সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবিআহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার ফাযায়িল-ফযীলত, বুযুর্গী-সম্মান, খুছূছিয়ত-বৈশিষ্ট্য মুবারক সম্পর্কে ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ (৪০)
, ২৮ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৩ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ১১ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২৭ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
পূর্ব প্রকাশিতের পর
এর মধ্যে অনেক ইবরত-নছীহত রয়েছে। একদিক থেকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকের আঞ্জাম দেয়া ফরয-ওয়াজিব। আরেকদিক থেকে উনারা চিন্তিত। মহান আল্লাহ পাক তিনি বরদাশ্ত করলেন না। উনারা চিন্তিত থাকবেন এটা কি করে হতে পারে। উনাদেরকে চিন্তা মুক্ত করতে হবে সেজন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বয়ং হাদিয়া পাঠিয়ে দিলেন। সুবহানাল্লাহ! বিষয়টা কিন্তু খুব সূক্ষ্ম বিষয়। এর মধ্যে অনেক, লক্ষ-কোটি ইবরত নছীহত রয়েছে এবং উনারা যে হাক্বীক্বী তাওয়াক্কুল করেন-
مَنْ يَّتَوَكَّلْ عَلَى اللهِ فَهُوَ حَسْبُهٗ
“যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার উপর তাওয়াক্কুল করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি সে ব্যক্তির জন্য যথেষ্ট।” সুবহানাল্লাহ! এ বিষয়টা মহান আল্লাহ পাক তিনি স্পষ্ট করে দিলেন-
هُوَ الرَّزَّاقُ ذُو الْقُوَّةِ الْمَتِينُ
“তিনি উত্তম রিযিকদাতা” সেটাও তিনি প্রমাণ করে দিলেন। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ এর মধ্যে লক্ষ-কোটি ইবরত নছীহত রয়েছে। এখন উনাদের যে বিষয়গুলো উনারা কিন্তু দান-খয়রাত করে দিয়েই উনারা সব খালি করে দিতেন। উনাদের যে ছিল না সেটা না, এ কথা বললে কিন্তু কুফরী হবে। যেমন আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনি যে তাবুকের জিহাদে তেমন কিছু নিতে পারলেন না, কেন? তিনি তো আগেই সবকিছুই দান খয়রাত করে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি অভাবী ছিলেন না। উনারা কেউই অভাবী ছিলেন না। তবে উনারা দান-খয়রাত করে দিতেন যার জন্য উনাদের কাছে উপস্থিত কিছুই থাকতো না। অবশ্যই পরবর্তীতে মহান আল্লাহ পাক তিনি কুদরতীভাবে সেটা পৌঁছিয়ে দিতেন। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত আন নূরুর রবিআহ যাহরা আলাইহাস সালাম তিনিও কিন্তু গণী ছিলেন। এখন ইতিহাসে লেখে, বই-পুস্তকে লেখে, উনারা অনেক অভাবী ছিলেন, খাওয়া পাননি-পরা পাননি। নাউযুবিল্লাহ! এসব কথা কিন্তু শুদ্ধ নয়। আসলে এটা হচ্ছে, উনারা দান-খয়রাত করে দেয়ার কারণে উনাদের কাছে অনেক সময় উপস্থিত কিছুই থাকতো না। কিন্তু পরবর্তীতে চলে আসতো। যেমন একটা ওয়াকিয়া বর্ণিত রয়েছে, এক দানশীল মহিলা সে শুনেছিল, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত আন নূরুর রবিআহ যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি অনেক দান-খয়রাত করেন, সেও অনেক দান খয়রাত করে। সেটা দেখার জন্য বুঝার জন্য উনার সাক্ষাতে সে মহিলা আসলো, অনেক স্বর্ণ-মণি-মুক্তা নিয়ে আসলো। দিরহাম দীনার নিয়ে আসলো। এসে উনার সাক্ষাতে এসে হাদিয়া তোহফা দিলো। অনেক স্বর্ণ-রৌপ্য মুদ্রা। দেখা গেলো, সেই মহিলার উপস্থিতির মধ্যে তিনি দান-খয়রাত করতে করতে সব শেষ করে দিলেন। সুবহানাল্লাহ! মহিলা তায়াজ্জুব হয়ে গেলো যে, তিনি কত দানশীল। কতটুকু দানশীল। তিনি এত টাকা-পয়সা অল্প সময়ের মধ্যে দান করে দিলেন। সুবহানাল্লাহ
