ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
ইলিম ও আলিমের ফযীলত (৩০)
, ৩০ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ৩০ হাদি আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ২৯ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রি:, ১৬ বৈশাখ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা

কাজেই প্রত্যেককেই খেয়াল রাখতে হবে যে, মূলতঃ আলিম এবং ত্বলিবে ইলিম যারা রয়েছে। তাদের প্রত্যেকের জন্যই ফযীলত রয়েছে। যে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন-
مَنْ خَرَجَ فِي طَلَبِ الْعِلْمِ فَهُوَ فِي سَبِيلِ اللهِ حَتَّى يَرْجِعَ
যে ইলিম ত্বলব করার জন্য বের হয়ে গেল সে ফিরে আসা পর্যন্ত সে ছোট হোক সে বড় হোক, সে ছোট হোক বা বড় হোক সে ফিরে আসা পর্যন্ত সে মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় থাকলো। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই সেটা প্রত্যেককেই খেয়াল রাখতে হবে। এজন্যই মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তা বলে দিয়েছেন-
اُطْلُبُوا الْعِلْمَ مِنَ الْمَهْدِ اِلَى اللَّحْدِ
ইলিম তলব করো, হাছিল করো, অর্জন করো, দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত। দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত। অর্থাৎ সারা যিন্দেগী কোশেশ করতে থাকো ইলিম উনার জন্য। ইলিম উনার শেষ নেই, কোশেশ করতেই থাকতে হবে।
যেমন- অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন-
اُطْلُبُوا الْعِلْمَ وَلَوْ كَانَ بِالصِّيْنِ
ইলিম অর্জন করো, তলব করো, যদিও সুদূর চীন দেশে যেতে হয়। এখানে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন চীন দেশের কথা। চীন দেশে কেন যেতে হবে? চীন দেশে তো কোন ইলিম নেই। তখন ছিলো না।
এটাতে অনেক ব্যাখ্যা করেছেন মুহাদ্দিছীনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম। তবে মূল যে ব্যাখ্যা সেটা হচ্ছে- ইলিম অর্জন করার জন্য যতো কষ্টই শিকার করতে হোক না কেন? যত তকলীফ শিকার করতে হোক না কেন, তথাপিও ইলিমকে অর্জন করতেই হবে। আরবদেশ থেকে চীন দেশ অনেক দূরে ছিলো। যাতায়াতের রাস্তা তেমন সুবিধাজনক ছিলো না। খুব কঠিন ছিলো। তারপরেও মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন। এত দূরে যদি যেতে হয় তথাপিও তোমাদেরকে ইলিম অর্জন করতেই হবে। এতে কোন কার্পণ্যতা করা যাবে না। ত্রুটি করা যাবে না। গাফলতি করা যাবে না।
‘আমার পক্ষে ইলিম অর্জন সম্ভব না, কাছে নেই, অনেক দূরে রয়েছে, অনেক কষ্ট, অনেক তকলিফ ইত্যাদি ইত্যাদি বলা চলবে না। ইলিম অর্জন করতেই হবে। সেটা যত দূরেই যেতে হোক না কেন, তাহলে সে পূর্ণ ফায়দা হাছিল করতে পারবে। অন্যথায় তার জন্য কোন ফায়দা হাছিল করা সম্ভব নয়। কোন ফায়দাই তার পক্ষে হাছিল করা সম্ভব নয়।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষ হতে কুরবানী দেয়া প্রত্যকে উম্মতের জন্যই দায়িত্ব কর্তব্য।
১৮ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গ: পবিত্র হজ্জ পালনের আহকাম
১৮ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছবি তোলা হারাম, যা জাহান্নামী হওয়ার কারণ
১৮ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, হিন্দুদের পূজায় গিয়েছে, তাদেরকে পূজা করতে সাহায্য-সহযোগীতা করেছে, সমর্থন করেছে, সম্মতি প্রকাশ করেছে, তাদের সাথে মুছাফাহা ও মুয়ানাক্বা করেছে, তাদেরকে সম্মান করেছে, তা’যীম করেছে, তাদের সম্পর্কে সম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার করেছে এবং সম্মানসূচক শব্দ দ্বারা সম্বোধন করেছে, বাহ বাহ দিয়েছে এবং বেশী বেশী মূর্তি তৈরী করতে বলেছে এবং বেশী বেশী পূজা করতে বলেছে তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হয়েছে (১৪)
১৮ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মসজিদে ইবাদত করতে বাধা দেয়া বা মসজিদ উচ্ছেদ করা কুফরী
১৮ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের কিছু সংক্ষিপ্ত ঘটনা ও ইবরত নছীহত (২)
১৮ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৭ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৭ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, হিন্দুদের পূজায় গিয়েছে, তাদেরকে পূজা করতে সাহায্য-সহযোগীতা করেছে, সমর্থন করেছে, সম্মতি প্রকাশ করেছে, তাদের সাথে মুছাফাহা ও মুয়ানাক্বা করেছে, তাদেরকে সম্মান করেছে, তা’যীম করেছে, তাদের সম্পর্কে সম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার করেছে এবং সম্মানসূচক শব্দ দ্বারা সম্বোধন করেছে, বাহ বাহ দিয়েছে এবং বেশী বেশী মূর্তি তৈরী করতে বলেছে এবং বেশী বেশী পূজা করতে বলেছে তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হয়েছে (১৩)
১৭ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের কিছু সংক্ষিপ্ত ঘটনা ও ইবরত নছীহত (১)
১৭ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বিছাল শরীফের পরও সম্মানিত শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার প্রতি আদবের অনন্য ও নজীরবিহীন দৃষ্টান্ত
১৭ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)