ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুসরণ করার গুরুত্ব ও ফযীলত (৩০)
, ২৭ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৫ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ০৩ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ১৯ শ্রাবণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
এজন্যই আর একটা ওয়াকেয়া উল্লেখ করা হয়। হযরত আব্দুল কুদ্দুস গাঙ্গুহী রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি খুব বড় বুযুর্গ মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী ছিলেন, যিনি হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পিতা হযরত শায়েখ আব্দুল আহাদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পীর ছাহেব ছিলেন।
সেই আব্দুল কুদ্দুস গাঙ্গুহী রহমতুল্লাহি আলাইহি মহান আল্লাহ পাক উনার খুব বড় ওলী, বুযূর্গ ছিলেন। উনি একদিন সফরে যাচ্ছিলেন এক পাহাড়ি এলাকা দিয়ে সফর করে। ভ্রমণ করছিলেন এক পাহাড়িয়া এলাকায়। গিয়ে দেখলেন, এক পাহাড়ের গুহার কাছে কিছু লোক জমা হয়ে রয়েছে।
উনি লোকদেরকে জিজ্ঞেস করলেন- হে ব্যক্তিরা! তোমরা যে পাহাড়ের এখানে জমা হয়ে রয়েছ, কি কারণ? লোক নেই, জন-মানবহীন এলাকা। এখানে তোমরা কি করো?
লোকেরা জবাব দিলো যে, হযূর! এই পাহাড়ের এই গুহার ভিতরে একজন লোক থাকে। এক সাধক থাকে। তিনি বৎসরে একদিন বের হন। বের হয়ে মানুষেরা তেল-পানি ইত্যাদি যা নিয়ে আসে এগুলিতে ফুঁ দেন। সেগুলি ফুঁ দিলে, যে যে নিয়তে নিয়ে আসে সেই নিয়তটা তার কামিয়াব হয়, হাছিল হয়। সেজন্য আমরা এসেছি।
কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই সাধক বের হয়ে আসবে। আসলেই আমরা সেগুলি ফুঁ নেওয়াবো, সেই ব্যক্তি ফুঁ দিলে আমরা এগুলি নিয়ে চলে যাব।
উনি বললেন যে, কোথায়? এই পাহাড়ের ভিতর একটা গুহা আছে। গুহার মধ্যে কোন দরজা-জানালা নেই, একটা মাত্র ছিদ্র আছে। হযরত আব্দুল কুদ্দুস গাঙ্গুহী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, তাহলে এই লোকটা বের হয় কি দিয়ে।
তারা বললো যে, হুযূর! এই লোকটা একটি ছিদ্র দিয়ে বের হয়। ছিদ্র দিয়ে আবার প্রবেশ করে। আশ্চর্য ব্যাপার। কোন দরজা নেই, কোন জানালা নেই বের হওয়ার মতো। কিন্তু একটামাত্র ছিদ্র, ছোট্ট একটা ছিদ্র। যেটা দিয়ে বের হয় এবং প্রবেশ করে। লোকটা ছিলো যুগী।
হযরত আব্দুল কুদ্দুস গাঙ্গুহী রহমতুল্লাহি আলাইহি চিন্তা করলেন, লোকটা তো মানুষকে গুমরাহ করছে। উনি করলেন কি, উনি যেহেতু মহান আল্লাহ পাক উনার বড় ওলী, বুযূর্গ ছিলেন, উনি বাতাস হয়ে গেলেন। বাতাস হয়ে উনি ঠিক ঐ ছিদ্র দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলেন।
ভিতরে প্রবেশ করে দেখেন, সে যুগী ভিতরে বসা আছে, সে বের হবে। উনি যখন ভিতরে প্রবেশ করলেন উনাকে দেখে সেই যুগী বললো- আপনি কে, এখানে প্রবেশ করলেন? কার অনুমতিতে আপনি এখানে আসলেন?
হযরত আব্দুল কুদ্দুস গাঙ্গুহী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন যে, দেখ! আমি অমুক আব্দুল কুদ্দুস। আমি একজন মুসলমান, তোমার এখানে আমি এসেছি। তুমি এখানে কি করো?
সে ব্যক্তি বললো যে, আমার এখানে তো কারো আসার অনুমতি নেই। কেন আপনি এখানে প্রবেশ করলেন?
উনি বললেন, প্রবেশ করলাম তোমার বুযুর্গী দেখার জন্য। তুমি ছিদ্র দিয়ে প্রবেশ করো, ছিদ্র দিয়ে বের হও। মানুষ তোমার ভক্ত হচ্ছে। মানুষ গুমরাহ হয়ে যাচ্ছে দিন দিন, সেটা তোমাকে বলার জন্য।
সে বললো যে হ্যাঁ, আমি সাধনা করে এটা হাছিল করেছি। এটা আমার হক্ব, আমার প্রাপ্য।
তখন হযরত আব্দুল কুদ্দুস গাঙ্গুহী রহমতুল্লাহি আলাইহি তাকে বললেন যে, ঠিক আছে, তুমি যে সাধনা করেছ, আচ্ছা তুমি একটা কাজ করতে পার? আমি যদি বলি, আমি যা বলবো তুমি সেটা হতে পারবে? তুমি কি পানি হতে পার?
সে ব্যক্তি বললো, হ্যাঁ আমি পানি হতে পারি। উনি বললেন- তুমি পানি হও তো দেখি।
সে পানি হলো। উনি করলেন কি উনার যে রুমাল ছিল, রুমাল দিয়ে অল্প একটু পানি ভিজায়ে রাখলেন। সে আবার যখন মানুষ হয়ে গেল স্বাভাবিক।
তখন উনি বললেন- যে এক কাজ করো, আমি এখন পানি হব, হলে তুমি তোমার একটা কাপড়ের টুকরা দিয়ে সেখান থেকে কিছু পানি রেখে দিও, সে বললো ঠিক আছে। উনি পানি হলেন, সে কিছু পানি রেখে দিল। উনি আবার স্বাভাবিক মানুষ হয়ে গেলেন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল হাদী আশার মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত কারামত ও কামালত মুবারক
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
এক নজরে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, ত্বহিরাহ, ত্বইয়্যিবাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতু রসূল আর রবি’য়াহ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
এক নজরে ইবনু রসূলিল্লাহ, আশবাহুল খলক্বি বি-রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদুল বাশার, সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, আল মুবাশ্শির, আল আবাররু, আল আজওয়াদ সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুর রবি’ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
এক নজরে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুর রবি’ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত বিছালী শান মুবারক প্রকাশের দিন সূর্য শোক প্রকাশ করেছিল!
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ছবি তোলা শক্ত হারাম, রয়েছে কঠিন শাস্তি
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা সকল সচ্ছলতার মালিক- একটি আকলী দলিল
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)