সারাদেশে চলছে ভুয়া প্রকল্প ও ভুয়া বিলের ছড়াছড়ি তথা সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে হাজার রকমের দুর্নীতি (৪৩৬)
, ২১ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১২ ছানী ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ১২ মে, ২০২৩ খ্রি:, ২৯ বৈশাখ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মন্তব্য কলাম
দেশে ও জনগণের টাকা প্রকল্পের নামে হয় চুরি। পুকুর চুরি নয়; সাগর চুরি। কিন্তু জনগণ থাকে অন্ধকারে। বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি কোনো পর্যায়েই দুর্নীতি বন্ধ নেই। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা সবক্ষেত্রেই শুধু দুর্নীতি আর দুর্নীতি। দেশ ও জনগণের সচেতনতার জন্য ধারাবাহিকভাবে এখানে উল্লেখ করা হলো:
দুর্নীতির একটি সীমা থাকা উচিত: হাইকোর্ট
দুর্নীতির একটি সীমা থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (৯ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মাদ শওকত আলী চৌধুরীর বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন। কারাগারে চিকিৎসক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এমন মন্তব্য করেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেন, স্বাস্থ্য খাতের সর্বস্তরে দুর্নীতি বিস্তার করেছে। আখিরাতে বিশ্বাস করলে চুরি করতে পারতেন না। দেশের ১৭ কোটি মানুষের কাছ থেকেই টাকা খাচ্ছেন, কতজনের কাছে মাফ চাইবেন।
এদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন মো. জে আর খান রবিন। অপরদিকে কারা অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান।
আদালত শুনানিতে বলেন, দুদক ঠিকমতো কাজ করলে এতো দুর্নীতি বাড়তো না। প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা করার পরও পাকিস্তান- ব্রিটিশ আমলাতন্ত্রের পরিবর্তন হচ্ছে না। যে সরকারই আসুক আমলারা সব সময় থাকেন। তারা কেন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হন?
কারা কর্তৃপক্ষ এবং স্বাস্থ্য অধিপ্তরের মহাপরিচালকের আইনজীবীদের হাইকোর্ট আরও বলেন, উই আর সন অব দ্য সয়েল (আমরা এই মাটির সন্তান)। আমরা সবই জানি, আমাদের ভুল বোঝাবেন না। আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে গিয়েছিলাম। দেখলাম, বাইরের অনেক দেশের ছোট হাসপাতালের অবস্থা এখানকার চেয়ে ভালো।
আদালত বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শুধু কেনার জন্যে প্রস্তুত, কিন্তু বাক্সে কী আছে আল্লাহ জানেন। আর কত দুর্নীতি করবেন? আখিরাতে বিশ্বাস করলে দুর্নীতি করতে পারতেন না। দুর্নীতির একটা সীমা থাকা উচিত। প্রধানমন্ত্রীর এলাকা ফরিদপুর মেডিকেলেও দুর্নীতি হয়েছে।
কারাবন্দিদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে দেশের কারাগারগুলোতে শূন্যপদে চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশনা এখনো বাস্তবায়ন না করায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্ট আরও বলেন, কারাগারে অনেক নিরীহ মানুষও থাকে। তাই মানুষ শাস্তি পেলে ক্ষমা পাবেন না। চিকিৎসকরা সবাই ঢাকায় থাকতে চান। প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন, কোম্পানির প্রতিনিধির সঙ্গে যোগসাজশ করে ওষুধ লেখেন। এসময় প্যারামেডিক্যালের ডাক্তারদের বিএমডিসি এন্টিবায়োটিক ওষুধ লেখার অনুমতি কেন দিয়েছেন সে প্রশ্নও তোলেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেন, দেশের ১৭ কোটি মানুষের কাছ থেকেই টাকা খাচ্ছেন, কতজনের কাছে মাফ চাইবেন।
