সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদুয যামান, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৬৩)
(বিলাদত শরীফ ৫৩৬ হিজরী, বিছাল শরীফ ৬৩৩ হিজরী)
, ০৭ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৫ আউওয়াল, ১৩৯৩ শামসী সন , ০৪ জুন, ২০২৫ খ্রি:, ২২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদে যামান, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রথম মাকতুবাত বা চিঠি মুবারক:
সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বলেন, আবার কেউ কেউ বলে যে, কামালিয়াত হাছিল হয়ে গেলে আর কোন ইবাদত-বন্দেগী, যিকির-ফিকিরের প্রয়োজন হয় না। নাঊযুবিল্লাহ! একথাটি মারাত্মক ভুল। সম্পূর্ণই বদ ধারণা।
কারণ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কোন ইবাদত-বন্দেগী করার প্রয়োজন নেই। অথচ তিনি উম্মতকে শিক্ষা দেয়ার জন্য পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করা পর্যন্ত ইবাদত-বন্দেগী, যিকির-ফিকির করেছেন।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে-
كَانَ النَّبِى صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَذْكُرُ اللهَ عَلٰى كُلِّ اَحْيَانِهٖ
অর্থ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সর্বদা মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির-ফিকিরে মশগুল ছিলেন। (মুসলিম শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফ)
মূলতঃ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত মুবারকে নিজেকে সর্বদা নিয়োজিত রেখেছেন। এমনকি মারিদ্বী শান মুবারকে (অসুস্থতা) থেকেও পবিত্র ছলাত-নামায আদায় করেছেন। দুই জন হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা উনাদের কাঁধ মুবারকে ভর দিয়ে তিনি পবিত্র মসজিদে নববী শরীফ উনার মধ্যে তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
ঐ মিথ্যাবাদীদের জেনে রাখা উচিত যে, এই বিশ্বজগতে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চেয়ে বড় কামিল বা পূর্ণতাপ্রাপ্ত ও মর্যাদাসম্পন্ন দ্বিতীয় কেউ নেই।
মহান আল্লাহ পাক উনার পরেই উনার সম্মানিত মাক্বাম মুবারক। আর তিনিই আগত-অনাগত সকল মু’মিন-মু’মিনাগণেরই আদর্শ মুবারক। তিনিই সকলের অনুসরণীয়। কাজেই তিনিই যদি বিছালী শান মুবারক প্রকাশ অবধি ইবাদত-বন্দেগী, যিকির-ফিকিরে নিয়োজিত থাকেন। আর তাহলে কার জন্য মাফ হবে? কে ইবাদত বন্দেগী, যিকির-ফিকির থেকে বিরত থাকতে পারবে?
কাজেই, যারা এরূপ ধারণা অন্তরে পোষণ করে তারা সম্মানিত ইলমে তাছাউফের পথে প্রধান শত্রু। বড় দুশমন। আর এজন্য অনেক লোক তাদের মিথ্যা ও মনগড়া ধারণা ও জল্পনা-কল্পনামূলক কথা-বার্তা শুনে বিতাড়িত ও অভিশপ্ত হয়ে অতল তলে তলিয়ে গেছে। নাঊযুবিল্লাহ!
সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদে যামান, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বলেন, খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট নিজেকে কুরবান বা উৎসর্গ করলাম। যিনি পরম করুণাময় দয়ালু ও দাতা।
মহান আল্লাহ পাক উনার পরম দীদার মুবারকের আকাঙ্খীর বাসনায় প্রদীপ্ত ও অবিরাম পরিশ্রমী দ্বীনদার, আমার অত্যন্ত মুহব্বতের মুরীদ হযরত খাজা কুতুবুদ্দীন বখতিয়ার কাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি! আপনার জ্ঞাতার্থে তাছাউফের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পেশ করছি।
আমার মহান মুর্শিদ ক্বিবলা কুতুবুল মাশায়িখ, সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা উছমান হারূনী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পরম খিদমত মুবারকে একদিন আমি হাজির হলাম। সেই মজলিস মুবারকে হযরত খাজা নাজিমুদ্দীন ছোগরা রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত খাজা মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং আরো অনেক বুযুর্গানে দ্বীন উপস্থিত ছিলেন।
এক ব্যক্তি আমার সম্মানিত শায়েখ সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা উছমান হারূনী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে জিজ্ঞাসা করলেন, কোন ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নৈকট্য, কুরবত মুবারক লাভ করেছেন তা কিভাবে বুঝা যাবে? তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, “যে ব্যক্তির মধ্যে নেক আমল সম্পূর্ণরূপে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে, সেটাই তার নৈকট্য, কুরবতের পরিচিতি বহন করে। জেনে রাখুন, যে ব্যক্তিকে নেক আমলের তাওফীক্ব দান করা হয়েছে অর্থাৎ নেক আমল করতে ইতমিনান পায় তার জন্য নৈকট্য ও কুরবতের দরজা মুবারক খুলে দেয়া হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হাযির-নাযির শান মুবারক (১)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আল্লাহওয়ালী মহিলা উনাদের তিনটি বৈশিষ্ট্য-
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পুরুষের জন্য কমপক্ষে একমুষ্ঠি পরিমাণ দাড়ি রাখা ফরয
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (২)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা (২)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পর্দা পালন করা নারী-পুরুষ সকলের জন্যই শান্তি ও পবিত্রতা হাছিলের কারণ
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সীমালঙ্ঘনকারী কাফির-মুশরিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ মুবারক
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












