ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
ইলিম ও আলিমের ফযীলত (২৫)
, ২৫ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৫ হাদি আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ২৪ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রি:, ১১ বৈশাখ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা

যেমন এ প্রসঙ্গে হযরত আবূ দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন-
سُئِلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا حَدُّ الْعِلْمِ الَّذِي إِذَا بَلَغَهُ الرَّجُلُ كَانَ فَقِيهًا؟
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! কোন পরিমাণ, কতটুকু পরিমাণ ইলিম অর্জন করলে একটা লোক ফক্বীহ হতে পারে? একটা লোক ফক্বীহ হতে পারে, কি পরিমাণ ইলিম অর্জন করলে?
فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ حَفِظَ عَلَى أُمَّتِي أَرْبَعِينَ حَدِيثًا فِي أَمْرِ دِينِهَا، بَعَثَهُ اللهُ فَقِيهًا، وَكُنْتُ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ شَافِعًا وَشَهِيدًا
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, (যে দেখ, একটা লোক জানতে চেয়েছে কি পরিমাণ ইলিম অর্জন করলে ফক্বীহ হতে পারে?) সেটা হচ্ছে-
مَنْ حَفِظَ عَلَى أُمَّتِي أَرْبَعِينَ حَدِيثًا فِي أَمْرِ دِينِهَا، بَعَثَهُ اللهُ فَقِيهًا،
অর্থাৎ যে বক্তি আমার উম্মতের ইছলাহ্র জন্য, তার নিজের ইছলাহ্র জন্য মাত্র চল্লিশখানা হাদীছ শরীফ, দ্বীনি বিষয়ে মাত্র চল্লিশখানা হাদীছ শরীফ আয়ত্ব করে এবং সে অনুযায়ী সে নিজে আমল করে, মানুষকে আমল করার জন্য বলে, তাহলে
بَعَثَهُ اللهُ فَقِيهًا،
মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে পরকালে হাশরের ময়দানে ফক্বীহ হিসেবে তুলবেন।
وَكُنْتُ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ شَافِعًا وَشَهِيدًا
আর আমি ক্বিয়ামতের দিন তার জন্য সুপারিশকারী ও সাক্ষীদাতা হবো। সুবহানাল্লাহ!
সুতরাং, মাত্র চল্লিশখানা হাদীছ শরীফ যদি কেউ আয়ত্ব করতে পারে, তাকে পরকালে ফক্বীহ হিসেবে তোলা হবে। আর যমীনে কে কি করলো, কতটুকু সে আয়ত্ব করলো বা কতটুকু তার নাম-ধাম, প্রচার-প্রসার হলো, সেটা লক্ষণীয় নয়। বরং লক্ষণীয় হচ্ছে- কোন ব্যক্তি যদি মাত্র চল্লিশখানা হাদীছ শরীফ আয়ত্ব করে নিজে আমল করে এবং মানুষকে আমল করার জন্য বলে, তাহলে সে ব্যক্তি হাশরের ময়দানে ফক্বীহ হিসেবে অর্থাৎ আলিম হিসেবে উঠবে।
আলিমদের সঙ্গে তার হাশর-নশর হবে। সুবহানাল্লাহ! যে, কতটুকু সুবিধা দিয়েছেন মহান আল্লাহ পাক তিনি। আর আলিমদের যত ফযীলত, যত ফাযায়েল রয়েছে, সম্পূর্ণ তার উপরে আরোপিত হবে। অর্থাৎ সে তার সম্পূর্ণ সুযোগ-সুবিধাগুলো পাবে। সুবহানাল্লাহ! যেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
কাজেই মাত্র চল্লিশখানা হাদীছ শরীফ যদি কেউ আয়ত্ত্ব করে নেয়, তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি সে ফযীলতটা দিয়ে দিবেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বয়ং তার জন্য সুপারিশ করবেন। আর মূলতঃ যে ব্যক্তি হাক্বীক্বী আলিম, তার জন্যই সেই ফযীলতটা রয়েছে।
মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বর্ণনা করেন-
نِعْمَ الرَّجُلُ الْفَقِيهُ فِي الدِّينِ
অর্থাৎ ওই ব্যক্তি উত্তম, ওই ফক্বীহ্ উত্তম, ওই ব্যক্তি শ্রেষ্ঠ, উত্তম, আফযল, যে সম্মানিত দ্বীন উনার ইলিম অর্জন করেছে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
প্রসঙ্গ: পবিত্র হজ্জ পালনের আহকাম (২)
১৫ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৫ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৫ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদা-হুসনে যন পোষণ করা ঈমান
১৫ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে উত্তম লক্বব মুবারকে স্মরণ করতে হবে
১৫ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে অবমাননাকারীদের যুগে যুগে ভয়াবহ পরিণতি (২)
১৫ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১৪ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৪ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, হিন্দুদের পূজায় গিয়েছে, তাদেরকে পূজা করতে সাহায্য-সহযোগীতা করেছে, সমর্থন করেছে, সম্মতি প্রকাশ করেছে, তাদের সাথে মুছাফাহা ও মুয়ানাক্বা করেছে, তাদেরকে সম্মান করেছে, তা’যীম করেছে, তাদের সম্পর্কে সম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার করেছে এবং সম্মানসূচক শব্দ দ্বারা সম্বোধন করেছে, বাহ বাহ দিয়েছে এবং বেশী বেশী মূর্তি তৈরী করতে বলেছে এবং বেশী বেশী পূঁজা করতে বলেছে তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হয়েছে (১১)
১৪ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
১৪ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সারাবিশ্বে এক দিনে ঈদ পালন সম্ভব কি? একটি দলীলভিত্তিক বিশ্লেষণ.... (১২)
১৪ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বখিলতা ছেড়ে দিয়ে যার যার সাধ্য-সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ সাখাওয়াতি গুণ অর্জন করা অপরিহার্য কর্তব্য
১৪ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)