সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৯)
, ০৯ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২২ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ০৭ ফাল্গুন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
সারাবিশ্বে একই দিনে পবিত্র রোযা শুরু করতে হবে এবং পবিত্র ঈদ পালন করতে হবে। এমন কথা পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফের কোথাও বলা হয় নাই। এমনকি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, তাবেয়ীন, তাবে-তাবেয়ীন রহমতুল্লাহি আলাইহিমসহ সম্মানিত চার মাযহাবের এমন একজন ইমাম মুজতাহিদ কখনো এমন কথা বলেন নাই যে, “সারাবিশ্বে একই দিনে পবিত্র ঈদ পালন করতে হবে ও পবিত্র রোযা শুরু করতে হবে”।
নতুন চন্দ্রের উদয়স্থলের ভিন্নতাকে গ্রহণযোগ্য নয়, কেউ কেউ এ কথা বললেও তারও ব্যাখ্যা রয়েছে। কিন্তু উক্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে কোন ইমাম মুজতাহিদ উনারা কখনো এমন ফতওয়া দেন নাই যে, সারাবিশ্বে একই দিনে পবিত্র রোযা শুরু করতে হবে ও পবিত্র ঈদ পালন করতে হবে। এমনকি উনারাও আজীবন উদয়স্থলের ভিন্নতানুযায়ী সারাবিশ্বে ভিন্ন ভিন্ন দিনেই পবিত্র রোযা শুরু করেছেন ও পবিত্র ঈদ পালন করেছেন। বরং এটা এমন এক শ্রেণীর বিদয়াতী ও গোমরাহী লোকদের গোমরাহী ও কুফরী বক্তব্য যারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে মুসলমানদের ইবাদত বন্দেগীসমূহ নষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এবং এরা পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফের বিভ্রান্তিকর অর্থ ও অপব্যাখ্যা করে সর্বদা মুসলমানদের মাঝে ফিতনা করে ও বিভ্রান্তি ছড়ায়।
মূলত: তিনটি কারণে একই দিনে সারাবিশ্বে পবিত্র রোযা শুরু করা ও ঈদ পালন করা একেবারেই অসম্ভব তা হলো:
(১) اِخْتِلَافُ الْاَوْقَاتِ: সময়ের পার্থক্য।
(২) اِخْتِلَافُ الْمَطَالِعِ: নতুন চাঁদ উদয়স্থলের পার্থক্য।
(৩) اَلْمَسَافَاتُ الْجِغْرَافِيَّةُ: ভৌগলিক দূরত্ব।
(১) সময়ের পার্থক্য:
ধারাবাহিক আলোচনা....
সারাবিশ্বে একই দিনে পবিত্র রোযা ও পবিত্র ঈদ শুরু করার দাবিকারীরা মহান আল্লাহ পাক উনার বিরোধিতা করে কুফরীতে লিপ্ত রয়েছে:
মহান আল্লাহ পাক তিনি সারাবিশ্বের মানুষের জন্য তার নিজস্ব মাতলা বা নতুন চাঁদ দেখার ক্ষেত্রে স্থানের ভিন্নতা করে পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযা রাখা একেবারেই সহজ করে দিয়েছেন। কিন্তু মুসলমানদের ঐক্যতার নামে সারাবিশ্বে একই দিনে পবিত্র রোযা ও পবিত্র ঈদ করার দাবিকারীরা, মুসলমানদের জন্য পবিত্র রোযা শুরু করা ও পবিত্র ঈদ পালন করাকে কঠিন করে দিয়ে স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক উনার বিরোধিতায় লিপ্ত হয়েছে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يُرِيْدُ اللهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلَا يُرِيْدُ بِكُمُ الْعُسْرَ وَلِتُكْمِلُوا الْعِدَّةَ
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের জন্য সহজটা চান। তিনি তোমাদের জন্য জটিল বা কঠিনটা চান না। যাতে তোমরা সহজে গণনা পূর্ণ করতে পারো। (পবিত্র সূরা বাক্বারাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৮৫)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ الدِّيْنَ يُسْرٌ وَلَنْ يُّشَادَّ الدِّيْنَ أَحَدٌ إِلاَّ غَلَبَهُ فَسَدِّدُوْا وَقَارِبُوْا وَأَبْشِرُوْا وَاسْتَعِينُوْا بِالْغَدْوَةِ وَالرَّوْحَةِ وَشَيْءٍ مِّنَ الدُّلْجَةِ.
অর্থ: হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন যে, নিশ্চয়ই পবিত্র দ্বীন সহজ-সরল। পবিত্র দ্বীন নিয়ে যে কড়াকড়ি করে, দ্বীন পালন করা তার জন্য কঠিন হয়ে যায়। কাজেই তোমরা মধ্যপন্থা অবলম্বন করো এবং (মধ্যপন্থার) নিকটবর্তী থাকো অর্থাৎ সুসংবাদ গ্রহণ করো, আশান্বিত থাকো এবং সকাল-সন্ধ্যা ও রাতের কিছু অংশে (ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে) মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করো। (বুখারী শরীফ, সুনানে নাসায়ী, মুসলিম শরীফ, ইবনু মাজাহ শরীফ, ছহীহ ইবনে হিব্বান ২/৬৩, শরহুস সুন্নাহ ৪/৫০, আল জামিউছ ছহীহ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ قَالَ قِيلَ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُّ الْأَدْيَانِ أَحَبُّ إِلَى اللهِ قَالَ الْحَنِيفِيَّةُ السَّمْحَةُ.
