ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
দুনিয়ার বুরায়ী বা খারাবী (৯)
, ১৬ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২০ ছামিন, ১৩৯২ শামসী সন , ১৭ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রি:, ০৩ মাঘ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
মূলতঃ যে দুনিয়াকে মুহব্বত করবে, তার ইহকাল যেমন ক্ষতি হবে, সাথে সাথে তার পরকালও ক্ষতি হবে। এত ক্ষতি হবে যে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এজন্য মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন-
مَنْ أَحَبَّ دُنْيَاهُ أَضَرَّ بِآخِرَتِهِ، وَمَنْ أَحَبَّ آخِرَتَهُ أَضَرَّ بِدُنْيَاهُ فَآثِرُوا مَا يَبْقَى عَلَى مَا يَفْنَى
অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন যে দেখ-
مَنْ أَحَبَّ دُنْيَاهُ أَضَرَّ بِآخِرَتِهِ،
যে দুনিয়াকে মুহব্বত করলো, সে তার পরকালকে ক্ষতি করলো।
وَمَنْ أَحَبَّ آخِرَتَهُ أَضَرَّ بِدُنْيَاهُ
আর যে পরকালকে মুহব্বত করলো, সে দুনিয়ায় কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
فَآثِرُوا مَا يَبْقَى عَلَى مَا يَفْنَى
মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলে দিয়েছেন। কাজেই তোমরা যেটা স্থায়ী, সেটাকে অস্থায়ীর উপর প্রাধান্য দাও। অর্থাৎ যেটা স্থায়ী, সেটাকে অস্থায়ীর উপর প্রাধান্য দাও। তোমরা দ্বীনকে দুনিয়ার উপর অর্থাৎ পরকালকে ইহকালের উপর প্রাধান্য দাও। তাহলে তোমাদের জন্য রয়েছে, ইহকাল এবং পরকালের কামিয়াবী।
এ প্রসঙ্গে বলা হয়- হযরত হারাম ইবনে হাব্বান রহমতুল্লাহি আলাইহি একজন তাবেয়ী ছিলেন, একজন বিশিষ্ট বুযুর্গ, মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী, একজন বিশিষ্ট বুযুর্গ মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী ছিলেন। তাবেয়ী ছিলেন উনি। উনি বর্ণনা করেছেন যে, হযরত ওয়ায়েস আল ক্বারনী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নাম শুনেছেন। উনার মনে একটা আরজী ছিল, হযরত ওয়ায়েস আল ক্বারনী খইরুত তাবিয়ীন, যিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের পরে শ্রেষ্ঠ মানুষ।
হযরত ওয়ায়েস আল ক্বারনী রহমতুল্লাহি আলাইহি। হযরত হারাম ইবনে হাব্বান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন যে, আমার মনে ইচ্ছা হলো আমি উনার সাক্ষাৎ লাভ করি। কিন্তু উনি যেহেতু জঙ্গলে জঙ্গলে ছিলেন, কি করে সাক্ষাৎ হবে?
আমি একবার মানুষ থেকে জিজ্ঞেস করে উনি যেই জঙ্গলে ছিলেন, সেই জঙ্গলে গেলাম। উনার সাক্ষাতের আশায় ঘুরতে লাগলাম। হঠাৎ দেখলাম একজন লোক এক জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসলেন। আমি উনাকে চিনি না, জানিনা। কখনো আমার সাথে সাক্ষাৎ হয়নি। এসে উনি সরাসরি বললেন, হে হারাম ইবনে হাব্বান! আপনি আমাকে তালাশ করতেছেন কেন? কি কারণ? আপনি আমাকে তালাশ করতেছেন কি কারণ?
হযরত হারাম ইবনে হাব্বান রহমতুল্লাহি আলাইহি তাজ্জব হয়ে গেলেন। উনি বললেন, হুযূর! বেয়াদবী মাফ করবেন, আপনি কি ওয়ায়েস আল ক্বারনী রহমতুল্লাহি আলাইহি? উনি বললেন, হ্যাঁ। মানুষ আমাকে সেটা বলে থাকে। তখন আমি জিজ্ঞাসা করলাম হুযূর! আপনি আমার নাম কি করে জানলেন? কি করে আমার পিতার নাম জানলেন?
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
খালি চোখে চাঁদ দেখে মাস শুরু করা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার নির্দেশ মুবারক
২৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পূর্ব গণনাকৃত বর্ষপঞ্জী দিয়ে মাস শুরু করা শরীয়তসম্মত নয়
২৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে গরুর গোস্ত শি‘আরুল ইসলাম (৬)
২৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
২৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, হিন্দুদের পূজায় গিয়েছে, তাদেরকে পূজা করতে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে, সমর্থন করেছে, সম্মতি প্রকাশ করেছে, তাদের সাথে মুছাফাহা ও মুয়ানাক্বা করেছে, তাদেরকে সম্মান করেছে, তা’যীম করেছে, তাদের সম্পর্কে সম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার করেছে এবং সম্মানসূচক শব্দ দ্বারা সম্বোধন করেছে, বাহ বাহ দিয়েছে এবং বেশি বেশি মূর্তি তৈরী করতে বলেছে এবং বেশি বেশি পূঁজা করতে বলেছে তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হয়েছে (১)
২৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ছহিবে নিসাব প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য পবিত্র কুরবানী দেয়া ওয়াজিব (১)
২৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
কাফিরদের রচিত গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার মুসলমানদের জন্য নয় (২)
২৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র মীলাদ শরীফ বিষয়ে প্রথম দিকে যারা কিতাব রচনা করেছেন উনাদের মধ্যে অন্যতম হলেন হাফিয হযরত আবুল খত্ত্বাব ইবনে দাহিয়্যাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি। যিনি ছিলেন পবিত্র হাদীছ শাস্ত্রের অন্যতম গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব
২৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)