ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য ও হুকুম-আহ্কাম (৪৪)
, ০৫ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
ঠিক অনুরূপ বলা হয়েছে আরেকটা হাদীছ শরীফে। এখানে ‘মুসলিম’ শব্দের ব্যবহার করা হয়েছে।
হাদীছ শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَلِىٍّ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ سِتٌّ بِالْمَعْرُوفِ
يُسَلِّمُ عَلَيْهِ إِذَا لَقِيَهُ وَيُجِيبُهُ إِذَا دَعَاهُ وَيُشَمِّتُهُ إِذَا عَطَسَ وَيَعُودُهُ إِذَا مَرِضَ وَيَتْبَعُ جَنَازَتَهُ إِذَا مَاتَ وَيُحِبُّ لَهُ مَا يُحِبُّ لِنَفْسِهِ
হযরত ইমামুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, এক মুসলমানের প্রতি আরেক মুসলমানের তরফ থেকে অর্থাৎ প্রত্যেক মুসলমানের পরস্পর পরস্পরের উপর ছয়টা দায়িত্ব বা হক্ব রয়েছে। একই জিনিস বর্ণনা করা হয়েছে-
يُسَلِّمُ عَلَيْهِ إِذَا لَقِيَهُ
‘সাক্ষাৎ হলে সালাম দিবে। ’
وَيُجِيبُهُ إِذَا دَعَاهُ
‘যদি দাওয়াত করে কোন মুসলমান তাহলে আরেকজন সেটা কবুল করবে। ’
وَيُشَمِّتُهُ إِذَا عَطَسَ
‘হাঁচি দিলে জবাব দিবে। ’
অর্থাৎ হাঁচির জবাবে বলবে-
يَرْحَمُكَ اللهُ
(মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমার প্রতি রহম করুন। )
وَيَعُودُهُ إِذَا مَرِضَ
‘অসুস্থ হলে সেবা শুশ্রুষা করবে। ’
وَيَتْبَعُ جَنَازَتَهُ إِذَا مَاتَ
‘ইন্তিকাল করলে তার জানাযাতে শামিল হবে। ’
وَيُحِبُّ لَهُ مَا يُحِبُّ لِنَفْسِهِ
‘আরেকজন মুসলমানের জন্য সেটাই পছন্দ করবে নিজের জন্য যেটা পছন্দ করে থাক।
এখানে ছয়টা হক্ব উল্লেখ করা হয়েছে। তার মধ্যে দু’টা হচ্ছে, যখন কাউকে ডাকা হয় অর্থাৎ দাওয়াত দেয়া হয় তখন সে তা কবুল করবে। আরেকটা হচ্ছে, মুসলমানকে দেখলে সালাম দিবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেছেন-
حَتَّى تَسْتَأْنِسُوا وَتُسَلِّمُوا
“যতক্ষণ পর্যন্ত অনুমতি না পাবে এবং সালাম না করবে। তোমরা প্রবেশ করোনা। ”
এখন এখানে অনুমতি এবং সালামের বিষয়টা উল্লেখ করা হয়েছে যে, আখিরী রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যামানায় সালাম দিলেই সেটা অনুমতি প্রার্থনা বুঝা যেতো। যে কোন ব্যক্তি এসে সালাম দিলে এর অর্থ দাঁড়াতো, সে অনুমতি চাচ্ছে সাক্ষাৎ করার জন্য। অনুমতি তাকে দেয়া হতো।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৩)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ-মহিলা সবার জন্য ফরজ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত মুবারক করা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীর জন্য ফরযে আইন
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে ছিরাতুল মুস্তাক্বীম উনার ছহীহ তাফসীর- ০১
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












