হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক সম্পর্কে ছহিবু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
, ১৩ মার্চ, ২০২৩ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
পবিত্র সূরা তাহরীম শরীফ নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। যেটা আমি গত সপ্তাহে বলেছিলাম। যেখানে তাহরীম, ইলা’, তা’খীর এই তিনটা বিষয় নিয়ে অনেক ইখতিলাফ। এখন যেহেতু এটার মোটামুটি সমস্যা সমাধান হয়েছে। যেটা আমরা বুঝতে পেরেছি। যে অষ্টম হিজরী যিলহজ্জ শরীফে বিষয়টা শুরু হয়েছে। নবম হিজরী শরীফের পহেলা মুহররমুল হারাম শরীফ একমাস ইলা’। ইলা’ একমাস হয়না। ইলা’ চার মাসের নিচে ইলা’ হয় না। এটা পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে বলে দেয়া হয়েছে। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আলাদা ছিলেন। যেহেতু তিনি,
وَمَا يَنطِقُ عَنِ الْهَوَى- إِنْ هُوَ إِلاَّ وَحْيٌ يُوحَى
তিনিতো ওহী মুবারক ছাড়া কোন কথা মুবারক বলেন না, কোন কাজ মুবারক করেন না, কোন সম্মতি মুবারক প্রকাশ করেন না। কোন আমল মুবারক করেন না। সেহেতু ওহী মুবারকের কারণে তিনি আলাদা ছিলেন। যারা বর্ণনাকারী তারা অনেক বর্ণনা করেছেন। মূল কারণ হচ্ছে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওহী মুবারক উনার কারণে তিনি আলাদা ছিলেন। পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ ২৯ তারিখ ছিলেন। ঠিক চাঁদ উঠার পরে তিনি মহাসম্মানিত হুজরা শরীফে তাশরীফ মুবারক এনেছেন। এটা হচ্ছে পবিত্র সূরা তাহরীম শরীফ উনার পাঁচ খানা পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল হওয়ার পরের ওয়াক্বীয়া। এরপর তাশরীফ মুবারক আনলেন। এখানে এই ইলা’ একমাস শেষ হলো। এরপর তা’খীর শরীফের পবিত্র আয়াত শরীফসমূহ নাযিল হলো। ফায়সালা হলো। এটা হচ্ছে, পবিত্র ছফর শরীফের পহেলা তারিখের কথা। যে তা’খীর শরীফের যে পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করা হলো। এরপর পবিত্র সূরা তাহরীম শরীফের বাকি পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করা হলো। মুসলমান কাফির সবাইকে সতর্ক করার জন্য এবং আরো কতগুলি বিষয় মুসলমানদেরকে জানানোর জন্য। সেই সাতখানা পবিত্র আয়াত শরীফের প্রথম পাঁচ খানা আর দু’ খানা একই রুকু শরীফে। বলা হচ্ছে যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ছয় নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا قُوا أَنفُسَكُمْ وَأَهْلِيكُمْ نَارًا وَقُودُهَا النَّاسُ وَالْحِجَارَةُ
প্রথমেই এই পবিত্র আয়াত শরীফ বলা হচ্ছে, ৬ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ। মানুষ বিষয়টা ফিকির করে না। কেন হঠাৎ এটা বলা হলো।
সংকলনে-সাইয়্যিদ শাবীব আহমদ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৩)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ-মহিলা সবার জন্য ফরজ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত মুবারক করা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীর জন্য ফরযে আইন
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে ছিরাতুল মুস্তাক্বীম উনার ছহীহ তাফসীর- ০১
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












