ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
ইসলামী আক্বীদার গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও আহকাম (৫২)
, ২৩ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০২ ছানী, ১৩৯২ শামসী সন , ৩০ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ১৬ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
ইউরোপ, আমেরিকায়, রাশিয়া, চীন, জাপান, ফ্রান্সে, হিন্দুস্থানে কেউতো ইসলামী হুকুমত জারি করে না। তাহলে মুসলমানদের দেশে এদের মতবাদ কেন জারি করবে? এদের মতবাদ কেন সেখানে চলবে? এদের রসম রেওয়াজ কেন চলবে? তাহলে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার তর্জ-তরীক্বা কোথায় গেলো? ইসলাম উনার হুকুম-আহকাম কোথায় গেলো? মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আদেশ নির্দেশ মুবারক কোথায় গেলো? এটা ফিকির করতে হবে।
একটা বিষয় ফিকির করলে বোঝা যাবে যে, যারা মোঘল স¤্রাট ছিলো তাদের সময় পর্যন্ত সমস্ত মুসলমানরা দাড়ী রেখেছিলো, তারা টুপি পরতো, পাগড়ী পরতো, লম্বা কোর্তা পরতো মোঘল শাসকরাসহ। মোঘল শাসক যারা ছিলো তারাসহ সকলেরই দাড়ী, টুপি, পাগড়ী, লম্বা কোর্তা ছিলো। ব্যতিক্রম ছিলো ফাসিক ফুজ্জাররা।
কিন্তু ব্রিটিশরা যখন আসলো, এদের ১৯০ বছর শাসনকাল; এর মধ্যে দেখা গেছে, এরা মুসলমানদেরকে ইসলাম থেকে সরিয়ে দিলো। সুন্নত থেকে সরিয়ে দিলো। নাউযুবিল্লাহ!
মুসলমানের দাড়ী তারা কেটে ফেললো। মুসলমানের পাগড়িটাও তারা সরিয়ে দিলো। মুসলমানের লম্বা কোর্তাটাও সরিয়ে দিলো। সেটা সরিয়ে কি করলো? ইহুদী নাছারাদের যে লিবাস সুট, কোট, টাই, ক্লীন শেভ ইত্যাদির মাধ্যমে কেতাদুরুস্ত করে দিলো।
মুসলমান কিন্তু একবারও ফিকির করলো না, তাদের অজান্তে যে তারা কাফিরের দিকে এবং কুফরীর দিকে ধাবিত হচ্ছে।
এরা ওয়াসওয়াসা দিয়েছিলো, এরা বুঝিয়েছিলো তোমরা ক্লীন শেভ করলে, সুট কোট টাই পরলে, তোমাদের বড় চাকরী দেয়া হবে, ব্যবসা দেয়া হবে। সেই মোহে মুসলমান সেদিকেই ধাবিত হয়েছিলো। নাউযূবিল্লাহ!
এখনও সেই বদ তাছীর কিন্তু মুসলমানদের মধ্যে রয়েছে। এটা কিন্তু এদের মেকলে এরা একে বলে লর্ড মেক্লে। এই মেকলে কিন্তু বলেছিলো, এরা চলে যাবে তবে এই সমস্ত মুসলমান দেশে এদের অনুসারীরাই হবে এই দেশের জনগণ। অর্থাৎ আক্বীদার দিক থেকে, আমলের দিক থেকে ইহুদী নাছারার গোলাম হবে। নাউযূবিল্লাহ!
এখন আমরাতো সেটাই দেখতে পাচ্ছি। একজন মুসলমান তার চাল চলন, তার আক্বীদা, তার ছূরত সীরত ইহুদী নাছারার গোলাম। নাউযূবিল্লাহ! এটা খুব ফিকির করতে হবে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হাযির-নাযির শান মুবারক (১)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আল্লাহওয়ালী মহিলা উনাদের তিনটি বৈশিষ্ট্য-
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পুরুষের জন্য কমপক্ষে একমুষ্ঠি পরিমাণ দাড়ি রাখা ফরয
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (২)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা (২)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পর্দা পালন করা নারী-পুরুষ সকলের জন্যই শান্তি ও পবিত্রতা হাছিলের কারণ
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সীমালঙ্ঘনকারী কাফির-মুশরিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ মুবারক
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












