয়েছে এবং বেশী বেশী মূর্তি তৈরী করতে বলেছে এবং বেশী বেশী পূঁজা করতে বলেছে তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হয়েছে (৯)
১১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
১১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাযিনু কামালিল্লাহ, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের বেমেছাল মুহব্বত মুবারক
১১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
উলামায়ে সূ’ ধর্ম ব্যবসায়ীদের পরিচিতি ও হাক্বীক্বত (৭)
১০ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১০ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১০ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
০৯ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৯ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, হিন্দুদের পূজায় গিয়েছে, তাদেরকে পূজা করতে সাহায্য-সহযোগীতা করেছে, সমর্থন করেছে, সম্মতি প্রকাশ করেছে, তাদের সাথে মুছাফাহা ও মুয়ানাক্বা করেছে, তাদেরকে সম্মান করেছে, তা’যীম করেছে, তাদের সম্পর্কে সম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার করেছে এবং সম্মানসূচক শব্দ দ্বারা সম্বোধন করেছে, বাহ বাহ দিয়েছে এবং বেশী বেশী মূর্তি তৈরী করতে বলেছে এবং বেশী বেশী পূজা করতে বলেছে তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হয়েছে (৮)
০৯ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)