ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য ও হুকুম-আহ্কাম (৫২)
, ১৮ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ১৫ ছানী, ১৩৯৩ শামসী সন , ১৪ জুলাই, ২০২৫ খ্রি:, ৩০ আষাঢ়, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
অনেক লোক বলে থাকে বা অনেকে চিন্তা-ফিকিরও করে থাকে, ঘর-বাড়িতে রহমত, বরকত, সাকীনা নাযিল হোক। এমন কোন লোক নেই মহান আল্লাহ পাক উনার যমীনে, যে চায় না তার বাড়িতে রহমত, বরকত, সাকীনা নাযিল হোক। যদি কেউ চায় তার বাড়িতে রহমত, বরকত, সাকীনা নাযিল হোক সবসময়, সেটাই মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলে দিয়েছেন, সে যেন প্রবেশ করতে এবং বের হতে সালাম দিয়ে প্রবেশ করে এবং বের হয়। তাতে মহান আল্লাহ পাক তিনি রহমত, বরকত, সাকীনা নাযিল করবেন।
আর একটা হাদীছ শরীফে হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرتْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا بُنَيَّ إِذَا دَخَلْتَ عَلَى أَهْلِكَ فَسَلِّمْ يَكُونُ بَرَكَةً عَلَيْكَ وَعَلَى أَهْلِ بَيْتِكَ
আখিরী রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে বলেন, “হে ছেলে! ঘরে যখন প্রবেশ করবেন ছালাম দিয়ে প্রবেশ করবেন, সেটা শুধু আপনার ঘরের অধিবাসীদের জন্যই যে রহমত, বরকত, সাকীনার কারণ তা নয়, সেটা আপনারও রহমত, বরকত, সাকীনার কারণ হবে। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই সালাম দিয়ে অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করা যেমন পর্দার জন্য সহায়ক তেমন মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ মুবারক পালন করা হলো ও সুন্নত মুবারকের ইত্তেবা করা হলো। সর্বোপরি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টি মুবারক তলব করা হলো। এর সাথে সাথে সে রহমত, বরকত, সাকীনারও অংশ পেয়ে গেল।
সেটাই মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফে বলে দিয়েছেন, সালাম দিয়ে প্রবেশ করবে। যদি কেউ সালাম দেয়, একজন আরেকজনকে সালাম দেয়ার সাধারণ মাসয়ালা হচ্ছে সুন্নত; কিন্ত তার জাওয়াব দেয়া হচ্ছে ওয়াজিব।
হাদীছ শরীফে এসেছে, কেউ যদি সালাম দেয়, সালামের মধ্যে একশটা নেকী রয়েছে। একশটা নেকীর মধ্যে যে সালাম দিবে সে নব্বইটা পাবে। সুবহানাল্লাহ! আর যে জাওয়াব দিবে যদিও সেটা ওয়াজিব, সে পাবে দশটা নেকী মাত্র।
মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফে উল্লেখ করেন-
وَإِذَا حُيِّيتُمْ بِتَحِيَّةٍ فَحَيُّوا بِأَحْسَنَ مِنْهَا أَوْ رُدُّوهَا إِنَّ اللهَ كَانَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ حَسِيبًا
যদি তোমাদেরকে কেউ সালাম দেয়, (তাহলে তোমরা কি করবে?) তাকেও সালাম দিবে। সে যতটুকু বলে তার চাইতে উত্তমভাবে বলবে অথবা তোমাকে যা বলেছে কমপক্ষে তার জাওয়াবে ততটুকু বলবে। (আফযল হলো, সুন্নত হলো তার চাইতে একটু বাড়িয়ে বলা। ) মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত কিছুর হিসাব রাখেন, হিসাব রাখনেওয়ালা।
এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, সালাম যে শুরু হলো, সালামটা আসলো কোথা থেকে?
এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফে বর্ণিত হয়েছে-
عَنْ حَضْرتْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: فَلَمَّا خَلَقَ اللهُ آدَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ اِذْهَبْ فَسَلِّمْ عَلَى أُولَئِكَ النَّفَرِ وَهُمْ نَفَرٌ مِنَ الْمَلاَئِكَةِ جُلُوسٌ فَاسْتَمِعْ مَا يُجِيبُونَكَ فَإِنَّهَا تَحِيَّتُكَ وَتَحِيَّةُ ذُرِّيَّتِكَ قَالَ فَذَهَبَ فَقَالَ اَلسَّلاَمُ عَلَيْكُمْ فَقَالُوا اَلسَّلاَمُ عَلَيْكَ وَرَحْمَةُ اللهِ
হযরত আবু হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি যখন হযরত আবুল বাশার আদম আলাইহিস সালাম উনাকে সৃষ্টি করলেন, সৃষ্টি করে হযরত আবুল বাশার আলাইহিস সালাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, আপনি সামনে যান, (সামনে বসা ছিলেন একদল ফেরেশতা), উনারা হচ্ছেন ফেরেশতা, আপনি উনাদের কাছে যান, উনাদেরকে সালাম দিন। সালাম দিয়ে আপনি শ্রবণ করুন উনারা কি বলেন, কিভাবে সালামের জাওয়াব দেন। আপনি সালাম দেয়ার পর উনারা যেটা জাওয়াব দিবেন সেটা আপনার এবং আপনার যারা আল-আওলাদ ক্বিয়ামত পর্যন্ত আসবেন তাদের জন্য হবে সালামের নিয়ম।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হাযির-নাযির শান মুবারক (১)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আল্লাহওয়ালী মহিলা উনাদের তিনটি বৈশিষ্ট্য-
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পুরুষের জন্য কমপক্ষে একমুষ্ঠি পরিমাণ দাড়ি রাখা ফরয
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (২)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা (২)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পর্দা পালন করা নারী-পুরুষ সকলের জন্যই শান্তি ও পবিত্রতা হাছিলের কারণ
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সীমালঙ্ঘনকারী কাফির-মুশরিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ মুবারক
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












