সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সকলের অন্তরের অন্তঃস্থলের খবরও রাখেন এবং উনার মুবারক ইচ্ছা অনুযায়ী মাখলুক্বাতের বিভিন্ন হাজত পূরণ করেন
, ০৪ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৯ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ১৭ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ০২ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
সকালে ইমাম আবু আব্দিল্লাহ মুহম্মদ ইবনে সাঈদ আল বুছীরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ঘনিষ্ট জন বিশিষ্ট বুযুর্গ হযরত শায়েখ আবু রজা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার নিকট একখানা ক্বছীদাহ শরীফ তালাশ করেন। ইমাম আবু আব্দিল্লাহ মুহম্মদ ইবনে সাঈদ আল বুছীরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি জিজ্ঞাসা করেন, আপনি ক্বছীদাহ শরীফ তালাশ করছেন? তখন হযরত শায়েখ আবু রজা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, গত রাতে আপনি যে ক্বছীদাহ শরীফখানা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠ করে শুনিয়েছেন, সেটাই আমি তালাশ করছি। এতে ইমাম আবু আব্দিল্লাহ মুহম্মদ ইবনে সাঈদ আল বুছীরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আশ্চর্য হয়ে বললেন, এ ঘটনা আপনি কিভাবে জানলেন? এ ক্বছীদাহ শরীফ সম্পর্কে আমি কাউকে তো বলিনি। হযরত শায়েখ আবু রজা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এ ক্বছীদাহ শরীফখানা যখন আপনি শুনাচ্ছিলেন তখন আমরা অনেকেই সেটা শুনেছি। দেখা গেল, এ ক্বছীদাহ শরীফখানা অল্প সময়ের ব্যবধানে সারা বিশ্বে প্রসিদ্ধি লাভ করলো। যেহেতু এ ক্বছীদাহ শরীফখানা পাঠ করার কারণে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বুরদাহ বা নকশীওয়ালা চাদর মুবারক হাদিয়া করেছেন সেহেতু এ ক্বছীদাহ শরীফখানা ‘ক্বছীদায়ে বুরদাহ’ নামেই সারা বিশ্বে অত্যধিক মশহূর হয়ে পড়ে। সুবহনাল্লাহ!
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল উমাম, ক্বইয়ূমুয যামান, আযীযুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যুল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, জামিউল আলক্বাব, আওলাদুর রসূল, আহলু বাইতে রসূল, মাওলানা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনিই একমাত্র মহান ব্যক্তিত্ব যিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কর্তৃক নির্মিত মসজিদে নববী শরীফ উনার পূর্ণ নক্শারূপে ১৪০৭ হিজরীতে সুন্নতী জামে’ মসজিদ নির্মাণ করেন। এই সুন্নতী জামে’ মসজিদ নির্মাণের প্রেক্ষাপটে একদা স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনাকে নিয়ে সুন্নতী জামে’ মসজিদ নির্মাণের স্থানে জাহির মুবারক হন। এবং সুন্নতী জামে’ মসজিদ নির্মাণে প্রয়োজনীয় যাবতীয় বিষয়ে ক্বইয়ূমুয যামান, আযীযুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যুল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, জামিউল আলক্বাব, আওলাদুর রসূল, আহলু বাইতে রসূল, মাওলানা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনাকে মুবারক নির্দেশনা প্রদান করেন। সেই মুবারক নির্দেশনা অনুযায়ী সুন্নতী জামে’ মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়। সুবহানাল্লাহ!
এখানে কয়েকটি বিষয় অত্যধিক সুস্পষ্ট। প্রথমত: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছাহিবে ইলমে গইব। উনার কোন উম্মত কোন অবস্থায় দিনাতিপাত করছে, তিনি তা সম্যক অবগত। দ্বিতীয়ত: তিনি হাযির ও নাযির। তিনি উনার মুবারক ইচ্ছা অনুযায়ী যে কোন সময় যে কোন স্থানে জাহির মুবারক হন। তৃতীয়ত: তিনিই সমস্ত নিয়ামতের মূল। উনার স্পর্শ মুবারক প্রাপ্ত যে কোন বিষয় মুহূর্তের মধ্যে সর্বোচ্চ কামালিয়াত লাভ করতে পারে। চতুর্থত: তিনি উনার মাহবূব উম্মতদেরকে দায়িমীভাবে তদারকি করেন, পর্যবেক্ষণ করেন এবং মুবারক নির্দেশনা প্রদান করেন। সুবহানাল্লাহ!
মূলকথা হলো, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কেবল ছাহিবে ইলমে গইব ও হাযির-নাযিরই নন। বরং তিনি সকলের অন্তরের অন্তঃস্থলের খবরও রাখেন এবং উনার মুবারক ইচ্ছা অনুযায়ী মাখলুক্বাতের বিভিন্ন হাজতও পূরণ করেন। সুবহানাল্লাহ! কাজেই, সকলকে এ বিষয়ে সর্বোচ্চ হুসনে যন পোষণ করতে হবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি সকলকে সর্বোচ্চ হুসনে যন পোষণ করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন।
-আল্লামা মুহম্মদ ইমাদুদ্দীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া কবীরা গুনাহ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৪)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাফরমানীমূলক কাজ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৪)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি; অস্বীকারকারীরা কাট্টা কাফির (১)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ বা মুনাজাত (১১তম অংশ)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