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলা হলো, ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে কোন আমল মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে অধিক প্রিয়? তখন মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন যে, মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে সহজ-সরল ও কাঠিন্যতা মুক্ত পবিত্র দ্বীনই সবচেয়ে প্রিয়। (মুসনাদে আহমদ ১/২৩৬, মু’জামুল কাবীর ১১/২২৭, আল আহকামুশ শরইয়্যাতুল কুবরা, আল আহাদীছুল মুখতারাহ ১১/৩৬২, গরীবুল হাদীছ ১/২৯১, জামিউল উলূম ওয়াল হিকাম ৩৪/২০, আল ফতহুর রব্বানী ১/৮৯, আল মুয়ীন আলা তাফাহহুমিল আরবাইন ১/৫১, তাফসীরে ইবনে মুনযির ১/২৯৩)
পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযা রাখার বিষয়টি মহান আল্লাহ পাক তিনি মানুষের জন্য সহজ করেছেন, আর তারা কঠিন ও সমস্যা সৃষ্টি করে মহান আল্লাহ পাক উনার বিরোধিতা করে কুফরীতে লিপ্ত রয়েছে। তা হলো-
যখন সৌদি আরবে মাগরিব তথা সূর্যাস্ত হয় সন্ধ্যা ৭টায়। তখন বাংলাদেশে সময় রাত ১০টা। একই সময়ে অস্ট্রেলিয়াতে সময় রাত ২টা। উক্ত সময়ে ফিজি, মার্শাল আইসল্যান্ড এ সময় ভোর ৪টা। আর নতুন চাঁদ দেখার খবর শোনার জন্য বাংলাদেশের লোকেরা রাত ১০টা, অস্ট্রেলিয়ার লোকেরা রাত ২টা, ফিজি, মার্শাল আইল্যান্ডের লোকেরা ভোর ৪টার চেয়েও বেশি সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তাহলে ফিজি, মার্শাল আইসল্যান্ডের মত যত অঞ্চল রয়েছে ঐ অঞ্চলের লোকেরা কখন ছলাতুত তারাবীহ পড়বে এবং কখন সাহরী খাবে এবং ছলাতুত তারাবীহ না পড়ার মত কবীরাহ গুনাহ কার উপর বর্তাবে? অর্থাৎ তারাবীহ নামায না পড়ে, সাহরী না খেয়ে রোযা রাখতে হবে। আর এই সমস্যার সৃষ্টিকারী স্বয়ং সারাবিশ্বে একই দিনে রোযা ও ঈদ করার দাবিকারীরা। কাজেই এই ধরনের জটিলতা সৃষ্টি করে তারা স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক উনার বিরোধিতায় লিপ্ত রয়েছে।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَلاَ هَلَكَ الْمُتَنَطِّعُونَ أَلاَ هَلَكَ الْمُتَنَطِّعُونَ قَالَهَا ثَلاَثًا.
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সাবধান! দ্বীনের ব্যাপারে নিজের পক্ষ থেকে কঠোরতা অবলম্বনকারীরা ধ্বংস হয়ে গেল। অথবা ধ্বংস হোক। এ কথা তিনি তিনবার বললেন। (মুসলিম শরীফ, আবূ দাউদ শরীফ, আহমাদ শরীফ, মুসনাদে বাযযার ৫/ ২৬৪, ইবানাতুল কুবরা ১/৩৯৭)
সারাবিশ্বে একই দিনে রোযা ও পবিত্র ঈদ শুরু করার দাবিকারীরা তাদের মিথ্যাচারিতা ও ধোকাবাজি মূলক চমকদার কথাগুলি দ্বারাও একই দিন মিলাতে ব্যর্থ:
মধ্যপ্রাচ্যে বা সৌদি আরবের চাঁদ দেখাকে কেন্দ্র করে সারাবিশ্বে একই দিনে পবিত্র ঈদ ও রোযা শুরু করার দাবিকারীরা তাদের মিথ্যাচারিতা ও ধোকাবাজিমূলক চমকদার কথাগুলি দ্বারাও একই দিন মিলাতে ব্যর্থ হয়েছে। কেননা, সৌদি আরবে মাগরিব তথা সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৭টায় হওয়ার পর, সৌদি সরকারের নতুন চাঁদ দেখার খবর যাচাই বাচাই করে ঘোষণা করতে কমপক্ষে দুই ঘন্টা সময় লাগবে, তাহলে ৭+২= রাত ৯টায় তারা চাঁদ দেখার ঘোষণা করবে। এই খবর বাংলাদেশে যদি সাথে সাথেও পৌঁছায় তাহলেও বাংলাদেশের সকল মানুষের নিকট সংবাদটি পৌঁছতে কমপক্ষে সময় লাগবে রাত ১২টা। তাহলে সৌদি আরবের সাথে যে সকল দেশের ১৪ ঘন্টা বা তারও চেয়ে বেশি সময়ের পার্থক্য রয়েছে, সৌদি সরকারের নতুন চাঁদ দেখার খবর যাচাই বাছাই করে ঘোষণা পৌঁছানোর পর, ঐ সমস্ত দেশের লোকদের অবশ্যই একদিন পর রোযা রাখতে হবে। আর যেহেতু একদিন পর রোযা শুরু করতে হবে, তাহলে অনিবার্যভাবে মেনে নিতে হবে যে, সারাবিশ্বে একই দিনের রোযা ও ঈদ শুরু করা সম্ভব নয়। চলবে....
-মুহম্মদ মুফীদ্বুর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হাযির-নাযির শান মুবারক (১)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আল্লাহওয়ালী মহিলা উনাদের তিনটি বৈশিষ্ট্য-
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পুরুষের জন্য কমপক্ষে একমুষ্ঠি পরিমাণ দাড়ি রাখা ফরয
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (২)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা (২)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পর্দা পালন করা নারী-পুরুষ সকলের জন্যই শান্তি ও পবিত্রতা হাছিলের কারণ
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সীমালঙ্ঘনকারী কাফির-মুশরিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ মুবারক
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












