সারাবিশ্বে এক দিনে ঈদ পালন সম্ভব কি? একটি দলীলভিত্তিক বিশ্লেষণ.... (৮)
, ১৯ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৯ হাদি আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ১৮ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রি:, ৫ বৈশাখ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
সউদী ওহাবী ইহুদী সরকার কর্তৃক চাঁদ দেখার মিথ্যা সাক্ষী যোগাড়:
১৪২৫ হিজরী উম্মুল কুরার ক্যালেন্ডারে পহেলা যিলহজ্জ শরীফ উনার তারিখ ছিলো ১২ই জানুয়ারী। কিন্তু সউদী জুডিশিয়াল ডিপার্টমেন্ট ১১ জানুয়ারী থেকে মাস শুরু করে। সে বছর ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম ১০ই জানুয়ারী দিবাগত সন্ধ্যায় আকাশ ছিলো মেঘাচ্ছন্ন, চাঁদ দেখা যায়নি। কিন্তু রাতে দু’জন সাক্ষী এসে উপস্থিত হয় এবং তারা চাঁদ দেখার দাবি করে। তাদের মিথ্যা সাক্ষ্য অনুযায়ী পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস উনার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিলো।
এখন সউদী আরবে এই মিথ্যা সাক্ষীর বিষয়টি একটি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। রিয়াদ থেকে মাঝে মাঝে কয়েকজন সাক্ষী এসে এমন সময় চাঁদ দেখার খবর পরিবেশন করে যেদিন পৃথিবীর কোথাও চাঁদ দৃশ্যমান হয় না।
উদাহরণ হিসেবে ১৪৩৫ হিজরী সনের পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস উনার চাঁদের প্রতিবেদন এখানে উপস্থাপন করা হলো।
২৪শে সেপ্টেম্বর ২০১৪ সউদী আরবে চাঁদের অবস্থান ছিলো নিম্নরূপ-
চাঁদের বয়স ১০ ঘণ্টা ৫৭ মিনিট চাঁদ দেখা যায়নি এবং দেখা যাওয়ার কোনো সম্ভাবনাও ছিলো না কিন্তু সউদী ওহাবী সরকার মিথ্যা সাক্ষীর সাক্ষ্য অনুযায়ী পবিত্র যিলহজ্জ মাস উনার তারিখ ঘোষণা করে। নাঊযুবিল্লাহ!
চাঁদের উচ্চতা ১৪ মিনিট
কৌণিক দূূরত্ব ৪ক্ক ২"
চন্দ্রাস্ত ও সূর্যাস্তের সময়ের পার্থক্য ৫ মিনিট
সউদী ওহাবী ইহুদী সরকার কর্তৃক ৩১ দিনে আরবী মাস গণনা:
আরবী মাস হয় ২৯ বা ৩০ দিনে হবে। এটাই সম্মানিত শরীয়ত উনার বিধান। কিন্তু সউদী সরকার যেহেতু ওহাবী এবং ইহুদী। ফলে তাদের শরীয়তভিন্ন। যদি তাই না হয়, তবে কেন আরবী মাস ৩১ দিনে গণনা করে? নাঊযুবিল্লাহ! ১৪২৮ হিজরী সনের পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস শুরু হয়েছিলো ১০ই ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে। আর ৯ই জানুয়ারী, ইয়াওমুল আরবিয়া বুধবার, ২০০৮-এ পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ মাস উনার চাঁদ দেখতে পায়। এই দুই তারিখের সময়ের ব্যবধান ছিল ৩১ দিন। নাঊযুবিল্লাহ! ৩১ দিনের একদিন গোপন করার উদ্দেশ্যে তারা ২৮শে ডিসেম্বর এবং ২৯শে ডিসেম্বর এই উভয়দিনকে ১৯শে যিলহজ্জ শরীফ বলে চালিয়ে দেয়। নাঊযুবিল্লাহ!
চিত্র: সউদী ওহাবী ইহুদী সরকার কর্তৃক ১৪২৮ হিজরী সনের পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস হেরফেরের নমুনা
১৪২৮ হিজরী সনে অর্থাৎ ২০০৭ খ্রিস্টাব্দ সনে বাংলাদেশ পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস উনার চাঁদ দেখতে পেয়েছে ১১ই ডিসেম্বর, ইয়াওমুছ ছুলাছা মঙ্গলবার। সউদীতে চাঁদ দেখার কথা ছিলো বাংলাদেশের প্রায় ৩ ঘণ্টা পর। অথচ সউদী ওহাবী সরকার চাঁদ না দেখেই ঘোষণা দিয়েছিলো যে, তারা চাঁদ দেখতে পেয়েছে ইয়াওমুল আহাদ রোববার, ৯ই ডিসেম্বর। সে অনুযায়ী অকুফে আরাফা অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ১৮ই ডিসেম্বর এবং ঈদুল আদ্বহা পালিত হয়েছিলো ১৯ ডিসেম্বর। প্রকৃতপক্ষে অকুফে আরাফা অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত ছিলো ২০শে ডিসেম্বর, ইয়াওমুল খমীস বৃহস্পতিবার এবং পবিত্র ঈদুল আদ্বহা পালিত হওয়া উচিত ছিলো ২১শে ডিসেম্বর, জুমুয়াবার।
কেননা, ১. জিরোমুন অর্থাৎ অমাবস্যা সংঘটিত হয়েছিলো ৯ই ডিসেম্বর, ইয়াওমুল আহাদ রোববার, ১৭টা ৪০ মিনিট ২৫ সেকেন্ড (আন্তর্জাতিক সময় অনুযায়ী) এবং কে.এম.টি বা সউদী সময় অনুযায়ী রাত ৮টা ৪১ মিনিটে।
২. সেদিন অর্থাৎ ৯ই ডিসেম্বর ইয়াওমুল আহাদ রোববার পবিত্র মক্কা শরীফ উনার আকাশে চাঁদ অস্ত যায় ৫টা ১৬ মিনিটে এবং সূর্য অস্ত যায় চাঁদ অস্ত যাওয়ার ২২ মিনিট পর। সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্বেই যে চাঁদ অস্ত যায়, সউদী আরব কি করে সেই চাঁদ দেখতে পেয়েছিলো?
৩. অমাবস্যার একদিন পূর্ব থেকেই যখন চাঁদ অদৃশ্য হয়ে যায় সেখানে অমাবস্যায় যাওয়ার ৩ ঘণ্টা পূর্বেই কি করে সউদী সরকার চাঁদ দেখতে পেয়েছিলো? তাদের সৃষ্ট এ ভুলের কারণেই পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস ৩১ দিনে গুণতে হয়েছিলো। নাঊযুবিল্লাহ! (চলবে)
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হাযির-নাযির শান মুবারক (১)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আল্লাহওয়ালী মহিলা উনাদের তিনটি বৈশিষ্ট্য-
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পুরুষের জন্য কমপক্ষে একমুষ্ঠি পরিমাণ দাড়ি রাখা ফরয
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (২)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা (২)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পর্দা পালন করা নারী-পুরুষ সকলের জন্যই শান্তি ও পবিত্রতা হাছিলের কারণ
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সীমালঙ্ঘনকারী কাফির-মুশরিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ মুবারক
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












