ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য ও হুকুম-আহ্কাম (২৭)
, ১৭ জুন, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা

কাজেই সেজন্য বিবাহের সাথে সংশ্লিষ্ট হচ্ছে পর্দা, যা করা ফরয। আর বিবাহ করা সুন্নত, ফরয এবং হারাম, অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে।
কাজেই এরপর এ আয়াত শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে, আখিরী রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বিবাহ উপলক্ষ্যে অলীমা করেছেন। অলীমা করাও সুন্নত।
হাদীছ শরীফে রয়েছে, আখিরী রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি প্রত্যেক নিছবতে আযীমাহ মুবারকে (বিবাহ মুবারকে) অলীমা করেছেন। অন্যকেও বলেছেন অলীমা করার জন্য-
عَنْ حَضْرَتْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ قَالَ مَا أَوْلَمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى أَحَدٍ مِّنْ نِسَائِهِ مَا أَوْلَمَ عَلَى زَيْنَبَ عَلَيْهَا السَّلَامُ أَوْلَمَ بِشَاةٍ
হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন যে, আখিরী রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সমস্ত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের নিছবতে আযীমাহ মুবারকে অলীমা করেছেন, তবে হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার নিছবতে আযীমাহ মুবারকের সময় যেমন অলীমা করা হয়েছে, খাশি জবাই করে রুটি পাকিয়ে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বড় করে, তেমন বড় অলীমা অন্য কারো সময় করা হয়নি। তবে অলীমা করলেই যে বড় করে করতে হবে সেটা নয়। ছোট খাট করেও অলীমা করা যেতে পারে। যেটা অন্য হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করা হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْتَقَ صَفِيَّةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ وَتَزَوَّجَهَا وَجَعَلَ عِتْقَهَا صَدَاقَهَا وَأَوْلَمَ عَلَيْهَا بِحَيْس.
হযরত আনাছ বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, নিশ্চয়ই রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম (যিনি হুয়াই বিন আখতাব নামে ইহুদীদের মধ্যে বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বড় এক সর্দার ছিল উনার মেয়ে, সেই হুয়াই বিন আখতাব যুদ্ধে পরাস্ত হলে হযরত ছফিয়্যাহ আলাইহাস সালাম (হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম) তিনি বন্দিনী হিসাবে আসেন মুসলমানদের মধ্যে। উনাকে বণ্টন করে দেয়া হয়েছিল, অন্যান্য যারা বন্দি ছিল তাদের মত হযরত দাহিয়াতুল কালবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার কাছে।
কিন্তু বিশিষ্ট ছাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা এসে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! হযরত ছফিয়্যাহ আলাইহাস সালাম তিনি তো বিশিষ্ট সম্মানিত ব্যক্তির মেয়ে, হুয়াই বিন আখতাব ইহুদীদের মধ্যে যারা সবচাইতে মান্য-গণ্য ও বিশেষ ব্যক্তি রয়েছে তাদের মধ্যে একজন। তার মেয়ে হিসাবে উনাকে আপনার কাছে রেখে দিলেই উত্তম হয়।
তখন আখিরী রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত দাহিয়াতুল কালবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে আরেকজন বন্দিনী দিয়ে হযরত ছফিয়্যাহ আলাইহাস সালাম উনাকে আখিরী রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজের কাছে নিয়ে আসলেন এবং আযাদ করে দিলেন, এটা উনার মহর হিসাবে সাব্যস্ত করে উনাকে নিছবতে আযীমাহ মুবারক করে নিলেন।
উনার নিছবতে আযীমাহ মুবারকের মধ্যে হাইস নামক এক প্রকার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছিলেন অলীমাতে। সেখানে অলীমা করা হয়েছিল। খেজুর, পনির, ঘি, ছাতু ইত্যাদি মিশ্রিত করে এক প্রকার খাদ্য পাকানো হত সেটাকে ‘হাইস’ বলা হয়। একটা স্বাভাবিক ধরনের খাদ্যের ব্যবস্থা করেছিলেন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত খাজা বাহাউদ্দীন নকশবন্দ বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (২)
১১ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১১ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১১ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, হিন্দুদের পূজায় গিয়েছে, তাদেরকে পূজা করতে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে, সমর্থন করেছে, সম্মতি প্রকাশ করেছে, তাদের সাথে মুছাফাহা ও মুয়ানাক্বা করেছে, তাদেরকে সম্মান করেছে, তা’যীম করেছে, তাদের সম্পর্কে সম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার করেছে এবং সম্মানসূচক শব্দ দ্বারা সম্বোধন করেছে, বাহ বাহ দিয়েছে এবং বেশী বেশী মূর্তি তৈরি করতে বলেছে এবং বেশী বেশী পূজা করতে বলেছে তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হয়েছে (৪১)
১১ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
স্বচ্ছলতা নিয়ে আম জনতার বিভ্রান্তির অপনোদন
১১ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
একটা আদেশ মুবারক অমান্য করে আরেকটা মান্য করা জায়িয নেই
১১ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাফরমানীমূলক কাজ
১০ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১০ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
৩টি বিশেষ নেক কাজ, যা ইন্তেকালের পরও জারি থাকে
০৯ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৬৭)
০৯ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (৩)
০৯ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- গরুর গোস্ত শি‘আরুল ইসলাম (১৪)
০৯ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)