সুওয়াল-জাওয়াব
সুওয়াল: একজন মহিলার দু’জন সন্তানই ছোট। একজন দুগ্ধপায়ী শিশু। এমতাবস্থায় আবার সে প্রায় দেড় মাসের হামেলা বা অন্তসত্ত¦া। এবারে সন্তান হওয়ার বিষয়টিকে সে কষ্টের কারণ মনে করছে। এখন সন্তান না হওয়ার জন্য কোন ব্যবস্থাপত্র গ্রহণ করা যাবে কি- না? করলে গুণাহ হবে কি- না?
, ২৭ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৫ আউওয়াল, ১৩৯৩ শামসী সন , ২৪ জুন, ২০২৫ খ্রি:, ১০ আষাঢ়, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) শিক্ষামূলক জিজ্ঞাসা
জাওয়াব:
যদি শরঈ ওজর থাকে আর শরীয়তসম্মত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে তবে গুনাহ হবে না। তবে শরীয়ত উনার খেলাফ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করলে অবশ্যই গুনাহ হবে। দুই জন সন্তান বা চার জন সন্তানও যদি থাকে, আর একজন দুগ্ধপায়ী সন্তান যদি থাকে তারপরও যদি সন্তানসম্ভবা হয় তাহলে অন্য কিছু করাটা শরীয়তসম্মত হবে না। যার নছীবে সন্তান আছে, তার সন্তান হবে। আর যাদের নছীবে সন্তান নাই তারাতো সন্তান পায় না। এখন সন্তান না হওয়ার জন্য শরঈ কোন ব্যবস্থা নেয়া জায়েয আছে। কিন্তু সন্তান ধারণ করার পর নষ্ট করা কুফরী হবে। গোনাহ হবে মানে কুফরীই হবে।
মানুষ সাধারণ মাসয়ালাগুলো জানে না। যে বিষয়গুলি শরীয়তসম্মত সেটার খিলাফ করলে গুনাহ হবে। এটা স্বাভাবিক বিষয় না। এখন কারো নছীবে সন্তান থাকে, কারো থাকে না। যার নাই কোশেশ করেও সে পায় না। এখন যাকে সৃষ্টি করা হয়ে গেছে তাদের তো আসতেই হবে। রূহতো একবারে সৃষ্টি হয়ে গেছে। মানুষতো এই বিষয়টা বুঝে না। সমস্ত রূহ একবারে সৃষ্টি হয়েছে। এখন সেই রূহগুলি ধাপে ধাপে আসতেছে। যার নছীবে যে আছে সে ছাড়া অন্য কেউ আসতে পারবে না। কারো বেশি থাকলে বেশি, কারো কম থাকলে কম। আবার কারো নাই। এইজন্য বলা হয় যে, সবচেয়ে বড় নিয়ামত হলো মানুষ। দুনিয়ার যত নিয়ামত আছে সবচেয়ে বড় নিয়ামত হলো মানুষ। মানুষের দ্বারা অনেক কিছু করা যায় আবার মানুষের অভাবে অনেক কিছু করা যায় না।
এখন যাদের নছীবে আল-আওলাদ আছে, তারা পায়। যাদের নছীবে নাই তারা পাবে কোথা থেকে? কাজেই সন্তান নষ্ট করা হচ্ছে কবীরা গুনাহ, কুফরী গুনাহ। মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন যে, সন্তানদেরকে হত্যা করো না। এখন সেটা কিসের জন্য সে করবে, খাওয়ার জন্য, পরার জন্য? খাওয়া-পরার সমস্যা মনে করে যদি করে তাহলে এটা কুফরী হবে। আর কেউ যদি সন্তান আসার আগেই সাধারণভাবে অন্য কোন ব্যবস্থা করে সেটা নষ্ট করে তা হবে মাকরূহ তাহরীমী। আর যদি খাওয়া-পরার চিন্তা করে করে তবে তা কুফরী হবে। শরীয়তে সব ফায়ছালা দেওয়া আছে। আসলে এখন মানুষের মধ্যে দ্বীনদারী নাই, যিকির- ফিকির নাই, তাই যা হওয়ার তাই হচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ!
