ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
দুনিয়ার বুরায়ী বা খারাবী (১৩)
, ২০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
মানুষ মনে করে থাকে, কাফিরদের কেন এত বিলাসিতা দেয়া হলো, অনেক সম্পত্তি-সম্পদ কেন দেয়া হলো, এত মালিক কেন করে দেয়া হলো? তার কি কারণ রয়েছে? হাক্বীক্বত তাদের তো
الدُّنْيَا سِجْنُ الْمُؤْمِنِ وَجَنَّةُ الْكَافِرِ
যেহেতু দুনিয়াই তাদের বেহেস্ত, বালাখানা, এরপরে তারা কঠিন শাস্তিতে গ্রেফতার হয়ে যাবে। সেজন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে দুনিয়ায় কিছু বিলাসিতা দিয়েছেন। কিন্তু ঈমানদার যারা, তারা তো কাফির হয়ে যেতে পারে, সেই আশঙ্কায় মহান আল্লাহ পাক তিনি বেশী সম্পদ দেননি, তবে কিছু দিয়েছেন। হাক্বীক্বত মুসলমানদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি কম দেননি, অনেক দিয়েছেন। তবে কাফিরদেরকে বেশী দেয়ার কারণ রয়েছে। যেহেতু মৃত্যুর পরে, তারা সরাসরি জাহান্নামে চলে যাবে। আর আমরা জান্নাতে চলে যাব। আমাদের সুখ-শান্তির জন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি বেহেশ্ত তৈরী করে রেখেছেন, যেখানে আমরা অনন্তকাল ধরে থাকব।
এ প্রসঙ্গে একটা ওয়াকিয়া উল্লেখ করা হয়- বনি ইসরাইল আমলে একটা ঘটনা ঘটেছে। এক এলাকার মধ্যে একজন দ্বীনদার-পরহেযগার আল্লাহওয়ালা লোক থাকতেন। তার প্রতিবেশী ছিল একজন বিধর্মী। তার প্রতিবেশী ছিল একজন বিধর্মী। যে ছিল কাট্টা কাফির। যে মহান আল্লাহ পাক উনার মতের খিলাফ, মহান আল্লাহ পাক উনার নবী আলাইহিস সালাম উনার পথের খিলাফ চলত সবসময়। বেশরা’-বিদয়াত, কুফরী-শেরেকী করে বেড়াত। তার অনেক সম্পদ ছিল। আর যিনি দ্বীনদার-পরহেযগার আল্লাহওয়ালা ছিলেন, উনার জরুরত আন্দাজ অর্থাৎ যতটুকু জরুরত ছিল, ঠিক ততটুকু উনার সম্পদ ছিল। যা দ্বারা উনি মোটামুটি দিন অতিবাহিত করে ইন্তেকাল বরণ করেন। আর যে কাফির ছিল, বিধর্মী ছিল, বেদ্বীন ছিল, তার অঢেল সম্পদ ছিল। সে অনেক রাস্তায়, অনেকভাবে পয়সা খরচ করেছে। ছুরতান দুনিয়াতে কিছু নেক কাজ অর্থাৎ কিছু রাস্তাঘাটও সে নির্মাণ করেছে, পানির ব্যবস্থাও সে করেছে এবং গরীব মিসকিনের জন্য খাদ্যেরও ব্যবস্থা করেছে।
দেখা গেল যখন সেই দ্বীনদার-পরহেযগার, আল্লাহওয়ালা লোকটার ইন্তেকালের সময় হয়ে গেল, সে খাওয়ার জন্য পানি পানি করে চিৎকার করলো। কিন্তু তার নিকটে কেউ না থাকার কারণে এবং পানিও নিকটে না থাকার কারণে সেই দ্বীনদার-পরহেযগার, আল্লাহওয়ালা লোকটাকে এক ঢোক পানিও দেয়া গেল না। পানি পানি করে সেই দ্বীনদার-পরহেযগার, আল্লাহওয়ালা লোকটা ইন্তেকাল করলেন। পানি পেলেন না।