১০ হাজার কোটির বিশ্ববিদ্যালয় এখন ৬৯৩ কোটিতে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি স্থাপনে নতুনভাবে মাত্র ৬৯৩ কোটি টাকার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রোপোজাল (ডিপিপি) জমা দেওয়া হচ্ছে। অথচ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আগের উপাচারে সময়ে ২০২১ সালের জুন মাসে ১০ হাজার ৪৫১ কোটি টাকার ডিপিপি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) জমা দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে ইউজিসি সেই ডিপিপি পর্যালোচনা করে প্রথম পর্যায়ে অ্যাকাডেমিক প্ল্যান অনুযায়ী জরুরি ভৌত কাঠামো, আসবাবপত্র এবং জরুরি কিছু ইকুইপমেন্ট নিয়ে নতুন করে ডিপিপি প্রণয়নের অনুরোধ করেন। কিন্তু তখন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ডিপিপি সামান্য পরিবর্তন করে মাত্র ৪০০ কোটি টাকা কমিয়ে ১০ হাজার ১০০ কোটি টাকা প্রস্তাব করেন। আর সেই ডিপিপি গত বছরের মার্চে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে ইউজিসিকে অনেকটা বাধ্য করা হয়েছিল।
তবে গত বছর ২৫ মে একটি দৈনিকে প্রথম পৃষ্ঠায় ‘১০ হাজার কোটির বিশ্ববিদ্যালয়!’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর এ প্রতিবেদনটি সারা দেশেই আলোচিত হয়। ফলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও সেই ডিপিপি ফেরত পাঠিয়ে দেয়। তবে গত বছরের শেষদিকে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নতুন ভিসি হিসেবে যোগদান করেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম। তিনি একটি বাস্তবসম্মত ডিপিপি প্রণয়নের উদ্যোগ নেন। অবশেষে সেই ডিপিপি প্রণয়নের কাজ প্রায় শেষের পথে। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপনে এবার মাত্র ৬৯৩ কোটি টাকার প্রস্তাব করা হচ্ছে।
সরকারিতে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক!
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ৩২ নম্বর নিউনেটাল (সদ্য প্রসূত) ওয়ার্ডে এক যুগ ধরে আধিপত্য চলছে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ‘লাইফ কেয়ার’-এর। সরকারি এ হাসপাতালে তিনটি পোর্টেবল (বহনযোগ্য) এক্স-রে মেশিন থাকলেও তা বছরের পর বছর অকার্যকর রেখে শিশুদের (সদ্য ভূমিষ্ঠ) জটিল রোগ নির্ণয়ের জন্য শুধু লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। আর এর নেপথ্যে রয়েছে প্রতি মাসে ওয়ার্ডটির চিকিৎসক-নার্সদের লাখ লাখ টাকার কমিশন বাণিজ্য। আধিপত্য ধরে রাখতে লাইফ কেয়ার কর্তৃপক্ষ চিকিৎসক-নার্সদের নানান সুবিধা দিচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুর জটিল কোনো শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে পরীক্ষার জন্য প্রয়োজন পড়ে পোর্টেবল এক্স-রে মেশিনের। ট্রলিতে বহন করে এ যন্ত্রটি এক স্থান থেকে আরেক স্থানে নেওয়া হয়। শিশুর বুক বা মস্তিষ্ক পরীক্ষার জন্য ফি নেওয়া হয় ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদিন গড়ে রোগী ভর্তি থাকে ১৮০-২০০ জন। প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০ জন নতুন রোগী ভর্তি হয় এ ওয়ার্ডে। একজন চিকিৎসক জানান, সদ্য ভূমিষ্ঠ ৩০ থেকে ৪০ শিশুর বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রতিদিন পোর্টেবল এক্স-রে মেশিন ব্যবহৃত হয়। চমেক হাসপাতালে পোর্টেবল এক্স-রে মেশিন রয়েছে তিনটি। কিন্তু চমেকেরই একটি চক্র লাইফ কেয়ার সেন্টারকে সুবিধা পাইয়ে দিতে লোকবল সংকটের অজুহাতে কোটি টাকা দামের এসব যন্ত্র যথাযথভাবে ব্যবহার করছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি স্বীকারও করেছেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান। অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট সাদেকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘একটি পোর্টেবল এক্স-রে মেশিন আছে আইসিইউতে। বাকি দুটি দিয়ে কাজ চালাই। যখন যে ওয়ার্ডে ডাক পড়ে সেখানে আমরা যাই। তবে লোকবল সংকটের কারণে রোগীদের সেবা ব্যাহত হয়।’
