ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
ইলিম ও আলিমের ফযীলত (২৩)
, ২৩ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৩ হাদি আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ২২ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রি:, ০৯ বৈশাখ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
উল্লেখ্য, যারা উলামায়ে কিরাম, উনারা হচ্ছেন- ওয়ারাছাতুল আম্বিয়া বা নবীগণের উত্তরাধিকারী। যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে-
اَلْعُلَمَاءُ وَرَثَةُ الأَنْبِيَاءِ
অর্থাৎ আলেমগণ হচ্ছেন- নবী আলাইহিমুস সালামগণের ওয়ারিছ।
তাই হাদীছ শরীফের অসংখ্য স্থানে আলেমগণকে তা’যীম-তাকরিম বা সম্মান প্রদর্শন করার নির্দেশ এসেছে। যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
أَكْرِمُوا الْعُلَماءَ
যারা আলিম রয়েছেন, উনাদের সম্মান করো।
فَإِنّهُمْ وَرَثَةُ الْأَنْبِيَاءِ
কেননা উনারা হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের ওয়ারিছ। সুতরাং
فَمَنْ أكْرَمَهُمْ
যে আলিমদেরকে সম্মান করলো,
فَقَدْ أَكْرَمَ اللهَ وَرَسُولَهُ
সে ব্যক্তি মূলতঃ মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মান করলো। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই যারা জানবে না, তারা জিজ্ঞাসা করে জেনে নিবে, তাদের এক তব্কা। আর যারা জেনেছেন, উনারা দলীল-আদিল্লাহ্র মাধ্যমে সেটা জানিয়ে দিবেন, এটা হলো দ্বিতীয় তব্কা অর্থাৎ আলিম এবং মুতাআল্লিম, আলিম এবং ত্বলিবে ইলিম, যারা শিক্ষা করেছেন এবং যারা শিক্ষা করছেন। এ দু’টোর মধ্যে অবশ্যই প্রত্যেককে অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে। তাহলে তার জন্য নাযাতের পথ রয়েছে। অন্যথায় তার জন্য নাযাত পাওয়া কঠিন হবে।
কেননা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اَلْعِلْمُ اِمَامُ الْعَمَلِ
নিশ্চয়ই ইলিম হচ্ছে আমলের ইমাম। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি যদি কোন মাসয়ালা বা কোন বিষয়ে না জানে, তাহলে তার পক্ষে সে বিষয়ে আমল করা কঠিন, দূরূহ এবং অসম্ভব। বরং উক্ত বিষয়ে সে ভুল করবে।
কাজেই প্রত্যেক ব্যক্তির জন্যই প্রথমে ইলিম অর্জন করতে হবে। তারপর তাকে আমল করতে হবে। যে ইলিমের তাকিদ মহান আল্লাহ পাক তিনি দিয়েছেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দিয়েছেন। কাজেই আলিম হতে হবে অথবা ত্বলিবে ইলিম অর্থাৎ ইলিম তলবকারী হতে হবে। দু’টার একটা অবশ্যই প্রত্যেককে হতে হবে। সেটাই মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলে দিয়েছেন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৩)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ-মহিলা সবার জন্য ফরজ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত মুবারক করা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীর জন্য ফরযে আইন
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে ছিরাতুল মুস্তাক্বীম উনার ছহীহ তাফসীর- ০১
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