আর এদিকে তার কিছুদিন পর সেই বেদ্বীন লোকটা, বিধর্মী লোকটার ইন্তেকালের সময় হয়ে গেল, সে অসুস্থ হয়ে গেল। তার অনেক ছেলে ছিল, অনেক সন্তান ছিল। তারা বড় বড় ডাক্তার এনে দেখাল। শেষ পর্যন্ত ডাক্তার তার ছেলেদেরকে বললো যে দেখ, তোমাদের পিতা সে বাঁচবেনা। তার মৃত্যু নিকটবর্তী। সে যা চায় সেটা তাকে খাওয়ায়ে দাও। তার মনের বাসনাটা পুরা করে দাও, অতিশীঘ্রই সে মারা যাবে। তখন তার ছেলেরা সেই কাফির লোকটাকে জিজ্ঞেস করলো যে, তার কি আরজু রয়েছে। সে বললো- তার মনের শেষ আরজু হলো- সে যদি বড় মাছের কলিজা ভাজি খেতে পারতো, তাহলে তার আরজু পুরা হতো। বড় মাছের কলিজা। সেই কাফির লোকটার নিজস্বই বড় বড় ৮/১০টা পুকুর ছিল, যাতে সে মাছ পালতো। অনেক বড় বড় মাছ ছিল সেখানে। তার ছেলে-পেলেরা কি করলো? দূর থেকে জেলে এনে মাছ ধরার কাজে লাগিয়ে দিল। একটা একটা করে মাছ ধরে এবং সেটা মাপ দিয়ে বড়টা রেখে ছোটটা ছেড়ে দেয়। এরকম করতে করতে সাতদিন অতিবাহিত হলো। সাতদিন পরে এই ৮/১০টা পুকুর থেকে সবচেয়ে বড় যে মাছ, সেটা ধরা পড়ল। সেটা ধরে এনে কেটে তার কলিজা ভেজে সেই কাফির লোকটাকে খাওয়ানো হলো। খাওয়ার পর তার মৃত্যু হলো, এরপূর্বে তার মৃত্যু হলো না।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পবিত্র ছহীহ হাদীছ শরীফ দ্বারাই শবে বরাত প্রমাণিত (১)
০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র কুরআন শরীফে বর্ণিত لَهْوَ الْحَدِيثِ ‘লাহওয়াল হাদীছ’ হচ্ছে- “গান-বাজনা” যা সুস্পষ্টরূপে হারাম
০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নেক সঙ্গ মানুষকে আল্লাহওয়ালা করে দেয়, বদ সঙ্গ মানুষকে দুনিয়াদার বানিয়ে দেয়
০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই সাক্ষ্য দিচ্ছেন- মুসলমানদের চিরশত্রু হচ্ছে, ইহুদী-নাছারা, কাফির-মুশরিক তথা সমস্ত বেদ্বীন-বদদ্বীনরা; তারা মুসলমানদের প্রকাশ্যে, গোপনে ক্ষতিসাধনে লিপ্ত
০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করতে হবে, শয়তানের পথ সম্পূর্ণভাবে বর্জন করতে হবে
০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
গণতন্ত্রে পাচ বৎসরের জন্য ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। ইসলামী শব্দ ব্যবহারকারীরা সত্যিকারে ইসলামী আইন জারী করলে পাঁচ বৎসর পর ক্ষমতায় আসা অসম্ভব। সুতরাং গণতন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় গিয়ে কুরআন শরীফের আইন বা ইসলাম প্রতিষ্ঠার কথা বলা একটা চরম মিথ্যা, ধোঁকা ও প্রতারণা (পর্ব ২)
০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র কুরআন শরীফে বর্ণিত ‘লাইলাতুম মুবারকা’ই হচ্ছে পবিত্র শবে বরাত (৪)
০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ মহিলা সবার জন্য ফরজ
০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)