লুটেরা লুটে খাচ্ছে গৃহায়নের জমি
জমি এবং প্রকল্প দুটিই জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের (জাগৃক)। অথচ সেখানে সংস্থাটির নিয়ন্ত্রণ শুধু হাতেকলমে। প্রভাবশালীরা যে যার মতো ভবন তুলছেন, ভাড়া দিচ্ছেন। এমনকি জমিও বিক্রি করা হচ্ছে অগোচরে। বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে এমন অনিয়ম। মিরপুরের বাউনিয়া বাঁধ এলাকায় অবস্থিত বাস্তুহারা পরিবার পুনর্বাসন প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা এটি।
১৯৭২-৭৩ সালের দিকে বাস্তুহারাদের পুনর্বাসনে আবাসন প্রকল্পের উদ্যোগ নিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এটি ‘২ হাজার ৬০০ বাস্তুহারা পরিবার পুনর্বাসন প্রকল্প’ নামে পরিচিত। মিরপুরের বাউনিয়া মৌজার এই প্রকল্পে সাড়ে ৯২ একর জমির ৩০ একর রাখা হয়েছিল প্লট হিসেবে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য। বাকি জমি ছিল বিভিন্ন চিত্তবিনোদন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং খোলা জায়গা হিসেবে। তবে বর্তমান চিত্র ভিন্ন। রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই ছোট-বড় ভবন, মার্কেট, গুদাম, গ্যারেজসহ নানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। ওই এলাকায় খোলা জায়গা বলতে কিছু নেই। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিল তৎকালীন গৃহসংস্থান অধিদপ্তর। সেখানে তিন দশক আগে ২ হাজার ৫৬৮ জনকে ভাড়ার ভিত্তিতে ক্রয়ের জন্য প্লটের সাময়িক বরাদ্দপত্র দেওয়া হয়।
শুধু মিরপুরের বাউনিয়া মৌজার এ প্রকল্পই নয়। জাগৃকের এমন অনেক প্রকল্প এবং জমি রয়েছে-যেখানে বছরের পর বছর খবর নেয়নি কেউ। আর এই সুযোগে বেদখল হয়ে গেছে। উঠেছে ঘরবাড়ি, বিপণিবিতান। কোথাও প্রভাবশালীরা নানা মাধ্যমে এসব জমি ব্যবহার করে নিজেদের আখের গোছাচ্ছেন। কোথাও গড়ে উঠেছে বস্তি। বিভিন্ন ব্যবসায়িক গ্রুপ ও প্রতিষ্ঠানও দখলে নিয়েছে গৃহায়নের এসব সম্পত্তি। লুটেপুটে খাচ্ছে লুটেরারা।
প্রধানমন্ত্রী যে তন্ত্রের উপর নির্ভর করে, যে প্রশাসনের উপর নির্ভর করে, যে আর্থ-সামাজিক আবহের উপর নির্ভর করে দুর্নীতি বন্ধ করতে চায় তাতে রয়েছে গলদ, অপূর্ণতা ও ভ্রান্তি।
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যমীনে এবং পানিতে যা ফিতনা-ফাসাদ রয়েছে সবই মানুষের হাতের কামাই।” অপরদিকে সবকিছুর সমাধান সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই এই পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে আমি সবকিছু বর্ণনা করেছি।”
অর্থাৎ কেবলমাত্র পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মধ্যস্থিত হুকুম-আহকাম মুতাবিক চললেই দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল সম্পূর্ণ সম্ভব। কিন্তু দেশের সরকার তা কবে বুঝবে? জনগণই বা কবে উপলব্ধি করবে? (ইনশাআল্লাহ চলবে)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার দোয়ার বরকতে প্রতি বছরই বাড়ছে বাংলাদেশের ভূখ-। ইনশাআল্লাহ অচিরেই সমুদ্রের বুকে শ্রীলঙ্কার চেয়েও বড় ভূখন্ড পাবে বাংলাদেশ। পাশাপাশি এসব দ্বীপ অঞ্চল প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদে ভরপুর। দ্বীপের প্রাকৃতিক সম্পদের এই সম্ভাবনাকে পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগানো গেলে সোনার বাংলাদেশকে আসলেই সোনায় মুড়ে দেয়া যাবে। ইনশাআল্লাহ!
