নছীহতে কায়িম মাকামে উম্মাহাতুল মু’মীনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ফযীলত মুবারক: (৪)
, ০৮ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৬ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৯ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহিলাদের পাতা
নছীহত মুবারক করলেন। অতঃপর বললেন, “সাবধান! হে লোক সকল! নিশ্চয়ই আমি একজন নবী ও রসূল, অচিরেই আমার নিকট মহান আল্লাহ পাক উনার দূত (হযরত মালাকুল মউত আলাইহিস সালাম) আসবেন। তখন আমি আমার রব তায়ালা উনার পবিত্র আহবানে সাড়া দিব। আমি আপনাদের মাঝে দু’টি মূল্যবান নিয়ামত মুবারক রেখে যাচ্ছি। তন্মধ্যে প্রথম নিয়ামত মুবারক হলো- মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাব। উনার মধ্যে রয়েছে পবিত্র হিদায়েত ও নূর। অতএব, আপনারা মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাবকে খুব মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরুন এবং দৃঢ়তার সাথে উনার বিধি-বিধান মেনে চলুন।” (বর্ণনাকারী বলেন,) মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাব শরীফের নির্দেশনাবলী দৃঢ়ভাবে মেনে চলার জন্য তিনি খুব বেশি উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত করলেন। অতঃপর বললেন, “দ্বিতীয় নিয়ামত মুবারক হলো- আমার হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা। আমি আপনাদেরকে আমার হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে বিশেষভাবে সতর্ক তথা নছীহত করছি। আমি আপনাদেরকে আমার হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে বিশেষভাবে সতর্ক তথা নছীহত করছি। [মুসলিম শরীফ]
অন্যত্র পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ جَابِـرٍ رَضِىَ اللّٰهُ تَـعَالـٰى عَـنْـهُ قَالَ رَاَيْـتُ رَسُوْلَ اللّٰهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِـىْ حَجَّـتـِهٖ يَــوْمَ عَـرَفَـةَ وَهُوَ عَلٰى نَاقَـتِــهِ الْقَصْوَاءِ يَـخْـطُبُ فَسَمِـعْـــتُــهٗ يَــقُوْلُ يٰاَيُّـهَا النَّاسُ اِنِّـىْ تَـرَكْتُ فِــيْـكُمْ مَا اِنْ اَخَـذْتُـمْ بِـهٖ لَنْ تَضِـلُّوْا كِــتَابَ اللّٰهِ وَعِـتْــرَتِــىْ اَهْـلَ بَــيْــتِـــىْ. (رواه ترمذى وابن ماجه والطبرانى وجامع الاحاديث وجـمع الـجوامع او الـجامع الكبيـر للسيوتى وكنز العمال و الـجامع الاصول من احاديث الرسول)
হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হজ্জের সময় আরাফার দিন ক্বাসওয়া নামক উষ্ট্রীর উপর আরোহণ করা অবস্থায় খুতবা দিতে দেখলাম। অতঃপর উনাকে বলতে শুনলাম, হে মানব জাতি! নিশ্চয়ই আমি তোমাদের মাঝে এমন নিয়ামত রেখে যাচ্ছি; যা আঁকড়ে ধরলে তোমরা কখনো গোমরাহ হবে না। প্রথম হলো, মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাব। আর দ্বিতীয় হলো, আমার সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
[তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, ত্ববারানী শরীফ ইত্যাদি]
অর্থাৎ আখেরী যামানার ফিতনা ফাসাদ থেকে নাজাত লাভের একমাত্র উপায় হলো হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা তথা অনুসরণ অনুকরণ করা, জীবনের সকল ক্ষেত্রে উনাদেরকে আদর্শ রূপে গ্রহণ করা। উনাদের অনুসরণ করতে হলে উনাদের সম্পর্কে জানতে হবে, আলোচনা করতে হবে। যে যাকে মুহাব্বত করে তার আলোচনাই অধিক করে। তাই উনাদের আলোচনা করলে, উনাদের আদর্শ মুবারক গ্রহণ করলেই উনাদের প্রতি মুহাব্বত বুঝা যাবে। অন্যথায় মুহাব্বত বুঝা যাবে না।
বলা হয়ে থাকে, মুহাব্বতে তিতাটাও মিষ্টি হয়ে যায়। কেউ যখন হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহাব্বত করবে তখন উনাদের আদর্শ মুবারকও পালন করতে ভালো লাগবে। আর উনাদের প্রতি মুহাব্বত না থাকলে অন্য দিকে রুজু হয়ে যাবে, ফলে উনাদের আদর্শ মুবারকও গ্রহণ করা হবে না। বর্তমান যামানায় দেখা যায়, মানুষ ফাসিক-ফুজ্জার, কাফির-মুশরিকদের আদর্শ নিয়ে ব্যাতিব্যস্ত। মুসলমানগণ হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের আদর্শ মুবারক উনার অনুসরণ করা থেকে দূরে সরে গেছে। আসলে উনাদের মুহাব্বত ও অনুসরণের প্রতি গুরুত্ব বর্তমান যামানার নামসর্বস্ব
মুসলমানদের অন্তরে নেই বলেই তাদের ঈমানী শক্তিও নেই। কারণ পবিত্র হাদীছ শরীফে বলা হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ عَلِىٍّ عَلَـيْـهِ السَّلَامُ عَنِ النَّـبِـىِّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَسَاسُ الْاِسْلَامِ حُـبِّـىْ وَحُبُّ اَهْلِ بَــيْـتِـىْ. (رواه تاريخ دمشق وجامع الاحاديث وجمع الـجوامع او الـجامع الكبير للسيوتى وكنز العمال)
দ্বীন ইসলাম উনার মূল ভিত্তি-ই হলো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহাব্বত মুবারক।
[তারীখে দামেশক, জামেউল আহাদীছ, জামিউল কাবীর লিস সুয়ূতী, কানযুল উম্মাল ইত্যাদি]
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরযে আইন হচ্ছে- যথাযথভাবে ৫ ওয়াক্ত নামায তারতীব অনুযায়ী যথাসময়ে আদায় করে নেয়া
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












