সম্পাদকীয়-২
সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে ব্যয় বাড়লেও সুবিধার বাইরে ৭১ ভাগ দরিদ্র জনগোষ্ঠী। দারিদ্রের যাঁতাকল থেকে জনগণকে বের করে না আনলে দেশ অবিলম্বে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। বাঁচতে হলে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনায়ই পাওয়া যাবে প্রকৃত নিরাপত্তা ও সফলতা ইনশাআল্লাহ
, ৩ রা জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৮ সাবি’, ১৩৯২ শামসী সন , ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
দরিদ্রদের আয় বাড়াতে সরকার সামাজিক নিরাপত্তামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আয়ের উৎস সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য হ্রাসে ভূমিকা রাখতে কাজ করছে এই কর্মসূচি। এ কর্মসূচিতে প্রতি বছর বরাদ্দের অংক বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে সুবিধাভোগীর সংখ্যাও। তারপরও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বড় অংশ এখনো সামাজিক সুরক্ষার বাইরে রয়ে গেছে। পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) তথ্যমতে, দরিদ্রদের প্রায় ৭১ শতাংশ এখনো সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বাইরে রয়েছে। তথ্যমতে, দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ। এসব মানুষের মাত্র ২৯ শতাংশ সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় রয়েছে। বাকি ৭১ শতাংশই রয়েছে এর বাইরে।
২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়তে সমাজের চরম দরিদ্র ও সর্বাধিক ঝুঁকিগ্রস্তদের অগ্রাধিকার দিয়ে বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি চালু করলেও মাঠ পর্যায়ের বাস্তবতা বলছে, এই খাতে সরকার যে বরাদ্দ দিচ্ছে তা দরিদ্র মানুষের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। শুধু তাই নয়, সুশাসনের অভাব এবং রাজনৈতিক দোষে দুষ্ট হওয়ায় এসব কর্মসূচির সুফলও পাচ্ছে না অনেক প্রকৃতজন, পাচ্ছে চিহ্নিত কিছু মানুষ। এ কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ইস্যুতে সরকারের সদিচ্ছা।
প্রসঙ্গত, কোনো ধরনের নীতিমালা ও সুসংহত কাঠামোগত কার্যকর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ও জবাবদিহিতা না থাকায় বর্তমান সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা একটি লুটপাটের কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে। ক্ষমতাভোগী ও গ্রামীণ শক্তি কাঠামো নিজেদের কায়েমি স্বার্থ পূরণে সামাজিক নিরাপত্তাকে ব্যবহার করছে। যার পরিণতি, যাদের পাওয়া উচিত তারা বাদ পড়ছে। পরিকল্পনা কমিশনই বলছে, ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধ ভাতা নিচ্ছে যাদের বয়স ৬০ বছর হয়নি। যদিও ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ পরিবার সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতাভুক্ত, তথাপি এখনো ৫৭ শতাংশ হতদরিদ্র ও দরিদ্রদের ৬৬ শতাংশ এসব সহায়তা কর্মসূচির বাইরে আছে। এ থেকেই চলমান সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার মূল চরিত্রটি বোঝা যায়। খোদ পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের প্রতিবেদন বলছে, এখনো ৫৭ শতাংশ হতদরিদ্র ও দরিদ্রদের ৬৬ শতাংশই এসব সহায়তা কর্মসূচির বাইরে রয়েছে।
উল্লেখ্য, সরকারি পেনশনের অংশ বাদ দিলে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে সরকারের বরাদ্দ জিডিপি’র ১.৬ শতাংশ। বাংলাদেশে ২৫ শতাংশ মানুষ বিত্তশালী। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদেরও ২৭ শতাংশ কোনো না কোনোভাবে সেফটি নেটের সুবিধা ভোগ করছে। এমনিতেই এ কর্মসূচির বরাদ্দযোগ্য ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। তার উপর বরাদ্দে এভাবে ভাগ বসালে তা উপরে উপরে গরিবের জন্য বরাদ্দ হলেও পুরো সুবিধা বিত্তশালীরা লুটে নিয়ে যাবে।
সঙ্গতকারণেই বলতে হয়, অতি দারিদ্র্য হ্রাসে সরকার সফলতা দাবি করলেও সত্যিকার অর্থে অতি দারিদ্র্যের যাঁতাকল থেকে মানুষ আদৌ মুক্তি পায়নি। তাই সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। তবে এক্ষেত্রে সর্বাগ্রে প্রয়োজন সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর বরাদ্দের বিভিন্ন স্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনা। পাশাপাশি বরাদ্দের পরিমাণ অনেক বাড়ানো। এদিকে পেনশনকে সর্বজনীন করার বিষয়ে ভাবতে হবে, মনে রাখতে হবে, দ্রুত নগরায়নের ফলে বিশেষ ধরনের দারিদ্র্য সৃষ্টি হচ্ছে। এর জন্যও কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া অপরিহার্য। সেইসাথে এই সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলের সুফল যাতে দেশের দুস্থ-দরিদ্র জনগোষ্ঠী সঠিকভাবে লাভ করতে পারে, সেজন্য উপযোগী ব্যক্তি নির্ধারণের সময় যাতে কোনো প্রকার অনিয়মের সৃষ্টি না হয়, সেদিকে কঠোরভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।