(তাফসীরে আহমদী, যামানার তাজদীদী মুখপত্র মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ ৪০তম সংখ্যা, তাফসীরে তাবারী, তাফসীরে ইবনে কাছীর, তাফসীরে মা’রেফুল কুরআন, তাফসীরে ইবনে আব্বাস, তাফসীরে যাদুল মাসীর, তাফসীরে রুহুল বয়ান, তাফসীরে নিশাপুরী, তাফসীরে খাযেন, তাফসীরে বাগবী, তাফসীরে মুনিরী, তাফসীরে আবি হাতিম, তাফসীরে শায়েখ যাদাহ্, তাফসীরে কাসেমী, তাকমীলুল ঈমান ইত্যাদি)
সুওয়াল:
সন্তান সিজারে জন্মগ্রহণ করলে দুই বা আড়াই বছরের মধ্যে পুনরায় সন্তান গ্রহণে মায়ের সমস্যা হওয়ার কথা ডাক্তাররা বলে থাকে। এ বিষয়ে শরয়ী সমাধান প্রার্থনা করছি।
জাওয়াব:
ডাক্তারাতো কত কিছু বলে। এটা যার যার অবস্থা অনুযায়ী। যদি নছীবে সন্তান থাকে তাহলে সন্তান হবে, না থাকলে হবে না। এখন দুই, আড়াই বছরের মধ্যে হলে এই সমস্যা হবে, না হয় হবে না। তাদের এ বক্তব্য শুদ্ধ নয়। কারো সমস্যা হতে পারে, আবার কারো না-ও হতে পারে। যেমন তারা বলে যে, তিনটা সিজার করলে এরপরে সমস্যা হয়। কিন্তু অনেকের দেখা যায় পাঁচটা, সাতটা সিজার হয়। এটা হলো শারীরিক (চামড়ার) অবস্থা অনুযায়ী।
(তাফসীরে আহমদী, তাফসীরে তাবারী, তাফসীরে ইবনে কাছীর, তাফসীরে মাআরেফুল কুরআন ইত্যাদি)
সুওয়াল:
একজন ব্যক্তি তার আহলিয়ার সাথে মাছ রান্না করা নিয়ে রাগারাগি করে। এক পর্যায়ে আহলিয়া বলে যে, আপনার মাছ আপনি খান, আমি খাবো না, যদি খাই তাহলে আমার উপর তা হারাম হবে। পরবর্তীতে দুইজনের রাগ মিটে গেলে উনারা সেই মাছ খান। তখন আহাল তার আহলিয়াকে বলেন যে, আপনি যে কথা বলেছেন, এটার জন্য ইস্তিগফার করলেই হয়ে যাবে। এখন এই কথাটি কি শরীয়তসম্মত হয়েছে? এবং ওই ব্যক্তির আহলিয়ার উপর কি কোন কাফফারা আবশ্যক হবে? জানতে বাসনা রাখি।
জাওয়াব:
যদি আমভাবে বলে তাহলে কাফফারা আবশ্যক হবে না। শুধুমাত্র তওবা-ইস্তিগ্ফার করতে হবে। আর যদি কসম করে কোন কথা বলে তাহলে সেজন্য কাফফারা দিতে হবে।
(তাফসীরে কুরতুবী, তাফসীরে আহকামুল কুরআন, তাফসীরে রুহুল মায়ানী, ফতওয়ায়ে আলমগীরী ইত্যাদি)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
প্রসঙ্গ: হজ্জের ফরজ আদায়ে হারাম ছবি তোলাকে সাময়িক বৈধতা প্রদান....
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সুন্নতী কদমবুছি বিষয়ে কওমী মুখপত্রের শরীয়তের খেলাফ বক্তব্যের খন্ডনমূলক জাওয়াব
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
কথিত ট্রান্সজেন্ডার বিষয়ে শরঈ ফতওয়া (১৪)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গ: হজ্জের ফরজ আদায়ে হারাম ছবি তোলাকে সাময়িক বৈধতা প্রদান....
২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত আদম আলাইহিস সালাম ও হযরত হাওয়া আলাইহাস সালাম উনাদেরকে ‘নাফরমান’ বলা চরম বেয়াদবী ও কুফরী (৬)
২৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হযরত আদম আলাইহিস সালাম ও হযরত হাওওয়া আলাইহাস সালাম উনাদেরকে ‘নাফরমান’ বলা চরম বেয়াদবী ও কুফরী (৫)
১৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রসঙ্গ: পুরুষ-মহিলা নামায আদায়ের ছহীহ পদ্ধতি
১১ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত আদম আলাইহিস সালাম ও হযরত হাওওয়া আলাইহাস সালাম উনাদেরকে ‘নাফরমান’ বলা চরম বেয়াদবী ও কুফরী (৪)
১০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রসঙ্গ: পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন সম্পর্কে বাতিলদের মনগড়া বক্তব্য খন্ড
০৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত আদম আলাইহিস সালাম ও হযরত হাওওয়া আলাইহাস সালাম উনাদেরকে ‘নাফরমান’ বলা চরম বেয়াদবী ও কুফরী (৩)
০৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
কথিত ট্রান্সজেন্ডার বিষয়ে শরঈ ফতওয়া (১০)
০২ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গ: পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন সম্পর্কে বাতিলদের মনগড়া বক্তব্য খন্ডন
২৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