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
রেলপথ দেশব্যাপী পণ্য পরিবহনের জন্য সাশ্রয়ী ও নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত। রেলের ইঞ্জিন স্বল্পতার কারণে আগ্রহ থাকলেও প্রতিষ্ঠান বেছে নিচ্ছে অন্য পথ চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার পরিবহনের ৯৬ শতাংশই হয় সড়কপথে অপরদিকে রেল অথবা সড়কপথে যাত্রী চলাচল কিংবা পণ্য পরিবহনে তুলনামূলকভাবে খরচ অনেক কম হয় পানিপথে।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পশ্চিমা সম্রাজ্যবাদীদের দীর্ঘদিনের শোষণ আর অব্যাহত লুটপাটের কারণে সোমালিয়া, চাদ, নাইজেরিয়া, নাইজার, দক্ষিণ সুদান, কেনিয়া ও ইথিওপিয়ার প্রায় ২ কোটি মানুষ এখন দুর্ভিক্ষ আক্রান্ত। দুর্ভিক্ষ নেমে আসতে আর দেরি নেই, এরকম দুঃসহ দিন গুনছে পূর্ব-আফ্রিকার উগান্ডা, রুয়ান্ডা, বুরুন্ডি, তানজানিয়ার প্রায় ৫ কোটিরও বেশি মানুষ। কিন্তু নিশ্চুপ বিশ্ব গণমাধ্যম, নিষ্ক্রিয় বিশ্ববিবেক, নীরব মুসলিম বিশ্ব!
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে অর্থনীতি গভীর সংকটে শেষ প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি মাত্র ৩.৩৫ শতাংশ দেশের অর্থনীতি তলানী তথা বারোটা বাজার খবর এখন সর্বত্রই ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছে
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইতিহাসের নিরীখে, বর্তমান সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদেরই কোন আইনী ভিত্তি বা বৈধতা ছিল না। গত ৫৫ বৎসর দেশবাসীকে যে অবৈধ সংবিধানের অধীনে বাধ্যগত করে রাখা হয়েছিলো এর প্রতিকার দিবে কে? ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন ইসলামের প্রতিফলন ব্যাতীত কোন সংবিধানই বৈধ হতে পারে না কারণ দেশের মালিক ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইরান ফিলিস্তিনে ইসরাইলী হামলার জন্য বিশেষভাবে দায়ী সালাফী-লা মাযহাবী ওহাবী মালানারা কারণ তারাই সৌদি ইহুদী শাসকদের প্রশংসা করে, পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের দোষ-ত্রুটি এবং মুসলমান বিদ্বেষী ও ইসলাম বিরোধী কাজ চুপিয়ে রাখে বাংলাদেশসহ অন্যান্য মুসলিম দেশে তাদের কুফরী আক্বীদা প্রচার করে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাজারে নতুন আলু উঠলেও দাম চড়া, কেজিতে ২০০ টাকা পুরোনো আলু নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের উদ্যোগ জরুরি আলু রফতানীতে কমপক্ষে লাখো কোটি টাকা আয় সম্ভব আলুর জাতের মান বৃদ্ধি এবং হিমাগার স্থাপনসহ রফতানীর ক্ষেত্রে সব বাধা দূর করে সরকারকে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রশাসন খবর না রাখলেও প্রচ- শীতে মারা যায় হাজার হাজার লোক। চরম ভোগান্তিতে পড়ে কোটি কোটি লোক। সরকারি সাহায্যের হাত এখনও না বাড়ানো মর্মান্তিক। তবে শুধু লোক দেখানো উদ্যোগ গ্রহণই নয়; প্রকৃত সমাধানে চাই সম্মানিত ইসলামী চেতনার বিস্তার। তাহলে ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো আর্তেরই আহাজারি উচ্চারণ হবার নয়।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘উচ্চ সুদহার ব্যবসায়ীরা আর সহ্য করতে পারছেন না। ‘অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং উৎসে কর কর্তন (টিডিএস) ব্যবসায়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে। এআইটি ও টিডিএস আসলে ট্যাক্স টেরোরিজম বা কর-সন্ত্রাস। ব্যবসায়ীরা ‘কর-সন্ত্রাস’ থেকে মুক্তি চান। ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তি চান।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, দেশে কেন উল্টো বেড়েছে? বিশ্ববাজারে জ্বালানি সহ খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে ভোক্তা বাড়তি দামে কিনছে বিশ্বে জ্বালানীসহ খাদ্য পণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে, কিন্তু বাংলাদেশে সুফল মিলছে না কেন? প্রতিবেশীরা স্বস্তিতে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে কেনো?
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












