ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
ইলিম ও আলিমের ফযীলত (২৭)
, ২৭ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৭ হাদি আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ২৬ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রি:, ১৩ বৈশাখ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
সেই মুল্লা যিউন রহমতুল্লাহি আলাইহি, তিনি ছিলেন বাদশাহ আলমগীরের ওস্তাদ, শাহ্জাহান তখন বাদশাহ। যে বাদশাহ শাহ্জাহান ছিলেন, হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুরীদ ও বাদশাহ জাহাঙ্গীরের ছেলে।
বাদশাহ শাহ্জাহান ছোটবেলা থেকে হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ছোহ্বত ইখতিয়ার করেছিলেন। ইলমে ফিক্বাহ্, ইলমে তাছাউফ যথেষ্ট অর্জন করেছেন এবং হক্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য উনার পিতা বাদশাহ জাহাঙ্গীরের সাথে যুদ্ধ-জিহাদও করেছেন।
একবার যুদ্ধ করছিলেন, তখন যুদ্ধের অবস্থা বাদশাহ শাহ্জাহানের অনুকূলে ছিল। বাদশাহ জাহাঙ্গীর পরাস্ত হচ্ছিল। কিন্তু পরক্ষণে দেখা গেল, বাদশাহ জাহাঙ্গীরই জয়লাভ করার দিকে, উনার সৈন্য জিতে যাচ্ছে।
তখন বাদশাহ শাহ্জাহান এসে আরয করলেন, আয় মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী, হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি! আমি তো পূর্ব থেকেই আপনার খাদিম। আমি যুদ্ধ করার মূল কারণ হচ্ছে, হাক্বীক্বী ইসলামী আইন-কানুনগুলো জারী করা। আপনি যদি আমার প্রতি ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ্ নিক্ষেপ করতেন, তাহলে অবশ্যই আমি কামিয়াবী হাছিল করতে পারতাম।
হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন, হে শাহ্জাহান, তুমি অস্থির হয়ো না, পেরেশান হয়ো না। তাছাউফের সম্পূর্ণ দায়িত্ব আমার পরে আমার ছেলে হযরত ইমাম মা’ছূম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে গিয়ে পৌঁছবে অর্থাৎ জিম্মাদারীতে যাবে। আর জাহেরান যে রাজত্ব বা সালতানাত রয়েছে, তার জিম্মাদারী তোমার পিতা জাহাঙ্গীরের পরে তোমার উপরেই গিয়ে পড়বে। তুমি অস্থির হয়ো না, ধৈর্য্যধারণ করো, মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমার কাছে বাদশাহী পৌঁছাবেন।
সেই বাদশাহ শাহ্জাহান বৃদ্ধ বয়সে অসুস্থ, তার শরীরে খুজলী-পাঁচড়ার মতো চুলকানী হয়েছে। তখন সে তার দরবারের যে মুফতী ছাহেব ছিলেন। যেহেতু সে সময়ে প্রত্যেক বাদশাহ্র দরবারেই একজন মুফতী ছাহেব থাকতেন, তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো- হে মুফতী ছাহেব, আমার শরীর তো অসুস্থ, কাজেই এখন আমার জন্য রেশমী কাপড় পরিধান করা জায়েয হবে কি?
মূলতঃ চুলকানি জাতীয় কোন রোগ হলে, রেশমী কাপড় যদি কেউ পরিধান করে, তাহলে তার শরীরের সুস্থতা বৃদ্ধি পায়। যেমন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যামানায় হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু ও আরো কয়েকজন ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইজাযত মুবারক দিয়েছিলেন, উনাদের অতিরিক্ত চুলকানী হওয়ার কারণে রেশমী কাপড় পরিধান করার জন্য। এতে সুস্থতা লাভ হয়।
বাদশাহ শাহ্জাহানের কিছু অসুস্থতা দেখা দিয়েছিল। তাই মুফতী ছাহেবের কাছে বলেছিল যে, মুফতী ছাহেব, আমার জন্য কি রেশমী কাপড় পরিধান করা জায়েয হবে?
মুফতী ছাহেব বললো যে- হ্যাঁ, আপনার জন্য জায়েয রয়েছে। আপনি ব্যবহার করতে পারেন।
তবে বাদশাহ শাহ্জাহান যেমন ছূফী ছিলেন, তেমন ফক্বীহ্ বা সমঝদারও ছিলেন। কেননা তিনি হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ছোহ্বত লাভ করেছেন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৩)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ-মহিলা সবার জন্য ফরজ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত মুবারক করা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীর জন্য ফরযে আইন
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে ছিরাতুল মুস্তাক্বীম উনার ছহীহ তাফসীর- ০১
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