মূলত, এসব বিষয় বাস্তবায়নের অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনা ও জজবা এবং পরিক্রমা থেকে ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আজ মহা-মহিমান্বিত ১৫ই রজবুল হারাম শরীফ! সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতু রসূল আছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস এবং সম্মানিত ক্বিবলা মুবারক পরিবর্তন দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আজ মহা-মহিমান্বিত ১৪ই রজবুল হারাম শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত মহাসম্মানিত ১২ই রজবুল হারাম শরীফ আজ। আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্য ফরজ।
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নারিকেল দ্বীপ নয়; শব্দ দূষণে বিপর্যস্ত ঢাকাকে উপযোগী করার জন্য ঢাকার জনজট সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। শব্দ দূষণ এখন শব্দ সন্ত্রাস ও নীরব ঘাতকে পরিণত হয়েছে।
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গ: রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম, মুসলমানের দ্বীনি অধিকার, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে পালনের আবহ এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়।
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ সুমহান ও বরকতময় পবিত্র ১০ই রজবুল হারাম শরীফ! রাইহানু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম সিবতু রসূল আছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার মহাপবিত্র শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! পাশাপাশি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুত তাসি মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আর রবি’ আলাইহিস সালাম উনার মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
১১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
শিশু কিশোরদের মাঝে ডায়াবেটিসের প্রকোপ ভয়াবহ এবং মারাত্মক ঝুকিপূর্ণভাবে বাড়ছে শিশু-কিশোরদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ও প্রতিরোধে জরুরীভাবে নজর দেয়া উচিত ইনশাআল্লাহ
১০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রতি যত্নশীল না হলে মুসলমানরা বিপন্ন বলে আওয়াজ উঠবে। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরোধিতা করে কোনো মঞ্চ বা রাষ্ট্রযন্ত্র টিকে থাকতে পারবে না।
১০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ক্ষেতের ফসল ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে সবজির দাম না পাওয়ায় হতাশ ও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের প্রতি অন্তবর্তী সরকারের দরদ ও দায়বদ্ধতা প্রতিফলিত হচ্ছে না সবজি রপ্তানী বৃদ্ধি, সবজির বহুমুখী ব্যবহার এবং সবজি সংরক্ষণ বহুগুণ করে সবজি চাষীদের সমৃদ্ধশালী করার অবকাশ কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায়ই সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মূল বিষয় ছিল চাকুরী পাওয়ার আন্দোলন কিন্তু এখন চাকুরী পাওয়ার হার আরো নি¤œগামী। বেকারত্বে আরো উর্ধ্বগামী বেকারত্ব দূরীকরণের জন্য সরকারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে ইনশাআল্লাহ
০৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহাপবিত্র ৭ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত পবিত্র ৭ই মাহে রজবুল হারাম শরীফ আজ। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার শান-মান মুবারক অনুভব করা, ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ ও নেক ছোহবত মুবারক হাছিল করা বর্তমান যামানায় সব নারীদের জন্য ফরয।
০৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আহলান সাহলান মহিমান্বিত ৬ই রজবুল হারাম শরীফ! আজ কুতুবুল মাশায়িখ, সুলত্বানুল হিন্দ, খাজায়ে খাজেগাঁ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সুমহান বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
০৭ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)