সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক তা’লিমী মজলিসে কৃত সুওয়ালের জাওয়াব মুবারক
, ০৯ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৩ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন, ০১লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ১৮ই মাঘ, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মহিলাদের পাতা
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
৩য় পর্ব:
সুওয়াল-৪১:
একজন পুরুষ অথবা একজন মহিলা ইন্তেকালের পর তাদের পরিত্যক্ত সম্পত্তি কিভাবে বণ্টিত হবে? জানতে বাসনা রাখি।
জওয়াব মুবারক:
যদি কোন মাইয়্যিতের মা, স্ত্রী, ২ জন মেয়ে থাকে, তাহলে তার (মাইয়্যিতের) সম্পত্তি বণ্টন হবে এভাবে, মা-সমস্ত সম্পত্তির ৬ ভাগের ১ ভাগ, স্ত্রী- সমস্ত সম্পত্তির ৮ ভাগের ১ ভাগ, আর ২ মেয়ে-সমস্ত সম্পত্তির ৩ ভাগের ২ ভাগ। মা, স্ত্রী ও ২ মেয়ের ভগ্নাংশের হরের ল.সা.গু হয় ২৪। সুতরাং মা পাবেন সম্পত্তির ২৪ ভাগের ৪ ভাগ, স্ত্রী পাবেন সম্পত্তির ২৪ ভাগের ৩ ভাগ, আর ২ মেয়ে পাবে সম্পত্তির ২৪ ভাগের ১৬ ভাগ। যেমন: কোন ব্যক্তির সম্পত্তি আছে ৪০ কাঠা। মা পাবে ৬.৬৭ কাঠা, স্ত্রী পাবে- ৫ কাঠা, ২ মেয়ে পাবে -২৬.৬৭ কাঠা, অবশিষ্ট ১.৬৬ কাঠা (পিতা বা ছেলে না থাকার কারণে) যদি মাইয়্যিতের দাদা থাকে তাহলে বাবার ক্বায়িম মাক্বাম অর্থাৎ স্থলাভিষিক্ত হিসেবে দাদা পাবে এবং যদি নাতি থাকে তাহলে ছেলের ক্বায়িম মাক্বাম অর্থাৎ স্থলাভিষিক্ত হিসেবে নাতি পাবে। আর যদি দাদা ও নাতি না থাকে, মাইয়্যিতের ভাই বোনেরা পাবে। ভাই বোন না থাকলে চাচা, ফুফুরা পাবে। আর যদি চাচা ফুফুও না থাকে তাহলে ভাইয়ের ছেলে, বোনের ছেলে পাবে।
আর যদি কোন মাইয়্যিতের মা, স্ত্রী আছে কোন ছেলে মেয়ে নেই। তাহলে মা পাবে মাইয়্যতের সম্পত্তির ৬ ভাগের ১ ভাগ আর স্ত্রী পাবে- সম্পত্তির ৪ ভাগের ১ ভাগ। উভয়ের ভগ্নাংশের হরের ল.সা. গু হয় ১২। সুতরাং মা পাবেন সম্পত্তির ১২ ভাগের ২ ভাগ, আর স্ত্রী পাবে- সম্পত্তির ১২ ভাগের ৩ ভাগ। অবশিষ্ট ৭ ভাগ দাদা ও নাতি থাকলে দাদা ও নাতি পাবে আর না থাকলে মাইয়্যিতের ভাই বোনেরা পাবে।
যদি ভাই বোন একজন থাকে বা ভাই বোন না থাকে তাহলে বণ্টন ভিন্ন হবে। তখন মা পাবে সম্পত্তির ৩ ভাগের ১ ভাগ অর্থাৎ ১২ ভাগের ৪ ভাগ, স্ত্রী পাবে- সম্পত্তির ৪ ভাগের ১ অর্থাৎ ১২ ভাগের ৩ ভাগ, বাকি অংশ তার (মাইয়্যিতের) এক ভাই থাকলে সে পাবে আর না থাকলে চাচা ফুফু পাবে। যদি চাচা ফুফুও না থাকে তাহলে ভাইয়ের ছেলে, বোনের ছেলে পাবে। (ইনশাআল্লাহ চলবে)
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তিন ধরনের লোক বেহেশতে প্রবেশ করবে না
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
হযরত উম্মে সুরাইকা দাওসিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (৩)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (১০)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












