ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য ও হুকুম-আহ্কাম (১০২)
, ০৯ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ০৫ রবি’, ১৩৯৩ শামসী সন , ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ১৯ ভাদ্র, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
এজন্য অন্য হাদীছ শরীফে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إِذَا لَمْ تَسْتَحْيِ فَاصْنَعْ مَا شِئْتَ.
“যখন তুমি নির্লজ্জ হবে তখন যা খুশী তাই তুমি করবে। ” অর্থাৎ যখন মানুষের লজ্জা থাকেনা তখন সে যা ইচ্ছা তাই করতে পারে। এবং আরেক হাদীছ শরীফে বলা হয়েছে-
اِذَا فَاتَكَ الْحَيَاءُ فَافْعَلْ مَا شِئْتَ
“যখন তোমার লজ্জা নষ্ট হয়ে যাবে, তুমি যা ইচ্ছা তাই করতে পারবে। ”
কারণ লজ্জা নষ্ট হয়ে গেলে তো ঈমানে ঘাটতি হয়ে যায় তখন সে যা ইচ্ছে সেটাই করতে পারে, প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে সব অবস্থায় সে যে কোন কাজ করতে পারবে। যখন তার লজ্জাটা নষ্ট হয়ে যায়, লজ্জাটা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে ঈমানটাও ঘাটতি হয়ে যায়। তার দ্বারা যে কোন কাজ করা স্বাভাবিক হয়ে যায়।
এ প্রসঙ্গে একটা ঘটনা কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে, মানুষের যদি লজ্জা না থাকে, তাহলে তার দ্বারা যে কোন কাজ সংঘটিত হতে পারে। যে ঘটনা বলা হয়েছে সেটা হচ্ছে, একজন পুরুষ এবং একজন মহিলা তারা পরস্পর স্বামী-স্ত্রী ছিল, তারা যে এলাকায় বসবাস করতো সে এলাকাতে অন্যান্য লোকজন যারা ছিল, তারাও মোটামুটি দ্বীনদার, পরহেযগার ছিল। দ্বীনদার, পরহেযগার হওয়ার কারণে সে স্বামী-স্ত্রী তারাও পর্দা করতো। এ পর্দা করা অবস্থায় তাদের একটা সন্তান জন্মগ্রহণ করলো।
সন্তান জন্মগ্রহণ করার কিছুদিন পর সে পুরুষ এবং মহিলা অর্থাৎ স্বামী-স্ত্রী তারা সে এলাকা ছেড়ে দূরবর্তী আরেক এলাকায় তাদের বাড়ী-ঘর নির্মাণ করলো, থাকার ব্যবস্থা করলো। কিন্তু যেখানে তারা এসে থাকার ব্যবস্থা করলো সে এলাকার লোকেরা পূর্বের এলাকার লোকের মতো দ্বীনদার, পরহেযগার নয়। তাদের মধ্যে বদদ্বীনী-বেদ্বীনী কিছু ছিল। তাদের ছোহবতে এসে সে স্বামী বেপর্দা, বেহায়া হয়ে গেল। তার ওয়াস্ওয়াসার কারণে তার স্ত্রীও পূর্বে যেমন পর্দা করতো অর্থাৎ শরয়ী পর্দা মুতাবিক চলতো সেটাও সে ছেড়ে দিল আস্তে আস্তে। এরপর দেখা গেল, তার কিছুদিন পর অর্থাৎ তাদের বেপর্দা-বেহায়া হওয়ার পর, তাদের আরেকটা সন্তান জন্মগ্রহণ করলো।
কিন্তু স্ত্রী বারবার তার স্বামীকে বলতেছিল পর্দা করার জন্য, যেহেতু সে এলাকায় এমন পরিবেশ ছিল যে, সেখানে পর্দা করা কঠিন ছিল। সে সমাজের লোকজন সব বেহায়া, বেপর্দা, বেশরা ছিল। যার জন্য ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় সে স্বামী তার স্ত্রীকে পর্দা করায়নি, সে স্ত্রী বারবার বলার পরেও। যখন আরেকটা সন্তান জন্মগ্রহণ করল। সে সন্তানটা বড় হলো, উভয় সন্তানই বড় হলো। অর্থাৎ মোটামুটি একটা বুঝ পয়দা হয়ে গেল। পাঁচ, সাত, আট বছর বয়স হয়েছে।
এ অবস্থায় একদিন সে স্ত্রী তার স্বামীকে বারবার বলতে লাগলো পর্দার কথা। যখন স্বামী তার কথা শুনলো না, তখন একদিন স্ত্রী বললো যে, ‘এক কাজ করা যেতে পারে। ‘কি কাজ করা যেতে পারে?’ ‘একটা পরীক্ষা করবো। ’ ‘কি পরীক্ষা করবে?’
পরীক্ষা হচ্ছে, ‘আমাদের একটা ছেলে জন্মগ্রহণ করেছে, যখন আমরা শরয়ী পর্দা করতাম তখন। আরেকটা ছেলে জন্মগ্রহণ করেছে, যখন আমরা পর্দা ছেড়ে দিয়েছি তখন। এ দু’জনের আচার-আচরণের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। ’
স্ত্রী তার স্বামীকে বললো, ‘এদের আচার-আচরণের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। আমি ব্যাপারটা ফিকির করেছি। ’ স্বামী যেহেতু ঘরে থাকেনা সেহেতু সে ব্যাপারটা অনুধাবন করেনি। স্ত্রী ব্যাপারটা অনুধাবন করেছে। সে বললো, ‘এখনও সময় রয়েছে পর্দা করার। অন্যথায় সন্তান সব নষ্ট হয়ে যাবে। ’
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া কবীরা গুনাহ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৪)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাফরমানীমূলক কাজ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৪)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি; অস্বীকারকারীরা কাট্টা কাফির (১)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ বা মুনাজাত (১১তম অংশ)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