কাজেই বিষয়টা কিন্তু এরকমই। এখন না থাকলে, দান করবেন কোত্থেকে। অনেক দান খয়রাত উনারা করেছেন। কিন্তু বই-পুস্তকগুলিতে বিপরীত বর্ণনা করেছে এদের আক্বীদাতে ত্রুটি থাকার কারণে। আর কাফির-মুশরিকগুলি এরা বলতে চায় যে, মুসলমানদের তেমন কিছু নেই বা কিছুই ছিল না। নাউযুবিল্লাহ! কাট্টা কুফরী আক্বীদা। মুসলমানরা সবসময় গণী। মুসলমানদের সবসময় আছে, কখন নেই? কাফিরদের নেই। কাফিরদের না থাকার কারণে তারা মুসলমানদের থেকে চুরি করার জন্য কোশেশ করে এবং চুরি করেছে। চুরি করেই এরা এদের সম্পদ করেছে। নাউযুবিল্লাহ!
কাজেই সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত আন নূরুর রবিআহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার ফযীলত বুযূর্গী সম্মান বলার অপেক্ষা রাখে না। এটা মুসলমানদের স্মরণ রাখতে হবে এবং উনার মর্যাদা-মর্তবা উপলব্ধি করে উনার ছানা-ছিফাত, ফাযায়িল-ফযীলত আলোচনা করতে হবে। উনার সম্মানার্থে উনার তা’যীমার্থে উনার যে খুছূছিয়ত সেগুলো বর্ণনা করে উনার প্রতি হুসনে যন রাখতে হবে এবং উনার সাথে নিসবত স্থাপন করার জন্য কোশেশ করতে হবে। যাতে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার ওসীলায় আমাদেরকে হাক্বীক্বীভাবে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল উনার মা’রিফত-মুহব্বত, তায়াল্লুক-নিসবত মুবারক আমাদেরকে হাদিয়া করেন, দান করেন সেই দোআ সেই আরজু করতে হবে। কাজেই আমরা সেই দোআ সেই আরজু করবো।
(পবিত্র ওয়াজ শরীফ অডিও রেকর্ড পেতে যোগাযোগ করুন- তাহযীব তামাদ্দুন বিভাগ, রাজারবাগ শরীফ ঢাকা)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সুওয়াল-জাওয়াব:
২০ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আওলাদে রসূল হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনাকে যারা মুহব্বত করবেন তারা ৯টি বিশেষ নিয়ামত মুবারক লাভ করবেন। সুবহানাল্লাহ!
২০ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছামিন আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক
২০ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
কাফেরদের সাথে বন্ধুত্বকারীদের প্রতি আল্লাহ তায়ালা উনার শক্ত সতর্কতা!
২০ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার পরিচিতি ও মর্যাদা মুবারক (২)
২০ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদুয যামান, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (১৭)
২০ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত আমির বিন আবদিল্লাহ বিন আবদিল ক্বায়েস আল-আনবারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৭)
২০ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সুওয়াল-জাওয়াব
১৯ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ পবিত্র হজ্জ ও পবিত্র উমরা সম্পর্কে (২১)
১৯ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার পরিচয় ও মর্যাদা মুবারক (১)
১৯ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
কাফির মুশরিকদের অনুসরণ করা ঈমানদারদের জন্য জায়েয নেই
১৯ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত আমির বিন আবদিল্লাহ বিন আবদিল ক্বায়েস আল-আনবারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৬)
১৯ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)