ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
ইলিম ও আলিমের ফযীলত (২১)
, ২১ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২১ হাদি আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ২০ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রি:, ৭ বৈশাখ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা

কিন্তু তার বিপরীত দিকে একজন আবেদ সে ইবাদত করতেছে। আমার ইচ্ছে হচ্ছে- আমি আবেদকে ওয়াসওয়াসা দিই। কিন্তু ঐ আলিম, যিনি ফক্বীহ, আল্লাওয়ালা, উনি শুয়ে রয়েছেন। উনার রোবের কারণে আমি প্রবেশ করতে ভয় পাচ্ছি যে, উনি আমাকে আবার ধরে ফেলেন কি-না? সেজন্য আমি ওয়াসওয়াসা দিতে ভয় পাচ্ছি সেই লোককে।
فَقِيهٌ وَاحِدٌ أَشَدُّ عَلَى الشَّيْطَانِ مِنْ أَلْفِ عَابِدٍ.
একজন ফক্বীহ শয়তানের কাছে এক হাজার আবেদ থেকে ভয়ংকর। যে শয়তান সবসময় আবেদকে ওয়াসওয়াসা দিয়ে থাকে। কিন্তু একজন ফক্বীহ বা আল্লাওয়ালা উনাকে সে ওয়াসওয়াসা দিতে অনেক ফিকির করে থাকে, চিন্তা করে থাকে। কারণ সে ধরা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ষোলআনাই।
কাজেই সে একজন ফক্বীহ বা আল্লাওয়ালা উনাকে ভয় করে থাকে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এজন্যই বলেছেন যে, “যাকে সমঝ দেয়া হয়েছে, তাকে সম্পূর্ণ কল্যাণ, সম্পূর্ণ ভালাই তাকে দেয়া হয়েছে। ভালাই তাকে দেয়া হয়েছে। ”
এখন চিন্তা-ফিকিরের বিষয় যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইলিম দিয়েছেন, সমঝ দিয়েছেন সেটা বলার অপেক্ষাই রাখে না।
এজন্য নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফে উল্লেখ করেছেন যে, তোমরা সবসময় দোয়া করো-
رَبِّ زِدْنِي عِلْمًا
যে- মহান আল্লাহ পাক! আমাকে ইলিম বৃদ্ধি করে দেন। ইলিম বৃদ্ধি করে দেন আল্লাহ পাক! সব সময় তোমরা সেই দোয়া করো। মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে আরজু করো। মহান আল্লাহ পাক তিনি শিক্ষা দিয়ে দিয়েছেন।
কাজেই, আমাদের সেটাই কোশেশ করতে হবে। যাতে আমরা হক মত, হক পথে অর্থাৎ খালিছভাবে মহান আল্লাহ পাক তিনি যেমন বলেছেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেমন বলেছেন, ঠিক তদ্রুপই ইলিম অর্জন করে, হয় আলিম, নয় তলিবে ইলিম অথবা শ্রোতা অথবা মহব্বতকারী যেন মহান আল্লাহ পাক তিনি করে দেন।
অথবা মহান আল্লাহ পাক তিনি যদি ইচ্ছা করেন চারটাই একজনকেই করে দিতে পারেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন আমাদেরকে সেই জাযা-খায়ের দিয়ে দেন। সেই জাযা-খায়ের দিয়ে দেন।
ইলিম এবং আলিমের যে ফাযায়েল-ফযীলত রয়েছে, সেটা যেন মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে দিয়ে দেন। আমরা সেই দোয়া সেই আরজু মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে করি। এই তৌফিক যেন মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত মুসলমানদেরকে কম-বেশী যোগ্যতা অনুযায়ী দিয়ে দেন।
আর প্রকৃতপক্ষে ইলিমের হাক্বীক্বত অনুধাবন করার জন্য, বুঝার জন্য যেন মহান আল্লাহ পাক তিনি তৌফিক দান করেন। কারণ একটা লোক হাজার কিতাব পড়ে থাকে, তার যদি সমঝ না থাকে, তাহলে কিতাব পড়ে সে কোন ফায়দা হাছিল করতে পারবে না।
যেটা দেখা গিয়েছে, অনেকে কিতাব পড়েছে কিন্তু বুঝতে পারেনি। কুরআন শরীফ পড়েছে, বুঝতে পারেনি। যার জন্য কুরআন শরীফ পড়ে মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে গেছে সে হাক্বীক্বত বুঝতে না পারার কারণে।
কাজেই সমঝ জিনিসটা সবচেয়ে বড় জিনিস। যাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি সমঝ দিয়ে দেন, তাকে সব দিয়েছেন। যাকে সমঝ দেয়া হয়নি, তাকে কিছুই দেয়া হয়নি।
কাজেই মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন আমাদেরকে ইলিমের হাক্বীক্বত অর্থাৎ সমঝ যেন আমাদেরকে দিয়ে দেন। আমরা এই দোয়া করবো।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত ক্বদমবুছী মুবারক খাছ সুন্নাত মুবারক
১১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ মহিলা সবার জন্য ফরজ
১১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, হিন্দুদের পূজায় গিয়েছে, তাদেরকে পূজা করতে সাহায্য-সহযোগীতা করেছে, সমর্থন করেছে, সম্মতি প্রকাশ করেছে, তাদের সাথে মুছাফাহা ও মুয়ানাক্বা করেছে, তাদেরকে সম্মান করেছে, তা’যীম করেছে, তাদের সম্পর্কে সম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার করেছে এবং সম্মানসূচক শব্দ দ্বারা সম্বোধন করেছে, বাহ বাহ দিয়েছে এবং বেশী বেশী মূর্তি তৈরী করতে বলেছে এবং বেশী বেশী পূঁজা করতে বলেছে তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হয়েছে (৯)
১১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
১১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাযিনু কামালিল্লাহ, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের বেমেছাল মুহব্বত মুবারক
১১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
উলামায়ে সূ’ ধর্ম ব্যবসায়ীদের পরিচিতি ও হাক্বীক্বত (৭)
১০ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১০ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১০ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
০৯ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৯ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, হিন্দুদের পূজায় গিয়েছে, তাদেরকে পূজা করতে সাহায্য-সহযোগীতা করেছে, সমর্থন করেছে, সম্মতি প্রকাশ করেছে, তাদের সাথে মুছাফাহা ও মুয়ানাক্বা করেছে, তাদেরকে সম্মান করেছে, তা’যীম করেছে, তাদের সম্পর্কে সম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার করেছে এবং সম্মানসূচক শব্দ দ্বারা সম্বোধন করেছে, বাহ বাহ দিয়েছে এবং বেশী বেশী মূর্তি তৈরী করতে বলেছে এবং বেশী বেশী পূজা করতে বলেছে তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হয়েছে (৮)
০৯ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)